রিয়ালের সামনে এবার অ্যাটলেটিকো

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক ফাইনাল জেতার ফর্মুলা তার চেয়ে ভালো বোধ হয় আর কেউ জানেন না। তা নয়তো কী! টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সঙ্গে আছে দুটি করে উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা। হারের ধাক্কা যে নেই, তা নয়। দুই বছর আগেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে হেরেছিলেন উয়েফা সুপার কাপ। সেই নগর প্রতিপক্ষদের সঙ্গেই স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে নামতে যাচ্ছেন তিনি রিয়াল মাদ্রিদকে নিয়ে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম যে ম্যাচকে ডাকছে 'সুপারডার্বি' নামে। জিদান এখন 'ভালো কোচ'। অন্য কারও কথা নয়, ফরাসি কিংবদন্তি নিজেই বলছেন। আজ রোববার স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তেমনটাই। নতুন বছরে রিয়ালকে ছন্দে ফিরিয়ে আরেকটি প্রতিযোগিতার ফাইনালে তুলে সাফল্যের সুবাস পাচ্ছেন তিনি। টানা তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী কোচ আগের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন, 'হঁ্যা, আমার মনে হয় এখন আমি ভালো বোধ করছি। নিজের উন্নতি করতে পেরেছি। পরিস্থিতি ও আশপাশের মানুষজন থেকেই আপনি শিখতে পারবেন।' এই শিক্ষার চূড়ান্ত পরিণতি টানতে চান তিনি সুপারডার্বিতে। তবে নগর প্রতিপক্ষদের নিয়ে সতর্কও থাকতে হচ্ছে জিদানকে। স্পেনের বাইরে প্রথমবার আয়োজিত স্প্যানিশ সুপার কাপে ফেভারিট ধরা হয়েছিল বার্সেলোনাকে। জেদ্দার এই প্রতিযোগিতায় কিন্তু কাতালানদের বিদায় করে দিয়েছে অ্যাটলেটিকো। শেষ দিকের নাটকীয়তায় ঘুরে দাঁড়ানো জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মাদ্রিদের 'ছোটরা'। সেই তাদের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে দুশ্চিন্তা ভর করা স্বাভাবিক। জিদানের কাছে অবশ্য বিষয়টি অন্য রকম। বার্সেলোনাকে হারানোর বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন রিয়াল কোচ, 'এটাই ফুটবল। একটা সময় মনেই হয়েছিল বার্সেলোনা জিততে যাচ্ছে ম্যাচটি, কিন্তু তারা ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে। অ্যাটলেটিকোর সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয় কারও।' নগর প্রতিপক্ষদের সঙ্গে রেকর্ড কিন্তু এগিয়েই রাখছে রিয়ালকে। যদিও জিদান জেদ্দার ফাইনালকে নতুন ম্যাচ হিসেবে দেখছেন, 'আমরা আতলেতিকোকে হারিয়েছি, তারাও আমাদের হারিয়েছে। আগামীকালের (রোববার) ম্যাচটি একদম আলাদা, নতুন আরেকটি ম্যাচ।' চলতি প্রতিযোগিতায় চোটে জর্জর রিয়াল। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে মিডফিল্ডার নির্ভর দল সাজিয়েছিলেন জিদান। খেলিয়েছিলেন স্বভাববিরুদ্ধ তিকি-তাকা ধাঁচে। চোট সমস্যা আছে অ্যাটলেটিকোতেও। তবে বার্সেলোনার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাওয়া জয়ের আত্মবিশ্বাসের পারদ ফাইনালে নামার আগে আকাশ ছুঁয়েছে। সঙ্গী হিসেবে আছে এবারের লিগ মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়ালকে জিততে না দেওয়ার স্মৃতি। সেপ্টেম্বরের ডার্বিতে রিয়াল একের এক আক্রমণে যেভাবে চেপে ধরেছিল অ্যাটলেটিকোকে, সেখান থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়াটা দিয়েগো সিমিওনের দলের জন্য ছিল চরম স্বস্তির। তাছাড়া ২০১৮ সালের উয়েফা সুপার কাপে 'লস বস্নাঙ্কোদের' ৪-২ গোলে হারানোর সুখস্মৃতি তো আছেই। তবে ভুলে গেলে চলছে না, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেনি অ্যাটলেটিকো এই রিয়ালের কাছে হেরেই। আর তাই সুপারডার্বির উত্তেজনার আঁচ পাচ্ছেন নিশ্চয়ই?