হারার আগেই হারতে নারাজ বাংলাদেশ

ফিলিস্তিন অবশ্যই শক্ত প্রতিপক্ষ। তার মানে এই না যে আমরা হাল ছেড়ে দেব। কোচ রক্ষণ নিয়ে অনেক দিন ধরে কাজ করছেন। ভিডিও সেশনে হয়তো বিস্তারিত তুলে ধরবেন। যেটা আমাদের জন্য খুব সহজ হবে। - সুশান্ত ত্রিপুরা

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক জাতির পিতার নামে আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে আয়োজিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। ষষ্ঠ আসরটিতে শিরোপা জিতে স্মরণীয় করে রাখতে চায় স্বাগতিকরা। কারণ এবারের টুর্নামেন্ট যে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত। এমন একটি টুর্নামেন্টের ট্রফি জিতলে সেটা হবে 'মুজিববর্ষের'র জন্য অনন্য এক উপহার। শনিবার অনুশীলন শেষে দলের ফুটবলাররা জানালেন প্রথমেই শক্তিধর প্রতিপক্ষ পেলেও হারার আগেই হারতে চান না তারা। নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে লড়াই করে যাবেন। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ষষ্ঠ আসরটি হতে যাচ্ছে এবার। কিন্তু এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের শিরোপাটি নিজেদের ঘরে রাখতে সমর্থ হয়নি স্বাগতিকরা। আগের ৫ আসরের মধ্যে একবারই কেবল ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে ওই আসরের ফাইনালে মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২২ দলের কাছে ৩-২ গোলে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ২০১৮ সালে সর্বশেষ আসরে বাংলাদেশ উঠেছিল সেমিফাইনাল পর্যন্ত। ৬ জাতির এ টুর্নামেন্ট শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি। ২৫ জানুয়ারি হবে শিরোপা লড়াই। ফাইনাল ম্যাচে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এক দল থাকবে বাংলাদেশ এবং ফাইনাল শেষে ট্রফিটাও উঠবে বাংলাদেশ অধিনায়কের হাতে- এমন স্বপ্নও দেখছেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত কি হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে। টুর্নামেন্টের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু হলেও গত দু'দিন ধরে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন জামাল ভূঁইয়ারা। বাংলাদেশের এবারের মিশনটা শুরু হচ্ছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন দল ফিলিস্তিনকে দিয়ে। প্রথম ম্যাচেই কঠিন প্রতিপক্ষ। কিন্তু তারপরও দলের ফুটবলাররা মানসিকভাবে উজ্জীবিতই আছেন। শনিবার অনুশীলন শেষে ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা বলেন, 'ফিলিস্তিন অবশ্যই শক্ত প্রতিপক্ষ। তার মানে এই না যে আমরা হাল ছেড়ে দেব। কোচ রক্ষণ নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করছেন। ভিডিও সেশনে হয়তো বিস্তারিত তুলে ধরবেন। যেটা আমাদের জন্য খুব সহজ হবে।' ফিলিস্তিনের বিপক্ষে গোল করার থেকে তাদের আটকে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে বাংলাদেশের জন্য। আর সেক্ষেত্রে রক্ষণভাগের চাপটাই একটু বেশি থাকবে নিজেদের প্রথম ম্যাচে। ইতোমধ্যে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ডিফেন্ডার তপু বর্মণকে। দলের অন্যতম এই ফুটবলার যোগ হওয়াতে রক্ষণভাগটা আরও শক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন সুশান্ত, 'শুধু আমাদের রক্ষণভাগই নয়। দলের সবাই যার যার নিজেদের জায়গাটা থেকে সর্বোচ্চ দেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। সবাই চাইছি একটা ভালো ফলাফল। আমাদের লক্ষ্য থাকবে প্রথম ম্যাচে ড্র করার। কারণ ফিলিস্তিন কিন্তু শক্তিমত্তার দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। তপু দা দলের সঙ্গে যোগ হওয়াতে অবশ্যই আমাদের শক্তি আরো বেড়েছে।' শুধু ফুটবলাররাই নয়। মুজিববর্ষের এই টুর্নামেন্টে আয়োজনে কোনো কমতি রাখতে চায় না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও (বাফুফে)। তবে আয়োজনের সাফল্যেও পাশপাশি মাঠের সাফল্য পেতেও উদগ্রীব বাফুফে। জামাল-সা'দ উদ্দিনরা যেন স্বাগতিক দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন, সেজন্য তাদের উজ্জীবিত করতে আজ দুপুরে ফুটবলারদের আবাসিক ক্যাম্পে যাচ্ছেন স্বয়ং বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। 'খেলোয়াড়দের আবাসন পল্টনের একটি অভিজাত হোটেলে। সেখানে তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলবেন, একসঙ্গে দুপুরের খাবার খাবেন। খেলোয়াড়রা তাতে উজ্জীবিত হবেন'-বলেছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাঈম সোহাগ।