রাসেলের শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ঘরোয়া ফুটবলে শিরোপা রেসে যে কয়টি দল থাকে তার মধ্যে শেখ রাসেলও একটি। ২০১৩ সালটি ছিল এই ক্লাবের সব থেকে স্মরণীয় মৌসুম। কারণ সেবার ট্রেবল জিতে নতুন ইতিহাস রচনা করেছিল তারা। এবারের মৌসুমেও শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে দল গড়েছে ক্লাবটি। দলের কোচ সাইফুল বারি টিটু জানালেন গত মৌসুম থেকে ভালো করার লক্ষ্য তাদের। পেশাদার লিগ মাঠে গড়িয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। উদ্বোধনী দিনের তিন ম্যাচের একটিতে মাঠে নেমেছিল শেখ রাসেল। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি অলবস্নুজদের। ব্রাদার্সের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র করাতে ২ পয়েন্ট হারানোর আক্ষেপ নিয়েই লিগের শুরুটা হয়েছে তাদের। তবে লিগ লম্বা সময় ধরে হবে তাই ম্যাচ বাই এগুনোতেই চোখ রাখছে শিরোপা প্রত্যাশী রাসেল। পেশাদার ফুটবল লিগের শিরোপাটা একবারই ঘরে তোলা হয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের। সেটি ২০১২-১৩ মৌসুমে। সেই মৌসুমটিকে বলা যায় ক্লাবটির স্বর্ণ যুগ। কারণ লিগের সঙ্গে অন্য দুই টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপের শিরোপাও জিতেছিল তারা। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ৭টি বছর। কিন্তু ক্লাবের শোকেসে আর উঠেনি পেশাদার লিগের শিরোপা। লিগের রানার্স আপ হবার গৌরবটাও তাদের একবারই। সেটি ২০১৪-১৫ আসরে। দুই মৌসুম আগে (২০১৩) যেই শেখ জামালকে পেছনে ফেলে শিরোপা ঘরে তুলেছিল, সেই ক্লাবের সঙ্গেই পিছিয়ে পড়ে সেবার রানার্স আপ হয় তারা। এ যেন জামালের মধুর প্রতিশোধ। পেশাদার লিগে রাসেলের সর্বোচ্চ সাফল্য এই দুটিই। তবে লিগে বেশ ক'বার তৃতীয় হয়েছে তারা। ২০০৮ থেকে ১১ পর্যন্ত পর পর তিন আসরে টেবিলের তৃতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করে অলবস্নুজরা। এরপর ২০১৬ সালেও তৃতীয় স্থান পর্যন্তই পৌঁছতে পেরেছিল তারা। সর্বশেষ আসরেও অল্পের জন্য ঢাকা আবাহনীকে ছুঁতে পারেনি। ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে আবারও তৃতীয় হয় তারা। ক্লাব কর্তৃপক্ষ বলছে এবারও শিরোপা জয়ের জন্যই দল গড়েছে শেখ রাসেল। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো এবার ভালো দল গড়ায় সেটা মোটেই সহজ হবে না। তবে দলের কোচ সাইফুল বারি টিটু সরাসরি শিরোপা জয়ের কথা না বললেও সে রকম আভাসই দিলেন, 'একজন কোচ হিসেবে অবশ্যই চ্যালেঞ্জটা থাকবে। গতবার আমরা তৃতীয় হয়েছিলাম। এবার তার থেকে উপরে যাওয়া যায় কিনা সেই চেষ্টাই থাকবে। জানি সেটা চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে লিগটা যেহেতু লম্বা সময়ের। তাই ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুতে চাই আমরা।' এবার রাসেলের আক্রমণভাগ যে কোনো দলের জন্যই ভয় ধরিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। আছেন গেল মৌসুমের সর্বোচ্চ স্কোরার রাফায়েল। তাকে সঙ্গ দেবেন উজবেক আজিজভ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে খেলতে এসেছেন ব্রাজিলিয়ান পেদ্রো ও অস্ট্রেলিয়ান টিম হার্ড। দেশীয় তকলিস। রক্ষণে অ্যালিসন, উত্তম, মনি, বাবু, সোহেল রানা, রিফাত, মুন্না, উদীয়মান নোলকদের বাধা পেরিয়ে গোল পাওয়া এত সহজ হবে না প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের জন্য। মাঝমাঠে হেমন্ত, দিদারুল ও উদীয়মান আব্দুলস্নাহর ওপর ভরসা খুঁজছে রাসেল। আর দলের যাত্রায় ভূমিকা রাখতে চান জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাও। যদিও শিরোপা প্রত্যাশী শেখ রাসেলের এবারের মৌসুমের শুরুটাই ভালো হয়নি। মৌসুম সূচক ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টারেই পৌঁছাতে পারেনি তারা। গ্রম্নপ পর্বে তিন ম্যাচের দুটিতেই হেরে শেষ পর্যন্ত বিদায় নিতে হয়েছে। তবে সেই টুর্নামেন্ট থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার লক্ষ্য রানার,'আমার সব সময়ই একটা চ্যালেঞ্জ থাকে ডে বাই ডে আরও ভালো করার। যেকোন ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সেখান থেকে কামব্যাক করার চেষ্টায় থাকি।' এবার তারুণ্যের সঙ্গে ভালো মানের বিদেশি থাকায় লিগের লম্বা রেস শেষে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে বলে বিশ্বাস ক্লাব কর্তৃপক্ষের।