ট্রিপল সেঞ্চুরি করে তামিম ইকবাল ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলকে প্রথম ইনিংসে এনে দিয়েছিলেন ৩৪২ রানের লিড। নাঈম হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আর ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি তামিম-মুমিনুলদের। তরুণ অফস্পিনার একাই ৬ উইকেট নিয়ে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলকে দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে দিয়েছেন ৩৩৩ রানে। সোমবার ইনিংস ও ৯ রানের ব্যবধানের জয় দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) শুরু করেছে পূর্বাঞ্চল।
মিরপুরে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুমিনুল হক আর চট্টগ্রামে মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সতীর্থদের পথ অনুসরণ করে তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার ছুঁয়েছেন লিটন দাসও। চট্টগ্রামে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ১৫তম সেঞ্চুরির দিনে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে দল দুটি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে খেলতে নামার আগে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুতিটা হলো বেশ। স্কোয়াডে থাকা আট ব্যাটসম্যানের চারজনই দেখা পেয়েছেন সেঞ্চুরির। সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৬৮ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ২ ছক্কা মারেন লিটন। এই ইনিংস খেলার পথে প্রথম শ্রেণিতে ৫ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে গেছেন তিনি। ৬৫ ম্যাচের ১১১ ইনিংসে ৪৮.৮৪ গড়ে তার রান এখন ৫ হাজার ৩১।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান লিটনের সেঞ্চুরিতে বিসিএল'র প্রথম রাউন্ডের ম্যাচের শেষ দিনে ৪ উইকেটে ২৭৮ রান তোলে উত্তরাঞ্চল। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সামনে লক্ষ্য ছিল ৪৫৪ রানের। তৃতীয় দিনের বিনা উইকেটে ২২ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল দলটি। এদিন নাঈম ইসলামের নেতৃত্বাধীন উত্তরাঞ্চল আরও ২৫৬ রান যোগ করার পর ড্র মেনে নেয় দুদল।
চারে ব্যাট করতে নামা লিটন ৮১ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ফিফটি পূরণ করেন। একই গতিতে ব্যাট চালিয়ে তুলে নেন সেঞ্চুরি, মুখোমুখি হওয়া ১৬৫তম বলে। ফজলে মাহমুদের করা ইনিংসের ৭৮তম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে সিঙ্গেল নিয়ে মাইলফলকে পৌঁছে যান লিটন। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলার পথে তৃতীয় উইকেটে জুনায়েদের সঙ্গে ১২৫ ও চতুর্থ উইকেটে দলনেতা নাঈমের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তিনি।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চলের ২৬২ রানের জবাবে উত্তরাঞ্চল অলআউট হয়েছিল ২০৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ৩৯৮ রান তুলে আগের দিন ইনিংস ঘোষণা করেছিল আব্দুর রাজ্জাকের দক্ষিণাঞ্চল। দলটির হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন শাহরিয়ার নাফীস, শামসুর রহমান ও মাহমুদউলস্নাহ।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচের চতুর্থ ও শেষদিনের খেলা এক ঘণ্টা বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় মধ্যাঞ্চল। নাঈম ২৯ ওভার বোলিং করে ৮৫ রান খরচায় নেন ৬ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া তাইজুল ইসলাম দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ২টি উইকেট। রুবেল হোসেন ও আবু জায়েদ রাহি নেন একটি করে উইকেট।
মধ্যাঞ্চলের মোহাম্মদ মিঠুন ৮৩, তাইবুর রহমান ৬২ ও নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৫৪ রান। পাকিস্তান সফরে টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা সাইফ হাসান ৩৩ ও শুভাগত হোম করেন ৩৫ রান।
পূর্বাঞ্চলের ওপেনার তামিম ৩৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার সুবাদে অনুমেয়ভাবেই হাতে তুলেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।