এএফসি কাপে 'ই' গ্রম্নপে বসুন্ধরা

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক এএফসি কাপে প্রথমবারে মতো খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। ২০২০ এএফসি কাপের ড্র মঙ্গলবার দুপুরে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ড্র অনুযায়ী বসুন্ধরা কিংস পড়েছে সাউথ জোনে 'ই' গ্রম্নপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে ভারতের চেন্নাইন সিটি এফসি অথবা এফসি গোয়া, মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাব এবং দক্ষিণ এশিয়া জোনের পেস্ন-অফ থেকে উঠে আসা একটি দল। গত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবারের মতো নাম লেখায় বসুন্ধরা কিংস। আর এসেই নবশক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে তারা। যে প্রিমিয়ার লিগে বলতে গেলে একক আধিপত্য ছিল ঢাকা আবাহনীর। সেই দলটির থেকেই প্রথমবারের মতো শিরোপা ছিনিয়ে নেয় তারা। সেই সঙ্গে যোগ্যতা অর্জন করে এএফসি কাপে খেলার। এবারও এএফসি কাপে আছে ঢাকা আবাহনী। তবে সেটি পেস্ন অফ পর্বে। ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তারা খেলবে এই পর্বে। এখান থেকে কোয়ালিফাই করলে আবাহনীর ও সুযোগ থাকছে 'ই' গ্রম্নপে বসুন্ধরার সঙ্গী হওয়ার। পেস্ন-অফ কোয়ালিফাই পর্বে আছে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি ক্লাব। বাংলাদেশের আবাহনী, ভারতের ব্যাঙ্গালুরু এফসি, মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিয়াকশন ক্লাব, শ্রীলংকার ডিফেন্ডারর্স ফুটবল ক্লাব এবং ভুটানের পারো ফুটবল ক্লাব। পেস্ন-অফ রাউন্ডের প্রথম পর্বে খেলবে শ্রীলংকার ডিফেন্ডার্স ও ভুটানের পারো। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার পর জয়ী দলটি দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলবে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে। আবাহনী সরাসরি দ্বিতীয় রাউন্ড খেলবে মালদ্বীপের মাজিয়ার সঙ্গে। দ্বিতীয় রাউন্ডের আবাহনী ও মাজিয়া এবং ব্যাঙ্গালুরু এএফসি বনাম ডিফেন্ডার্স/পারো ম্যাচের বিজয়ীরা মুখোমুখি হবে পেস্ন-অফ রাউন্ডের শেষ পর্বে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ জেতা দলটি যোগ দেবে গ্রম্নপ পর্বে। পেস্ন অফ পর্ব শুরু হবে আগামী বছর ২২ জানুয়ারি। শেষ হবে ২৬ ফেব্রম্নয়ারি। 'ই' গ্রম্নপে সাম্ভাব্য দলগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটিই চেনা প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা কিংসের। এর মধ্যে চেন্নাই সিটির সঙ্গে চলতি বছরই ঘরের মাঠে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে খেলেছে কিংসরা। আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টের গ্রম্নপ পর্বে চেন্নাইকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। এছাড়া মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসও এ বছর একই টুর্নামেন্টে খেলেছিল। কিন্তু টিসি স্পোর্টস অন্যগ্রম্নপে থাকায় তাদের সঙ্গে দেখা হয়নি বসুন্ধরার। তবে মাঠে তাদের খেলা দেখায় দলটি সম্পর্কে ধারণা আছে ক্লাবটির। আর ঢাকা আবাহনী তো ঘরের দলই। তাদের সঙ্গে তো ঘরোয়া ফুটবলে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আর লিগে দেখা হয়েছেই। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যান্য দলের মতোই আবাহনী আর বসুন্ধরাও ব্যস্ত ঘরোয়া ফুটবলের আসন্ন টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি নিতে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৮ ডিসেম্বর ফেডারেশন কাপ দিয়ে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম। যেখানে অংশ নেবে পেশাদার লিগের ১৩টি দল।