হতাশার ড্র'য়ে শুরু আবাহনীর

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
নিজেদের ঘরের মাঠে এএফসি কাপের মিশনটা জয়ে শুরুর লক্ষ্য ছিল ঢাকা আবাহনীর; কিন্তু সেটি সম্ভব হলো না। বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের সঙ্গে ২-২ গোলের হতাশার ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী। গত বছর এএফসি কাপে ঢাকা আবাহনীর মিশনটা ছিল ভিন্ন। তারা খেলেছিল টুর্নামেন্টের ইন্টারজোন সেমিফাইনালে। আর এবার তারা খেলছে এএফসি কাপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের পেস্ন-অফের দ্বিতীয় রাউন্ডে। ঘরের মাঠেই প্রথম লেগ। যেখানে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল ঘরোয়া ফুটবলের জায়ান্টরা। ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ সানিয়ে গেছে গোল পেতে মরিয়া ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনী খেলেছে ৪-৩-৩ ছকে। জীবন-সানডে-বেলফোর্ট আক্রমণত্রয়ী শুরু থেকে প্রতিপক্ষের সীমানায় বল নিয়ে গেলেও গোল করতে পারেননি। ১৬ মিনিটেই আবাহনী গোল হজম করতে বসেছিল! মধ্যমাঠ থেকে জীবনের ব্যাক পাস থেকে বল পেয়ে যান প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় করনেলিউস এসেকিয়েল। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে গ্রানাডার এই স্ট্রাইকার সাদ উদ্দিন ও মেলসনকে কাটিয়ে লক্ষ্যে শট নিলেও বল গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেলের শরীরে লেগে ফিরে আসে। ম্যাচ ৩০ মিনিট পেরোনোর পর আবাহনী প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে গিয়ে আক্রমণ করতে পেরেছে। ৩১ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়াও হয়েছে তাদের। মামুনুলের মাপা কর্নারে জোড়ালো হেড নিয়েছিলেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হলো না। তার হেড পোস্টে লেগে ফেরত আসে। পরের মিনিটে বেলফোর্টের গড়ানো শট তালুবন্দি করেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। ৩৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মেলসন আলভেজের বুলেট গতির ফ্রি-কিক গোলকিপার ওভাইস আজিজি পাঞ্চ করে ফিরিয়ে দেন। ৪২ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে গোল করে এগিয়ে যায় অতিথিরা। মাজিয়ার ইব্রাহিম হুসেনের ডান প্রান্তের লব থেকে লক্ষ্যভেদ করেন এসেকিয়েল (১-০)। তবে গোল হজম করলেও মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়েনি স্বাগতিকরা। গোল পেতে চেষ্টা চালিয়েই যেতে থাকে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সাফল্য আসে আবাহনীর শিবিরে। ডিফেন্ডার রায়হান হাসানের ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল ভলিতে মাজিয়ার জালে পাঠান আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মেলসন আলভেজ (১-১)। দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টাতে ছিল উভয় দলই। যে কারণে এই অর্ধেও হয়েছে আরও দু'টি গোল। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নাইজ হাসানের জোরালো শট আবাহনী গোলরক্ষক সোহেল পাঞ্চ করেন। কিন্তু সেই বল পেয়ে যান প্রতিপক্ষের কর্নিলেয়াস। ডান পায়ের শটে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি (২-১)। তবে ৮০ মিনিটে আবারো ম্যাচে সমতা আসে। রায়হানের থ্রো থেকে বল পেয়ে সামনে বাড়ান ব্যালফোর্ট। বক্সে থাকা সানডে সেই বলে পা ছুইয়ে পাঠিয়ে দেন মাজিয়ার জালে (২-২)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। তাই রেফারি শেষ বাঁশি বাজালে ড্র'য়ের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা। এবার পেস্ন অফ পর্ব পার হতে পারলে আবাহনীও খেলবে 'ই' গ্রম্নপে। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে যেখানে আগেই নাম লিখিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের আরেক ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। মাজিয়ার বিপক্ষে আবাহনীর পরবর্তী ম্যাচ ১২ ফেব্রম্নয়ারি মালদ্বীপে।