শিরোপায় চোখ ঢাকা আবাহনীর

প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ঘরোয়া ফুটবলের জনপ্রিয় আসর প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের সব থেকে সফলতম দল ঢাকা আবাহনী। এখন পর্যন্ত মোট ১১টি আসরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬টি শিরোপা জেতার কৃতিত্ব তাদের। পরপর দুটি শিরোপা জেতার পর তাদের হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার সুযোগটি হাতছাড়া হয়েছে গত আসরে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে পয়েন্টে পিছিয়ে পড়ে। তবে আসন্ন মৌসুমে আবারো স্বরুপে ফিরতে চায় ঢাকা আবাহনী। হারানো শিরোপা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন কোচ মারিও লেমোস। কারো প্রতি একক নির্ভরশীলতা নয়, বরং আসন্ন প্রিমিয়ার লিগে একটা দল হয়ে খেলতে চায় ধানমন্ডি পাড়ার ক্লাব ঢাকা আবাহনী। ডাগ আউটে এবারও পরীক্ষিত পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস। কোচ মনে করেন, ফেডারেশন কাপের ভুলত্রম্নটিগুলো শুধরে নিতে পারলে আবাহনীর পক্ষে শিরোপা পুনরুদ্ধার অসম্ভব কিছু নয়। আবাহনীর জার্সিতে ২০১৯-২০ মৌসুমটা স্মরণীয় করে রাখতে চান ফুটবলারও। গত কয় আসর ধরেই দারুণ জমজমাট ঘরোয়া ফুটবল। দল বদলে নানান চমক। আর শিরোপা রেসে থাকার মতোই ৫-৬টি দল প্রতি মৌসুমেই থাকছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। পেশাদার ফুটবল লিগের রাজা বলা হয় ঢাকা আবাহনীকে। নতুন ক্লাবগুলো যতই সাফল্য নিয়ে আসুক না কেন আবাহনীকে ছুঁতে তাদের আরও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। ঘরোয়া ফুটবল লিগে পেশাদারিত্বের ছোঁয়া লেগেছে ২০০৭ সাল থেকে। প্রথম আসরেই চীরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে পেছনে ফেলে লিগ শিরোপা জেতার কৃতিত্ব দেখায় ঢাকা আবাহনী। এরপর ২০০৮ এবং ২০০৯ আসরের শিরোপাও যায় আবাহনীর ঘরেই। অর্থাৎ শুরুতেই হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতে আবাহনী। এই তিন আসরেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে রানার্স থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে মোহামেডানকে। মাঝে ২০১০ সালে লিগের শিরোপা নেয় শেখ জামাল। কিন্তু পরের বছরেই আবারো স্বরূপে ফিরে ঐতিহ্যবাহী আবাহনী। শিরোপা পুনরুদ্ধার করে তারা। ২০১২ সালে শেখ রাসেল আর পরের দুই আসরে আধিপত্য ছিল ধানমন্ডিরই আরেক ক্লাব শেখ জামালের। এই তিন আসরের মধ্যে ২০১৩-১৪ আসরের রানার্সআপ হয়েছিল আবাহনী। পরের আসরটি হয়েছিল ২০১৬ সালে। যেখানে আবারও শিরোপা জেতে আকাশি-হলুদরা। ২০১৭-১৮ আসরেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখে ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। তবে গত আসরে নবাগত শক্তি বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে পেরে উঠেনি ঢাকা আবাহনী। যে কারণে লিগের রানার্সআপ থেকেই সন্তষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের। এবার আবারো শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে নেমেছে পেশাদার লিগের অন্যতম সফল ক্লাবটি। আগামী ১৩ ফেব্রম্নয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে লিগের ১২তম আসরটি। সপ্তমবারের মতো লিগ শিরোপা জিততে আত্মবিশ্বাসী ক্লাবের কোচ মারিও লেমোস, 'আমরাদের দলটা দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ। বিশেষ করে রক্ষণ ও আক্রমণভাগ। ফেডারেশন কাপে আমরা বেশ কিছু ভুল করেছিলাম। আশা করছি ছেলেরা লিগে নিজেদের শুধরে নিতে পারবে। শিরোপাতেই চোখ আমাদের।' আবাহনীর স্কোয়াডের দিকে তাকালে বোঝা যাবে কোচের কথায় কেন এত আত্মবিশ্বাস। অর্ধকোটি টাকায় শেখ রাসেল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে। ঘরে ফিরছেন ঘরের ছেলে নাসিরুদ্দিনও। গোলবার সামলাবেন শহিদুল সোহেল। তাকে সঙ্গ দেবেন শাকিল-শামীম-নাঈমরা। রক্ষণে অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে থাকবেন দেশের ফুটবলের পরিণত মুখ রায়হান-ওয়ালি-মামুন মিয়া কিংবা বিদেশি রিক্রুট আলেদিন নাসের। মধ্যমাঠের নেতৃত্বে জুয়েল-সোহেলরা। প্রাণতোষ -মামুনুলরা যে এখনও ফুরিয়ে যাননি তা আরও একবার প্রমাণের পালা। আর ফরোয়ার্ড লাইনে জীবন-সানডে-বেলফোর্ট ত্রয়ী গুড়িয়ে দিতে পারে প্রতিপক্ষের রক্ষণদুর্গ। শুধু তাই নয়, ৫ বিদেশি কোটার ৫ম ফুটবলার হিসেবে ল্যাটিন আমেরিকার আরও এক মিডফিল্ডারকে দলে ভেড়ানো পরিকল্পনা ঢাকার জায়ান্টদের।