বাফুফের সিদ্ধান্তে অবাক জেমি ডে

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম সমস্যা স্ট্রাইকার। গত দুই বছরে মাঠে দুর্দান্ত ফুটবল খেললেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। তার প্রধান কারণ ভালো এবং দক্ষ স্ট্রাইকার না থাকা। পেশাদার লিগে ফুটবলাররা নিজস্ব পজিশনে খেলতে পারেন না। আক্রমণভাগে প্রাধান্য থাকে বিদেশির। সমস্যা সমাধানে লিগে স্থানীয় ফুটবলারদের নিজস্ব পজিশনে খেলানোর পরামর্শ জেমি ডের। কিন্তু সম্প্রতি বাফুফে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে উল্টো সুযোগ কমে গেছে স্থানীয়দের। আর তাতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে। মাঠে যত ভালো পারফরম্যান্সই হোক না কেন। দিন শেষে আলোচনায় থাকে ম্যাচের ফলাফল। সেই ফলাফলটাই নিজেদের পক্ষে আনতে পারছে না বাংলাদেশ জাতীয় দল। দেশের ফুটবলের দুঃখ স্ট্রাইকার। আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিপক্ষের বক্সে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেন জাতীয় দলের স্ট্রাইকাররা। এর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে লিগে নিজস্ব পজিশনে স্ট্রাইকারদের খেলতে না পারাকেই চিহ্নিত করেছেন জেমি। কিন্তু বাফুফে হেঁটেছে উল্টো পথে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার ক্লাবগুলো ৫ বিদেশিকেই মাঠে খেলাতে পারবে। বর্তমানে ছুটিতে লন্ডনে আছেন জেমি ডে। তবে বাফুফের এই সিদ্ধান্তের কথা জেনেছেন। এ বিষয়ে তার ভাষ্য, 'হঁ্যা। আমি জেনেছি বাফুফের নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা। আমি নিশ্চিত না এর মধ্য দিয়ে জাতীয় দল এবং স্থানীয় ফুটবলারদের কী লাভ হবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি ফুটবলারদের খেলা আরও সীমাবদ্ধ করা হলো। সিদ্ধান্তটাকে আমার কাছে অদ্ভুতই মনে হচ্ছে।' আপনি সব সময় বিদেশি কোটা কমানোর কথা বলে আসছেন। দেশেও এমন দাবি অনেক দিন ধরে। নিশ্চয়ই এই সিদ্ধান্তে আপনি হতাশ হয়েছেন? জেমি ডের জবাব- 'আমি বলব বাংলাদেশি ফুটবলারদের জন্য শুধু দুঃখই অনুভব করছি। তবে বাফুফে যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই করেছে। তাদের দেয়া সিদ্ধান্তের মধ্যে থেকেই আমাকে কাজ করতে হবে। আসলে প্রথম হলো খেলোয়াড়দের নিজেদের পজিশনে খেলা প্রয়োজন। যদি তারা সেটা না পারে তাহলে পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে না। আমি শুধু তাদের সহায়তা করতে পারি যখন তারা জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকে। কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়।' এখানে প্রতিভাবান কোনো স্ট্রাইকার দেখেছেন যারা আগামীর জন্য তৈরি হতে পারবেন? 'না। বর্তমানের খেলোয়াড়দের মধ্যেই যে কয়জন আছেন। এর বাইরে তেমন নেই। আমি একাডেমির ইংরেজ কোচদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা বলি। সেখানে যারা আছে তারা হয়তো ভালো ফুটবলার হবে। কিন্তু তারা যখন ক্লাবে খেলবে তখন কি ঠিক পজিশনে সুযোগ পাবে? এজন্য যুবাদের লিগ নিয়মিত প্রয়োজন। সেখানে প্রকৃত পজিশনে খেলার সুযোগ পেলে তাদের অভিজ্ঞতাও বাড়বে'- বলেছেন জেমি ডে। তাহলে কি বাংলাদেশের এই স্ট্রাইকিং সমস্যা সহসা দূর হবে না? জেমি ডে বলেন, 'খুব সহসা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। আগে ঘরোয়া ফুটবলের কাঠামো বদলাতে হবে। বাফুফেকে আমি সব সময় বলি, প্রয়োজনে আরও বলব। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক তো তারাই।'