ক্লাব যা চায় তাই করে বাফুফে!

প্রকাশ | ৩১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
দেশের সবথেকে জনপ্রিয় আসর প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। ফেব্রম্নয়ারিতে গড়াতে যাচ্ছে লিগের দ্বাদশ আসর। একযুগ পেরুলেও এখন পর্যন্ত ঘরোয়া ফুটবলের একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা দাঁড় করাতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ক্লাবগুলো যা চায় তাই করে দেশের ফুটবলের অভিভাবকরা। অথচ বিষয়টা হওয়ার কথা ছিল উল্টো। যথারীতি লিগ শুরুর আগেই তিন দফা পিছিয়েছে। বেশি বিদেশি মাঠে নামানোর সুযোগ দেয়ায় স্থানীয়দের সুযোগটা আরও কমে গেল। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ফুটবল চলে গিয়েছিল খাদের কিনারায়। সেখান থেকে কিছুটা হলেও উত্তরণ হয়েছে কোচ জেমি ডের হাত ধরে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে আবারও স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিলেন জামাল ভুইয়ারা। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। এসএ গেমসে অনূর্ধ্ব ২৩ দলের পারফরম্যান্স আর সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমি থেকে বিদায় নেয়ার হতাশায় ডুবেছে দেশের ফুটবল। এসএ গেমসের ময়নাতদন্ত শেষে জেমি ডে জানিয়েছিলেন ফুটবলারদের ক্লান্তির কথা। আর গোল্ডকাপ শেষে জোড় দাবি তোলেন লিগের কাঠামো বদলে স্থানীয় ফুটবলারদের বেশি খেলার সুযোগ করে দিতে। কিন্তু বুধবার লিগ কমিটির সভায় যে সিদ্ধান্ত এসেছে তা হতাশ করবে জেমি ডে ও দেশের ফুটবলারদের। ক্লাবগুলোর দাবির সামনে আবারও মাথা নোয়াতে হয়েছে পেশাদার লিগ কমিটিকে। আগে যেখানে ছিল চার বিদেশি। এবার এশিয়ান কোটাসহ মোট ৫ বিদেশি নিতে পারছে ক্লাবগুলো। আগে এক ম্যাচে বিদেশির বদলে স্থানীয় ফুটবলার নামানো যেত। এবার বিদেশির বদলে বিদেশিও নামাতে পারবে ক্লাবগুলো। সব মিলে ছোট হয়ে আসলো স্থানীয় ফুটবলারদের খেলার সুযোগ। দেশের ফুটবলের থেকে ক্লাব নিয়েই যেন মাথাব্যথা বেশি বাফুফের। ঘরোয়া ফুটবলের যে কোনো ধরনের সমস্যায় অধিকাংশ সময় ক্লাব যা বলে তাই করে আসছে বাফুফে। এবারও ক্লাবগুলোর সুবিধাকেই প্রাধান্য দিয়ে তিন দফা পেছানো হয়েছে লিগ। সেই সঙ্গে বিদেশি খেলানোর সুযোগটাও বাড়িয়েছে বাফুফে। এ বিষয়ে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদীর অযুহাত হলো, 'ক্লাবগুলো আমাদের স্টেক হোল্ডার। তাদের সুবিধা অসুবিধার দিকগুলোও আমাদের দেখতে হবে। তারা আমাদের অনুরোধ করেছে যদি বিদেশির বদলে বিদেশি নামানোর সুযোগটা দেয়া হয়, তাহলে সময় একটু বেশি লাগলেও আস্তে আস্তে তাদের ইনভেস্টমেন্টটা উঠে আসবে। পারফরম্যান্সটাও ঠিক থাকবে। এছাড়া বিদেশির বদলে স্থানীয় ফুটবলার নামানের সুযোগ তো থাকছেই। এশিয়ান কোটা যা ছিল সেটিই থাকবে।'