শীর্ষে উঠে এলো রাজশাহী

আবারও পথ হারাল রংপুর

প্রকাশ | ০৩ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে বৃহস্পতিবার রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে উইকেট পাওয়ায় রাজশাহী রয়্যালসের খেলোয়াড়রা উচ্ছ্বাস করছেন। শেষ পর্যন্ত এই জয়ে এবারের আসরে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও উঠেছে তারা -ওয়েবসাইট
হারলেই সব শেষ নয়। কাগজে কলমে হয়তো টিকে থাকবে আশা। কিন্তু তার জন্য বেশ যদি-কিন্তুর হিসাব থাকবে। তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর ফলাফলের ওপর। এমন সমীকরণ নিয়েই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া রংপুর রেঞ্জার্স নেমেছিল মাঠে। তবে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে রংপুরকে হারাতে পারলে শীর্ষে ওঠার হাতছানি ছিল রাজশাহী রয়্যালসের। তার ষোলোআনাই পূরণ করেছে তারা। দারুণ ক্রিকেট উপহার দিয়ে তাদের ৩০ রানে হারিয়ে শীর্ষে উঠে আসে দলটি। নিজেদের বাকি তিন ম্যাচ জিতলেও শেষ চারের আশা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রংপুরের জন্য। কেননা অন্যদের ম্যাচ সংখ্যা, জয়-পরাজয়ের হিসাব আর রানরেট বলছে, টুর্নামেন্ট শেষই বলা চলে রংপুরের। বৃহস্পতিবার সিলেটপর্বের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে রাজশাহী। দ্রম্নত টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কাঁপতে থাকা রংপুর ফজলে মাহমুদ রাব্বীর ব্যাটে স্বপ্ন দেখলেও শেষ পর্যন্ত থেমেছে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান করে। ৯ ম্যাচ শেষে ৬টি জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এলো রাজশাহী। যদিও তাদের সমান ১২ পয়েন্ট চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরও। তবে রান রেটে শীর্ষে আছে রাজশাহীই। অন্যদিকে এ হারে ৯ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানেই রইল রংপুর। আগের ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসকে হারিয়ে শেষ চারের ক্ষীণ স্বপ্নটুকু বাঁচিয়ে রেখেছিল ইনসেপ্টা রংপুর রেঞ্জার্স। ঢাকা থেকে সিলেটে এসে রাজশাহী শোধ তুলল রংপুরকে হারিয়ে। সিলেটে বৃহস্পতিবার লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। দলীয় ৩ রানেই অধিনায়ক শেন ওয়াটসনকে হারায় তারা। পরে মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান ক্যামেরন ডেলপোর্ট। এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখও। ফলে দলীয় ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে যায় দলটি। দলের এ অবস্থায় টম আবেলকে নিয়ে হাল ধরেন ফজলে মাহমুদ। ৬৪ রানের জুটি গড়ে সে চাপ সামলেও নেন তারা। তবে দলীয় ১১১ রানে এ দুই ব্যাটসম্যানই ফিরে গেলে ফের চাপে পড়ে যায় দলটি। রানের গতিতে পড়ে লাগাম। সেখান থেকে দলকে উত্তরণের চেষ্টা করেছিলেন আল-আমিন জুনিয়র। তবে তার চেষ্টা যথেষ্ট হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন ফজলে রাব্বি। ২৯ রান করেন আবেল। রাজশাহীর পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নেওয়াজ ও শোয়েব মালিক। এর আগে দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও আফিফ হোসেন ধ্রম্নব রাজশাহীর শুরুটা করেছিলেন দারুণ। ৫১ রানের ওপেনিং জুটি উপহার দেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দারুণ এক ডেলিভারিতে লিটনকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারে আফিফকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ নবি। তাতে কিছুটা চাপে পড়ে যায় রাজশাহী। এরপর ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শোয়েব মালিক। ৩৩ রানের ছোট একটি জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন তারা। এরপর ইরফানের বিদায়ের পর রবি বোপারার সঙ্গে ৪৮ রানের কার্যকরী একটি জুটি গড়েন বোপারা। তবে তখন পর্যন্ত রানের গতি নিয়ন্ত্রণেই রাখতে পেরেছিলেন রংপুরের বোলাররা। তবে শেষ দিকে মোহাম্মদ নেওয়াজের সঙ্গে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে বড় সংগ্রহই এনে দেন বোপারা। ২৬ বলে এ জুটি সংগ্রহ করে ৪৭ রান। মুস্তাফিজের করা শেষ ওভারে তোপটা বেশি দাগান তারা। সে ওভারে আসে ২২ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন বোপারা। ২৯ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন এ ইংলিশ ব্যাটসম্যান। এছাড়া মালিক ৩৭ ও আফিফ ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। রংপুরের পক্ষে ৪১ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান মুস্তাফিজ। আরাফাত সানি ও মোহাম্মদ নবির শিকার ১টি করে।