জয়ের বিকল্প ভাবছে না বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আমাদের বেশ কিছু ভুলত্রম্নটি ছিল। আমরা গোল আদায় করে নিতে পারিনি। শ্রীলংকার বিপক্ষে সেটি যাতে না হয় আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। যেহেতু এই ম্যাচে আমাদের জয়ই প্রধান লক্ষ্য- তাই আমরা সেভাবেই শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলব। - জামাল ভূঁইয়া

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে গ্রম্নপের শেষ ম্যাচে আজ স্বাগতিক বাংলাদেশ খেলবে শ্রীলংকার বিপক্ষে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠেয় গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটিতে জয়ের বিকল্প ভাবছে না লাল-সবুজরা। কারণ ড্র করলেই ভাগ্য নির্ধারিত হবে টাইব্রেকারে। তাই ভাগ্যের ওপর নয়, জিতেই গ্রম্নপের রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার লক্ষ্য জামাল ভূঁইয়ার দলের। বাংলাদেশের জন্য চেনা প্রতিপক্ষই শ্রীলংকা। হরহামেশাই এই দুই দল মুখোমুখি হয়ে থাকে। এইতো গত মাসেই (ডিসেম্বর ২০১৯) কাঠমান্ডুতে এসএ গেমসে লড়াই করেছিল এই দুই দেশের অলিম্পিক দল। যদিও বাংলাদেশের ওই অনূর্ধ্ব ২৩ দলটি ছিল বলতে গেলে জাতীয় দলই। গত বছর ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে মাহবুবুর রহমান সুফিলের একমাত্র গোলে শ্রীলংকাকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল লাল-সবুজরা। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপেও স্বাগতিকদের চেনা প্রতিপক্ষই শ্রীলংকা। এর আগে যদিও টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে ১৯৯৬ সাল থেকে। তবে শ্রীলংকা এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার অংশ নেয় ২০১৫ সালে। সেবার 'এ' গ্রম্নপে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সঙ্গেই খেলেছে শ্রীলংকা। গ্রম্নপ পর্বে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হারায় শ্রীলংকাকে। এরপর ২০১৬ সালেও বাংলাদেশের গ্রম্নপেই পড়েছিল লংকানরা। গ্রম্নপ পর্বে ৪-২ গোলের বড় জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরা। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের টুর্নামেন্টে নেয়া হয়নি শ্রীলংকাকে। তবে ওই বছর নীলফামারীতে শ্রীলংকার সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ওই ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও সামগ্রিক পরিসংখ্যান বলছে শ্রীলংকা থেকে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচেও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ার লক্ষ্য লাল-সবুজদের। কিন্তু অনেক সময় পরিসংখ্যান বা কাগজে কলমের হিসাবনিকাশটা নাও মিলতে পারে। যেমন নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিধর ফিলিস্তিনের কাছে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারলেও তাদের বিপক্ষে পুরো ৯০ মিনিট যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল লংকানরা, তা বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপই। কারণ এবারের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ-শ্রীলংকার পয়েন্ট, গোলগড় ও কার্ড সবই সমান। তাই এই ম্যাচে ড্র করলেই বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে উঠতে নির্ভর করতে হবে ভাগ্যের ওপর। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ম্যাচ অমীমাংসিত থাকলেই দু'দলের ভাগ্য নির্ধারিত হবে সরাসরি টাইব্রেকারে। শেষ মুখোমুখিতে যদিও শ্রীলংকাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এস এ গেমসের ওই ম্যাচটি যেহেতু অনূর্ধ্ব ২৩ দলের ছিল। তাই কোচ জেমি ডে জাতীয় দলের শেষ মুখোমুখির হিসেব ধরেই এগোচ্ছেন। তার কথায়, 'গত বছর প্রীতি ম্যাচে তাদের বিপক্ষে হেরে যাবার পর আগামীকালই (আজ) আমরা আবারো তাদের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। তারা গত ম্যাচে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে যে ফুটবল খেলেছে, তাতে এটা নিশ্চিত তাদের রক্ষণ ভাঙা সহজ হবে না। তবে ম্যাচ কঠিন হলেও যেহেতু আমাদের লক্ষ্য সেমিফাইনাল, এবং এটি মাস্ট উইন ম্যাচ। তাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য থাকবে জয়।' জয়ের লক্ষ্যে শিষ্যদের কাছে কোচের একটিই চাওয়া- সেটি হলো স্কোর করা। এ প্রসঙ্গে জেমিডে বলেন, 'যে করেই হোক এই ম্যাচে গোল করতে হবে। আমি গোল চাই।' দলীয় অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, 'ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আমাদের বেশ কিছু ভুলত্রম্নটি ছিল। আমরা গোল আদায় করে নিতে পারিনি। শ্রীলংকার বিপক্ষে সেটি যাতে না হয় আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। যেহেতু এই ম্যাচে আমাদের জয়ই প্রধান লক্ষ্য- তাই আমরা সেভাবেই শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলব।' কোচের মতোই দলীয় অধিনায়কও চিন্তিত শ্রীলংকার রক্ষণ নিয়ে। তার কথায়, 'শ্রীলংকার ডিফেন্স অনেক শক্ত। তাদের ৬ ডিফেন্ডার খেলে। বল দখলে ফিলিস্তিন এগিয়ে থাকলেও তারা স্কোর করেছে শেষ দিকে এসে। ওরা এভাবে খেললে আমাদের জন্যও গোল করা কঠিন হয়ে যাবে। আমরা সেটি মাথায় রেখেই খেলতে নামব।' এবারের আসরে গ্রম্নপ 'এ' তে আছে বাংলাদেশ, ফিলিস্তিন ও শ্রীলংকা। ফিলিস্তিন দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রম্নপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলেও অন্য দুই দল এখনো পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি।