পাকিস্তানকে হারাতে চায় টাইগাররা!

এখন যে আমাদের দলটি আছে, যদি আমরা ভালো খেলতে পারি, তামিম ভাই, মুমিনুল ভাই রানের মধ্যে আছেন। অন্যরাও ভালো টাচে আছেন। মনে হচ্ছে আমরা যদি ভালো খেলতে পারি, তাহলে আমরা পাকিস্তানকে হারাতে পারব -ইবাদত হোসেন

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় দফায় টেস্ট খেলতে মঙ্গলবার দেশ ছাড়ার আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নাঈম-রাহী-তামিমরা -বিসিবি
শেষ চার টেস্টের তিনটিতেই সেঞ্চুরি করেছেন পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ডানহাতি ব্যাটসম্যান বাবর আজম। অপর ম্যাচেও প্রায় সেঞ্চুরির দ্বারে ছিলেন। আউট হয়েছেন ৯৭ রানে। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দে আছেন পাকিস্তানের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আর তাই সফরকারী বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি তিনি। তাকে আটকানোর জন্য নিঃসন্দেহে আলাদা পরিকল্পনা করতে হচ্ছে বাংলাদেশের বোলারদের। তবে বাংলাদেশের দলের পেসার ইবাদত হোসেন বললেন, ভালো বল যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্যই ভালো। শুধু যে টেস্টেই ছন্দে আছেন বাবর তাও নয়, সব সংস্করণেই দারুণ ছন্দে তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ টি২০ ম্যাচেও সাবলীল খেলে খেলেছেন হার না মানা ৬৬ রানের ইনিংস। সবমিলিয়ে ব্যাট হাতে নামলেও প্রতিপক্ষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছেন। তবে ইবাদতের কথায় এটাই পরিষ্কার সঠিক লাইন লেংথে বল করতে পারলে শুধু বাবর আজম কেন যেকোনো ব্যাটসম্যানকেই আটকে রাখা সম্ভব। তাই এদিকে নজর দিচ্ছেন এ পেসার, 'ভালো বল সবার জন্যই ভালো বল। বাবর আজম টি২০'র এক নম্বর ব্যাটসম্যান। জানি না টেস্টে কী হয়। আমরা চেষ্টা করব ওর বিপক্ষে ভালোভাবে বল করার জন্য। পেসাররা ভালো করতে পারলে টেস্টে আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা কিছুটা হলেও ভালো হবে।' বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শেষ আসরে বেশ দারুণ নিয়ন্ত্রিত বল করেছিলেন ইবাদত। সে ধারা প্রথম শ্রেণির ম্যাচেও ধরে রেখেছিলেন। এবার পাকিস্তানেও ভালো করতে চান তিনি, 'বিপিএল সংক্ষিপ্ত সংস্করণের খেলা ছিল। সেখানে মাথায় থাকে ২৪ বলের মধ্যে আমাকে সবকিছু করতে হবে। টেস্টে দেখেন অনেকক্ষণ বল করার সুযোগ থাকে। টেস্টে ধারাবাহিকতাটা হচ্ছে আসল ব্যাপার। ওটা নিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমি যথেষ্ট কাজ করেছি। তো দেখা যাক কী হয়। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু করার।' পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলার আগে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ নেই বাংলাদেশের। এমনকি ভ্রমণ ক্লান্তি কাটাতে মাত্র একদিন সময় পাচ্ছে টাইগাররা। তার ওপর রাওয়ালপিন্ডির উইকেটে খেলার পূর্ব কোনো অভিজ্ঞতাও নেই। তবে এসবকিছু নিয়ে ভাবছেন না ইবাদত। নিজের সেরাটা দেওয়ার ব্যাপারেই মনোযোগ দিচ্ছেন ডানহাতি এই পেসার, 'অসুবিধা না, আমি যতুটুকু শুনেছি পাকিস্তানের উইকেট মোটামুটি ব্যাটিং উপযোগী হয়। তো ওভাবে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি যদি ব্যাটিং উপযোগী হয় কীরকম আক্রমণ করতে হবে। সেটিও আমাদের ভালোভাবে জানা আছে। আমরা বিসিএলের একটা ম্যাচ খেলেছি ওখানে চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দেয়ার এবং নিজের প্রস্তুতি ভালোভাবে সেরা নেওয়ার কাজটি ঠিকভাবে করেছি।' ২০০৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ তখন নবীন। পাকিস্তান সফরে মুলতান টেস্টে অল্পের জন্য গড়া হয়নি ইতিহাস। খালেদ মাহমুদ, হাবিবুল, আশরাফুলদের আশাভঙ্গের বেদনায় সেদিন পুড়েছিল প্রত্যেক টাইগার ক্রিকেটপ্রেমীই। ইনজামাম-ইউসুফদের সঙ্গে জিততে জিততে ১ উইকেটে হেরে যাওয়া দলটি যে ছিল বাংলাদেশ। ১৭ বছর পর টেস্ট খেলতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মুলতানে খেলা সেই দলটির কেউই নেই বর্তমান স্কোয়াডে। তারপরও রুদ্ধশ্বাস ওই ম্যাচটি অনুপ্রেরণা হিসেবে ধরা দিচ্ছে তরুণ ক্রিকেটার ইবাদত হোসেনের কাছে। রাওয়ালপিন্ডির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে ডানহাতি এই পেসার জানিয়ে গেলেন সম্ভাবনার কথা, 'তখনকার দল অনেক ভালো ছিল আমাদের। যারা খেলেছেন তাদের প্রায় সবাই এখন ক্রিকেট বোর্ডে আছেন। এখন যে আমাদের দলটি আছে, যদি আমরা ভালো খেলতে পারি, তামিম ভাই, মুমিনুল ভাই রানের মধ্যে আছেন। অন্যরাও ভালো টাচে আছেন। মনে হচ্ছে আমরা যদি ভালো খেলতে পারি, তাহলে আমরা পাকিস্তানকে হারাতে পারব।' আগামী শুক্রবার থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দফার টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের বিমান ধরছে মুমিনুল-মাহমুদউলস্নাহরা। কাতার হয়ে গিয়ে দেশটিতে পৌঁছবে আজ বুধবার। এরপর মাঝে একদিন বিশ্রামের পরই মাঠে নামতে হচ্ছে টাইগারদের।