৩৬৫ দিন অপরাজিত লিভারপুল

প্রকাশ | ০৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বৃহস্পতিবার শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে দ্বিতীয় গোল করায় সাদিও মানেকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন লিভারপুলের হয়ে প্রথম লক্ষ্যভেদ করা মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ -ওয়েবসাইট
ক্রীড়া ডেস্ক ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ কোন ম্যাচটি হেরেছিল লিভারপুল? মনে পড়ছে কি? অবিশ্বাস্য ব্যাপারই বটে! ঘরোয়া লিগে লিভারপুল সবশেষ ম্যাচটি হেরেছিল ঠিক ৩৬৫ দিন আগে! ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ম্যানচেস্টার সিটি তাদের বিপক্ষে জিতেছিল ২-১ গোলে। এরপর টানা এক বছর অপরাজিত রইল অলরেডরা। চলতি মৌসুমের শুরু থেকে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা দলটি নতুন বছরের শুরুটাও করেছে একই ছন্দে। বৃহস্পতিবার রাতে মোহাম্মদ সালাহ ও সাদিও মানের লক্ষ্যভেদে প্রিমিয়ার লিগের নবাগত ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। আর এই জয়ে ২০ ম্যাচে ১৯ জয় ও এক ড্রয়েতে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের অর্জন ৫৮ পয়েন্ট। ৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগের শিরোপা জয়ের স্বপ্নে এগিয়ে চলা লিভারপুলের হাতে রয়েছে একটি ম্যাচ। কারণ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেস্টার সিটি ২১ ম্যাচ খেলে পেয়েছে ৪৫ পয়েন্ট। আর সমান ম্যাচে তৃতীয় স্থানে থাকা বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন পেপ গার্দিওলার দল ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৪৪। গত এক বছরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে মোট ৩৭টি ম্যাচ খেলেছে লিভারপুল। তারা জিতেছে ৩২ ম্যাচে। পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে বাকি পাঁচটিতে। প্রিমিয়ার লিগে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা অবশ্য আর্সেনালের দখলে। ২০০৩ সালের ৭ মে থেকে ২০০৪ সালের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৪৯টি ম্যাচে হারের স্বাদ নেয়নি গানাররা। এর মধ্যে গোটা ২০০৩-০৪ মৌসুমে (৩৮ ম্যাচে) আর্সেনাল অপরাজিত ছিল। তিন দশকের খরা কাটিয়ে লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্নে এগিয়ে চলা লিভারপুল ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যায়। যদিও ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ম্যাচ শুরুর আগেই ন্যাবি কেইটার কুঁচকির চোট ধাক্কা দিয়েছিল অলরেডদেরকে। এই গিনিয়ানের বদলি মাঠে নামেন জেমস মিলনার। অবশ্য এর প্রভাব পড়েনি ম্যাচে। চতুর্থ মিনিটে জর্জ বালডক পিছলে পড়লে ভার্জিল ফন ডাইকের লম্বা শটে বল পায়ে নিয়ে অ্যান্ডি রবার্টসন পাস দেন মোহাম্মদ সালাহকে। মিশরীয় ফরোয়ার্ড জাল খুঁজে পান সহজেই। আরও গোল হতে পারত লিভারপুলের। ম্যাচের আধঘণ্টা হতেই বাঁদিকের পোস্টে সালাহর নেওয়া শট শেফিল্ডের গোলকিপার ডিন হেন্ডারসন রুখে দেন দারুণ দক্ষতায়। আর ৬০তম মিনিটে ভাগ্যের জোরে দ্বিতীয় গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় শেফিল্ড। সালাহর চিপ শটে হেড করার চেষ্টায় ব্যর্থ হন ফন ডিক। বল বাইরে চলে যাচ্ছে ভেবে ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক কেউ ঠেকানোর চেষ্টাই করেননি, শেষ মুহূর্তে বল পোস্টে বাধা পায়। এর পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাদিও মানে। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে সালাহর সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে শট নেন সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ঠেকানোর পর আলগা বল অনায়াসে জালে ঠেলে দেন তিনি। আসরে এটি মানের একাদশ গোল। এদিন রাতে পুরো ম্যাচে ৯০.১ শতাংশ অ্যাকুরেসি রেট ধরে রেখে ৯৬৯ পাস দিয়েছে লিভারপুল, যা তাদের ক্লাব রেকর্ড। ডাচ ডিফেন্ডার ভর্জিল ফন ডাইক সর্বোচ্চ ১৩১টি পাস দেন। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অলরেডরা।