সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
টি২০তে অধিনায়ক হিসেবে শীর্ষে কোহলি ক্রীড়া ডেস্ক বে ওভালে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি২০তে নিউজিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে ভারত। ফলে কিউইদের তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করার কীর্তি গড়ল টিম ইন্ডিয়া। আর ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন বিরাট কোহলি। অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি টি২০ সিরিজ জিতেছেন তিনি। ১৫টি সিরিজে নেতৃত্ব দিয়ে কোহলি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জিতেছেন ১০টি। পেছনে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ফাফ ডু পেস্নসিসকে। দীর্ঘদিন ধরে এই রেকর্ডটা নিজের করে রেখেছিলেন ডু পেস্নসিস। ১৫টি সিরিজের মধ্যে ৯টি জিতেছিলেন তিনি। ৫-০ তে সিরিজ জয়ে আরও একটি রেকর্ড গড়া হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে কোনো দলের ৫-০ ব্যবধানে টি২০ সিরিজ জেতার নজির নেই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে। বিরাট কোহলির ভারত গড়েছে সেই রেকর্ডটিও। এক নজরে সবচেয়ে বেশি টি২০ সিরিজ জেতা অধিনায়করা : বিরাট কোহলি-১০টি, ফাফ ডু পেস্নসিস-৯টি, ইয়ন মরগান-৭টি, ড্যারেন স্যামি-৬টি ও মহেন্দ্র সিং ধোনি-৫টি। বোকার মতো খেলেছে কিউইরা! ক্রীড়া ডেস্ক ভারতের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়ে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় ও চতুর্থ টি২০ ম্যাচের ভাগ্য সুপার ওভারে গেলেও হারই তাদের সঙ্গী হয়েছে। সর্বশেষ শেষ এবং পঞ্চম টি২০তেও তারা হেরেছে ৭ রানে! এভাবে হেরে যাওয়ার কারণ বোকার মতো ক্রিকেট খেলা! হঁ্যা, এমনটিই মনে করছেন সাবেক পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এই সিরিজ নিয়ে বলেছেন, 'যা দেখলাম, ওরা আসলে বোকার মতোই কাজ করেছে। আমার মনে হয়, ওদের বলপ্রতি কীভাবে খেলতে হবে তা শেখা প্রয়োজন। পাঁচ টি২০'র মধ্যে দুটিতে ওরা টাই করেছে। শেষ ম্যাচে তো বলপ্রতি রানও সেভাবে ছিল না। কিন্তু তারা হেরে গেলো।' আর তাই শেষ ম্যাচে রান তাড়ায় জয়টা প্রায় হাতের মুঠোয় এনে ফেলেছিলেন রস টেলর ও টিম সেইফার্ট জুটি। চতুর্থ উইকেটে দুজন যোগ করেন ৯৯ রান। ১৩তম ওভারে সেইফার্টকে ফিরিয়েছেন সাইনি। তার বিদায়ের পর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের এমন ক্রিকেট দেখে বিস্মিত হয়েছেন শোয়েব, 'এক ওভারে ওরা তিন উইকেট হারিয়েছে, শেষ ম্যাচেও এমনটি হয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না, আসলে ওরা কী করছে। এটা সত্যিই যন্ত্রণাদায়ক, টেলরের মতো অভিজ্ঞ একজন ব্যাটসম্যান ম্যাচটা শেষ করতে পারল না। আমার কাছে এটা বোকামিই মনে হয়েছে। আমি আসলে জানি না ওরা কোন ধারার ক্রিকেট খেলছে।' তবে ভারতীয় বোলারদের প্রশংসা করেছেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার। তার দৃষ্টিতে জাসপ্রিত বুমরাই এক্স-ফ্যাক্টর, 'বুমরা, সাইনি ও শার্দূল সবাই ভালো খেলেছে। তবে বুমরা ছিল এক্স ফ্যাক্টর। ভারতীয় দল চাপটা ভালোভাবেই সামলেছে, তবে নিউজিল্যান্ড আমাকে হতাশ করেছে। ওরা যে বোকামিটা করেছে, তাতে সব সমালোচনাই ওদের জন্য প্রাপ্য। ওদের খেলার ধরনও ছিল অনেকটা শিশুসুলভ। দেখে মনে হয়েছে ওরা পুরোপুরি অপেশাদার এক দল।' ম্যানসিটিকে হারাল টটেনহাম ক্রীড়া ডেস্ক ম্যাচের অধিকাংশ সময় আধিপত্য করে খেলল ম্যানচেস্টার সিটি, কিন্তু পেল না গোলের দেখা। উল্টো ১১ মিনিটের ঝড়ে হয়ে গেল সব এলোমেলো। রোববার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে স্টিভেন বেহরভেন ও সন হিউং মিনের লক্ষ্যভেদে ম্যানসিটির বিপক্ষে ২-০ গোলের দারুণ এক জয় তুলে নিল টটেনহাম হটস্পার। রাতের আরেক ম্যাচে বার্নলির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে আবারও পয়েন্ট হারিছে আর্সেনাল। আর সিরি'আতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জোড়া লক্ষ্যভেদে ফিওরেন্টিনাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করল জুভেন্টাস। টটেনহামের হয়ে অভিষেকটা জয়ে রাঙিয়েছেন স্টিভেন বেহরভেন। প্রিমিয়ার লিগে তার গোলে ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে স্পাররা। অথচ পুরো ম্যাচে আধিপত্য ছিল ম্যানসিটির। ভাগ্য সহায় ছিল না বলে একটি গোলও করতে পারেনি তারা। না হলে পেনাল্টি থেকে গোলের সুযোগ পেয়েও কেন মিস করবে ম্যানসিটি? ৩৬ মিনিটে আগুয়েরো বিপজ্জনক অঞ্চলে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন। ভিএআরের সাহায্যে তাদের পেনাল্টি দেওয়া হলেও বল পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছেন জার্মান মিডফিল্ডার ইলকায় গুন্দোয়ান। তার শট রুখে দিয়েছেন গোলকিপার উগো লরিস। দ্বিতীয়ার্ধে সিটি আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে ১০ জনের দলে পরিণত হলে। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়ে যান ডিফেন্ডার জিনচেঙ্কো। এর পরেই এগিয়ে যায় টটেনহাম। ৬৩ মিনিটে দারুণ এক ভলিতে প্রথম গোলটি করেন ডাচ মিডফিল্ডার বেহরভেন। চাপ পড়ে যাওয়া সিটি আরও পিছিয়ে যায় ৭১ মিনিটে। সন হিউং মিনের শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জড়ায় সিটির জালে। এই জয় অবশ্য পাঁচে উঠিয়ে দিয়েছে টটেনহামকে।