এসএ গেমস (ফুটবল)

ক্লান্তির অজুহাত জেমি ডের

শেষ ম্যাচে নেপালের কাছেও হেরেছে বাংলাদেশ দল। কোচ জেমি ডে অবশ্য এই ফলাফলের জন্য শিষ্যদের দোষ না দিয়ে আগলেই রেখেছেন।

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
এসএ গেমস ফুটবলে ফাইনালে খেলে সোনা জয়ের স্বপ্ন নিয়েই নেপাল গিয়েছিল অনূর্ধ্ব ২৩ ফুটবল দল। শূন্য হাতে অবশ্য ফিরছে না তারা, ফিরছে ব্রোঞ্জ নিয়ে। কারণ নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের কাছেও হেরেছে বাংলাদেশ দল। কোচ জেমি ডে অবশ্য এই ফলাফলের জন্য শিষ্যদের দোষ না দিয়ে আগলেই রেখেছেন। ফুটবলারদের প্রায় ১৮ মাস ধরে বিশ্রাম না পাওয়াটাকেই অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। ভুটান বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশের ফুটবলকে টেনে তুলেছেন কোচ জেমি ডে। একথা অস্বীকারের উপায় নেই। তবে এবারের এস এ গেমস থেকে ব্রোঞ্জ হাতে দেশে ফেরায় হতাশ হয়েছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। অন্তত মাস খানেক আগের বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের সঙ্গে বর্তমান অনূর্ধ্ব ২৩ দলের এই ফলাফল মোটেই আশানুরূপ নয়। ফুটবল ভক্তরা আঙুল তুলছেন জামাল-সুফিলদের ওপরই। সামনে ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম। তাই পা বাঁচিয়ে খেলেছেন তারা, এমনটাই অভিযোগ উঠছে। অনূর্ধ্ব ২৩ দল (অলিম্পিক দল) আর জাতীয় দলের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও মূলত জেমি ডে যে দলটি নিয়ে নেপাল গেছেন সেটিকে বলা যায় ২৩ দলের মোড়কে জাতীয় দলই। যে দলটি কাতারের মতো কঠিন দলের সঙ্গে তুমুল লড়াই করতে পারে, ভারতের সঙ্গে প্রায় জিততে গিয়েও ড্র করতে পারে সেই দলটিই পেরে উঠল না নেপাল-ভুটানের মতো দলের সঙ্গে। সেটি তো অবশ্যই হতাশাজনক দেশের ফুটবলের জন্য। এসএ গেমসে ২০১০ সালের পর যে ব্রোঞ্জের বৃত্তে আটকে গেছে বাংলাদেশের ফুটবল। সে বৃত্ত ভেঙে অন্তত আবারো ফাইনালে খেলবেন জামালরা সেটাই ছিল প্রত্যাশা। সেই লড়াইটা কি খুব কঠিন ছিল? যেখানে ভারত-পাকিস্তানের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের পরাশক্তিরা অংশ নেয়নি। সেটাই তো ছিল বড় সুযোগ এবারের আসরে আবারো ফাইনালে খেলার। কিন্তু সেটিই করে দেখাতে পারলেন না জেমির শিষ্যরা। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে এবারের ফুটবলে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, স্বাগতিক নেপাল এবং ভুটান। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানের সঙ্গে ১-০ গোলের হারে শুরু বাংলাদেশের। এরপর মালদ্বীপের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র, শ্রীলংকাকে ১-০ গোলে হারালেও শেষ ম্যাচে নেপালের কাছেই বাজেভাবে ১-০ গোলে হেরে যায় জেমির শিষ্যরা। এই হারে গ্রম্নপে ৫ দলের মধ্যে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। এর আগের আসরটি হয়েছিল ২০১৬ সালে। ওই আসরেও ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল লাল-সবুজদের। কোচ জেমি ডে অবশ্য এই হারের জন্য শিষ্যদের দোষ না দিয়ে তাদের পক্ষেই কথা বলেছেন, 'শেষ ম্যাচে আমাদের জয়ের বিকল্প ছিল না। ছেলেরা ভালো ফুটবল খেলেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত স্কোর করতে পারেনি। তাই আমরা জিততে পারিনি। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ছেলেরা বিভিন্ন ম্যাচ খেলছে, কোনো বিশ্রাম পাচ্ছে না।' 'আমাদের কিছু ভালো তরুণ ফুটবলার আছে। যারা ভালো ফুটবল খেলে। তাদেরকে ধরে রাখতে হবে। এবং তাদের ঠিকমতো দেখাশোনা করতে হবে।' যোগ করেন জেমি।