টাইগার যুবাদের দক্ষিণ আফ্রিকা পরীক্ষা

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ পেয়েছে বাংলাদেশ। আকবর আলীর দল ৩০ জানুয়ারি শেষ আটের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় পচেফস্ট্রুমে নামবে সেমির টিকিট কাটতে। বাংলাদেশের যুবারা 'সি' গ্রম্নপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার লিগে আসে। তবে কোনো ম্যাচেই ৫০ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায়নি টাইগার যুবারা। ফলে প্রতিপক্ষ পেল 'ডি' গ্রম্নপের রানার্সআপ দক্ষিণ আফ্রিকাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিপক্ষে শক্ত পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশের যুবাদের। দক্ষিণ আফ্রিকায় বসা যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে যাওয়া অন্য দলগুলোতে কোনো চমক নেই। প্রথম কোয়ার্টারে ২৮ জানুয়ারি খেলবে শিরোপার অন্যতম দুই দাবিদার ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। পরেরদিন নামবে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় কোয়ার্টার টাইগার যুবাদের। আর ৩১ জানুয়ারি চতুর্থ ম্যাচে নামবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সেরা আটের পরীক্ষায় উতরে যেতে পারলে ৬ ফেব্রম্নয়ারির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ পাবে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে লড়া নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার জয়ী দলকে। প্রথম সেমিতে খেলবে অন্য দুই কোয়ার্টারের দুই বিজয়ী। তথা, ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ ও পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচের দুই জয়ী। চলতি আসরে জিম্বাবুয়ে ও স্কটল্যান্ডকে গ্রম্নপপর্বে উড়িয়ে দিয়ে যাত্রা করে বাংলাদেশ। আকবর-হৃদয়দের দল যদিও গ্রম্নপপর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুব বাজে ব্যাটিং করেছে। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে করতে হয় পয়েন্ট ভাগাভাগি। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দু'দলেরই পয়েন্ট ছিল ৫ করে, শ্রেয়তর রানরেটে গ্রম্নপ সেরা হয় টাইগার যুবারা। এদিকে হঠাৎ করেই জুনিয়র টাইগারদের শিবিরে ধাক্কা। চোটের কারণে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য পেসার মৃতু্যঞ্জয় চৌধুরীর। জানা গেছে, কাঁধের চোটের কারণে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছেন মৃতু্যঞ্জয়। তার বদলি হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন রুয়েল মিয়া। মৃতু্যঞ্জয়ের কাঁধে অস্ত্রোপচার লাগতে পারে বলে জানিযেছেন বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক হান্নান সরকার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের চলতি আসরে গ্রম্নপপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে দুটি উইকেট পান মৃতু্যঞ্জয়। চোটাক্রান্ত হওয়ায় গ্রম্নপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন না তিনি। দারুণ ফর্মে আছেন তরুণ পেসার রুয়েল মিয়া। জাতীয় লিগে সিলেট বিভাগের হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ১৩ উইকেট নেন তিনি।