বঙ্গবন্ধু বিপিএল

চট্টগ্রামকে হটিয়ে শীর্ষে রাজশাহী

দাপুটে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ওপেনার লিটন দাস। হাফ সেঞ্চুরি করা লিটন দাস খেললেন ৭৫ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। বিপিএলের ইতিহাসে এটি তার সর্বোচ্চ স্কোর

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শনিবার দুপুরের ম্যাচে লিটন কুমার দাসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী রয়্যালস -বিসিবি
ক্রীড়া প্রতিবেদক পেস্ন-অফ নিশ্চিত হয়েছে আগেই, তবে শীর্ষ দুইয়ে থাকতে হলে জিততেই হবে। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল দুই দল। তাতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে রাজশাহী রয়্যালস। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রামকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষে উঠেছে দলটি। কিছুটা দুর্ভাগা চট্টগ্রাম নিজেদের ভাবতেই পারে। কারণ বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল দলটি। এমন সহজ কায়দায় চট্টগ্রামের ১৫৫ রান টপকে গেল রাজশাহী রয়্যালস! নামের মতো ঠিক একেবারে রাজকীয় ঢংয়ে! আর এই দাপুটে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ওপেনার লিটন দাস। ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা লিটন দাস শেষপর্যন্ত খেললেন ৭৫ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। বিপিএলের ইতিহাসে এটি লিটন দাসের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। শেষ চারের লড়াইয়ে নামার আগে লিগে নিজেদের শেষ এই লড়াইয়ে জিতে রাজশাহী রয়্যালস ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে উঠে গেল পয়েন্ট টেবিলের টপে। সমান ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে পয়েন্টও ১৬। কিন্তু রানরেটে এগিয়ে থাকায় রাজশাহী রয়্যালস এখন বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে! ম্যাচের মাঝবিরতির সময় রাজশাহী রয়্যালসের কোচ ওয়েসিস শাহ বলছিলেন-'ওরা ১০ রানের মতো বেশি করে ফেলেছে।' তবে যে কায়দায় রাজশাহী সেই রান তাড়া করে ম্যাচ জিতল তাতে মনে হচ্ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের রানটা ছিল নেহাতই ডাল-ভাত! মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লক্ষ্য তাড়ায় শনিবার রাজশাহীকে আরও একবার দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন লিটন কুমার দাস ও আফিফ হোসেন ধ্রম্নব। এ দুই ব্যাটসম্যানের আগ্রাসনে ওপেনিং জুটিতেই আসে ৮৮ রান। এরপর আফিফ আউট হলে শোয়েব মালিককে নিয়ে ৫০ রানের আরও একটি ভালো জুটি গড়েন লিটন। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। শেষ পর্যন্ত ১৪ বল ও ৮ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। ৪৮ বল মোকাবেলা করে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। ২৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৩ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মালিক। ৩১ বলে ৩২ রান করেন আফিফ। চট্টগ্রামের পক্ষে একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও জিয়াউর রহমান। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে চট্টগ্রাম। ক্রিস গেইল ও জুনায়েদ সিদ্দিকির ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৮ রান। তবে রানের গতি সে অর্থে বাড়াতে পারেনি। পাশাপাশি নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ফলে ১৫.২ ওভারে ৪ উইকেটে দলীয় শতরান পূরণ করে দলটি। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মাহমুদউলস্নাহর সঙ্গে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে লড়াকু সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকে মাহমুদউলস্নাহ। ৩৩ বল মোকাবেলা করে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ১৭ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩০ রান আসে সোহানের ব্যাট থেকে এছাড়া গেইল ও জুনায়েদ ২৩ রান করে করেন। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৫ রান তোলে দলটি।