জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে ড্র

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
এশিয়ান গেমসে বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে থাই ফুটবলারের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে বাংলাদেশের বিপলু আহমেদ। ইন্দোনেশিয়ার জাকাতার্য় অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে থেকেও ১-১ গোলে ড্র করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা Ñসৌজন্য
এশিয়ান গেমসে এবারই থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম দেখা বাংলাদেশের। দু’দলের প্রথম সাক্ষাৎটা স্মরণীয় করে রাখতে পারত তারা। যদি না শেষ বঁাশি বাজার মিনিট দশেক আগে একটা গোল হজম করতে হতো তাদের। ওই একটা গোলই জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে দিয়েছে জেমি ডে’র শিষ্যদের। বৃহস্পতিবার জাকাতার্য় ৭৯ মিনিট পযর্ন্ত ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষতক ১-১ গোলের হতাশার ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। র‌্যাংকিংয়ে ৭২ ধাপ এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ডকে প্রতিপক্ষ হিসেবে খুব কঠিন না ধরলেও খুব সহজও বলা যাবে না। যেখানে বাংলাদেশ আছে ১৯৪তম অবস্থানে। সেখানে থাইল্যান্ডের অবস্থান ১২২তম। এটি অবশ্য জাতীয় দলের র‌্যাংকিং। তবে যুবাদের অজর্নকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। ম্যাচের শুরু থেকেই সমান তালেই থাইল্যান্ডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়েছে বাংলাদেশ। বরং কোনো কোনো সময় থাইল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে ছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এক গোল না খেলে এশিয়ান গেমসে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে ইতিহাসটা লিখতে পারত জেমি ডে’র শিষ্যরা। কিন্তু দুভার্গ্যই বলতে হবে জামাল-মাহবুবদের। তবুও দেশের ফুটবলের ক্রান্তিলগ্নে নিঃসন্দেহে এটা একটা বড় পাওয়া। যেই এশিয়ান গেমসে কোনো কিছু না পাবার লক্ষ্য নিয়েই দল পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সেখানে ১ পয়েন্ট অজর্ন তো খারাপ কিছু নয়! আগের ম্যাচে উজবেকিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ব্যথর্তা ভুলে পাকান সারি স্টেডিয়ামে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো কিছুর প্রত্যয়ই দেখা গেছে জামাল-মতিনদের। ৪ মিনিটে প্রথম কনার্র আদায় করে নিলেও বক্সে বল পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি থাই ফুটবলার সাম্পাওদি। ৮ মিনিটে বাংলাদেশের মাহবুবুর রহমানের একটি শট আটকে দেন থাই গোলরক্ষক। ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু দারুণ একটা সুযোগ হাতছাড়া করেন মাসুক মিয়া জনি। ২২ মিনিটে একটি কনার্র আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। তা থেকে অবশ্য গোলের সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। প্রথমাধের্ দুই দলই বেশ কয়েকটি ফাউল করেছে। তবে কাজের কাজ, অথার্ৎ গোল করতে পারেনি কেউই। ফলে প্রথমাধর্ গোলশূন্য থেকেই বিশ্রামে গেছে দুই দল। দ্বিতীয়াধের্র শুরুতেই বাংলাদেশর গোলমুখে চড়াও হয় থাইল্যান্ড। ৪৮ মিনিটে প্রমসুপার জোরালো শট আটকে দেন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। এর মিনিট চারেক বাদেই বাংলাদেশকে আনন্দে ভাসান মাহবুব। ৫২ মিনিটে তার নেয়া শট ঠিকানা খঁুজে নেয় থাইল্যান্ডের জালে, ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে হাল ছাড়েনি থাইল্যান্ড। ৬৪ মিনিটে আরও একটি কনার্র আদায় করে নেয় থাই যুবারা। কিন্তু এবারও সুযোগ হাতছাড়া করেন ফোনকাম নপফোন। এর ঠিক দুই মিনিট পর সামফাওদির শট আটকে দিয়ে দলকে আরেকবার গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করেন রানা। কিন্তু শেষ রক্ষাটা হলো কই? ৮০ মিনিটে বোরান ছাইয়াওয়াতের কনার্র কিক বক্সে পেয়ে শট নিয়েছিলেন একজন থাই ফুটবলার। এগিয়ে এসে বল ফিস্ট করেন রানা। এ যাত্রায় বল বিপদমুক্ত হলেও ততক্ষণে অরক্ষিত গোলপোস্টের কাছে পেঁৗছে যান সাইডেড। ফঁাকা পোস্ট পেয়ে বল ঠেলে দিয়ে থাইল্যান্ডকে সমতায় ফেরাতে আর কালবিলম্ব করেননি তিনি। তবুও স্মরণীয় জয়টা পেয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। ৮২ মিনিটে আরও একটি দশর্নীয় শট নিয়েছিলেন মাহবুব। কিন্তু থাই গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় সেটি আর জালে জড়ায়নি। বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্নটাও মিশে গেছে মাটিতে।