ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনিশ্চিত লুকাকু

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
রোমেলু লুকাকু
দুই ম্যাচে চার গোল, রাশিয়া বিশ্বকাপে রীতিমতো উড়ছেন রোমেলু লুকাকু। কিন্তু বেশি উড়তে গিয়ে ডানায় আঘাত পাওয়া পাখির মতো অবস্থা হয়েছে বেলজিক স্ট্রাইকারের। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে গ্রæপ পবের্র দ্বিতীয় ম্যাচে জোড়া গোল করা লুকাকু বঁা-পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন। সোমবার ডাক্তারি পরীক্ষা দিয়েছেন। চোট গুরুতর নয়। তবে সম্ভবত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রæপসেরা হওয়ার লড়াইয়ে তাকে পাচ্ছে না বেলজিয়াম। সোমবার লুকাকুর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বেলজিয়ামের কোচ রবাতোর্ মাটিের্নজ জানিয়েছেন, অনুশীলনে ফিরতে দুই দিন সময় লাগবে তার। ফলে মঙ্গলবার দলের সঙ্গে দেখা যায়নি তাকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮ জুন মাঠে নামার আগেই অবশ্য সুস্থ হয়ে ফেরার কথা লুকাকুর। তবে ওই ম্যাচে তাকে নামানোর ঝুঁকি নাও নিতে পারেন মাটিের্নজ। লুকাকুর পাশাপাশি তিউনিসিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন ইডেন হ্যাজাডর্। তবে ম্যাচের সময়ই তিনি জানান, তার কাফে (পায়ের গুল) ব্যথা হচ্ছে। যদিও সেটা বড় কিছু নয়। মঙ্গলবার দলের সঙ্গে অনুশীলনও করেছেন তিনি। শেষ ষোলোর সাসপেনশন এড়াতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্রামে থাকতে পারেন কেভিন ডি ব্রæয়েন। জান ভারটংগেন এবং থমাস মুনিয়ের। তাদের প্রত্যেকের নামের পাশেই রয়েছে একটি করে হলুদ কাডর্। তবে বেলজিয়াম সবুজ সংকেত দিয়েছে নিয়মিত অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানিকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাই মাঠে নামার জোর সম্ভাবনা আছে রক্ষণভাগের এই তারকার। লুকাকু-ডি ব্রæয়েনরা না খেললে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে বেলজিয়ামের। হেরে গেলে ‘জি’ গ্রæপের রানাসর্আপ হয়ে শেষ ষোলোতে যাবে রেড ডেভিলরা। তবে এসব বিষয় পাত্তা দিচ্ছে না বেলজিয়াম। এই প্রসঙ্গে মিডফিল্ডার ডি ব্রয়েন বলেছেন, ‘অবশ্যই তারা ভালো দল। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, আমি তাদের নিয়ে ভাবছি না। আমরা ইতোমধ্যেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছি। আমি মনে করে, এতে পুরো দলের চেহারা বদলে গেছে।’ ২০১৪ বিশ্বকাপে গ্রæপ পবের্ দারুণ খেলেছিল বেলজিয়াম। গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে তারা হারায় মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্রকে। কিন্তু কোয়াটার্র ফাইনালে আজেির্ন্টনার কাছে হেরে বাদ পড়ে যায়। বছর দুয়েক বাদে ইউরোতেও একই পরিণতি বরণ করে নিতে হয় তাদের। ডি ব্রæয়েন জানিয়েছেন, তাদের দলটা আগের চেয়ে এখন অনেক পরিণত। মাথা ঠাÐা রেখেই বিশ্বকাপে এগিয়ে যেতে চান তারা, ‘আমরা আগের চেয়ে বেশি শান্ত। ব্রাজিলে আয়োজিত ২০১৪ বিশ্বকাপ ছিল আমাদের জন্য একদম নতুন অভিজ্ঞতা। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল ভিন্ন। আমাদের দলের খেলোয়াড়দের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে। তারা জানে শুরুটা অত ভালো হওয়ার দরকার নেই। দল হিসেবে গড়ে ওঠাটা বেশি গুরুত্বপূণর্ তাদের কাছে। কাজেই পরবতীর্ ম্যাচে মাথা ঠাÐা রেখে খেলতে হবে। এরপর দেখা যাক কি হয়।