কপিলের সঙ্গে তুলনায় আপত্তি পান্ডিয়ার

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়া ভারত দুদিনেই ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে হাদির্ক পান্ডিয়ার অবিশ্বাস্য এক স্পেলে। তার দুদার্ন্ত বোলিংয়েই প্রথম ইনিংসে ভারতের তোলা ৩২৯ রানের জবাবে মাত্র ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ২৮ রান খরচায় পান্ডিয়া তুলে নেন ৫ উইকেট। তাতে নতুন করে কিংবদন্তি কপিল দেবের সঙ্গে তার তুলনা টানার বিষয়টা সামনে এসেছে। তবে বিষয়টা মোটেও পছন্দ হচ্ছে না পান্ডিয়ার। ২৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার কারও মতো নয়, নিজ নামেই পরিচিত হতে চান। সা¤প্রতিক সময়ে পান্ডিয়াকে ঘিরে শোনা গেছে নানান সমালোচনা। স্বদেশি সুনীল গাভাস্কার, হরভজন সিং থেকে শুরু করে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিং পযর্ন্ত এই অলরাউন্ডারকে বিদ্ধ করেছিলেন সমালোচনার তীরে। তার সঙ্গে কপিল দেবের তুলনায় ক্ষেপেছিলেন গাভাস্কার। হরভজন-হোল্ডিংও এক হাত নিয়েছিলেন দলে পান্ডিয়ার অবদানের প্রশ্ন তুলে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে পুরোপুরি ব্যথর্ ছিলেন তিনি। তবে ট্রেন্ট ব্রিজে তার হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। মাত্র ২৯ বলের স্পেলে পাঁচ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন এই পেসার। পারফরম্যান্সেই দিয়েছেন সমালোচনার জবাব। গত বছর শ্রীলংকার অভিষেক হওয়ার পর থেকেই নজর কাড়েন পান্ডিয়া। দুরন্ত পারফরম্যান্সের কারণে তাকে তুলনা করা হচ্ছিল ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবের সঙ্গে। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র সফল জেনুইন পেস অলরাউন্ডার কপিল। তার পর পান্ডিয়াকে ঘিরেই নতুন আশা দেখতে শুরু করেছে সবাই। তাই হরহামেশাই তুলনা হচ্ছে। কিন্তু পান্ডিয়া জানিয়ে দিলেন, এমন তুলনা চান না তিনি, ‘আমি কখনই কপিল দেবের মতো হতে চাইনি। আমাকে হাদির্ক পান্ডিয়া হিসেবেই থাকতে দিন। পান্ডিয়া হিসেবেই আমি ভালো আছি। পান্ডিয়া হিসেবেই আমি এ পযর্ন্ত ৪০টি ওয়ানডে ও ১০টি টেস্ট খেলেছি। কপিল দেব হিসেবে নয়। তিনি তাদের জায়গায় সেরা। আমাকে অন্য কারো সঙ্গে তুলনা করা বন্ধ করুন।’ সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে শোচনীয় হারের পর ট্রেন্ট ব্রিজে ঘুরে দঁাড়ানোর বিকল্প ছিল না ভারতের সামনে। এই মাঠে কেবল একবারই টেস্ট জিতেছিল ভারত। সেটা রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে ২০০৭ সালে। সেই টেস্টটি জিতেছিল জহির খানের দুদার্ন্ত বোলিং নৈপুণ্যে। রোববার পান্ডিয়ার সুইংয়ের সামনে মাত্র ৩৮.২ ওভারে ভেঙে পড়ে ইংলিশদের ব্যাটিং লাইনআপ। এ বিষয়ে পান্ডিয়া বলেন, ‘আমি সুইং করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি সুইং করাতে চান, তবে বল কিছুটা ফুল টস হয়ে যাবে। আর তাতে মার খাওয়ার ঝঁুকিও বাড়বে। আমি তাতে ভীত ছিলাম না। কারণ যখন উইকেট আসে তখন রান কোনো বড় বিষয় হয়ে ওঠে না।’