৩৫ ম্যাচে ৩৫ গোল রোনালদোর

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
বৃহস্পতিবার জুভেন্টাসের হয়ে ফিওরেন্তিনার বিপক্ষে গোল করার পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর উচ্ছ্বাস -ওয়েবসাইট
ফুটবল ময়দানে দু্যতি ছড়ালেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচেও অব্যাহত রাখলেন নিজের গোল স্কোরিং। কিন্তু সতীর্থরা পর্তুগিজ মহাতারকাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। তাইতো এসি মিলানের মাঠ থেকে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই ফিরতে হলো জুভেন্টাসকে। এনিয়ে গোল করেও গত চার ম্যাচের তিনটিতেই দলকে জেতাতে পারলেন না রোনালদো। ফিওরেন্তিনার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতলেও নাপোলি ও হেলস্নাস ভেরোনার কাছে সমান ২-১ ব্যবধানে হেরে বসে জুভেন্টাস। তবে এবার একটা সান্ত্বনা থাকছে- দল অন্তত হারেনি। সমতা রেখেই লড়াইটা শেষ করতে পেরেছে। মাঠে লড়াইটা শুধু জুভেন্টাস ও এসি মিলানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। লড়াইটা ছিল রোনালদো ও সুইডিশ তারকা ফরওয়ার্ড জ্‌লাতান ইব্রাহিমোভিচের মধ্যেও। কেউ জয়ের মুখ না দেখলেও দুই মেগাস্টারের দ্বৈরথে জিতলেন অবশ্য রোনালদোই। এবং সেটা গোল স্কোরিংয়ে। কেননা রোনালদো গোল পেলেও বঞ্চিত হন ইব্রা। বিতর্কিত ভিএআর সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় জুভেন্টাস। সুযোগটাই কাজে লাগান রোনালদো। ক্লাব ও দেশের হয়ে এনিয়ে ৩৫ ম্যাচে ৩৫ গোলের দেখা পেলেন গত সপ্তাহে ৩৫ বছরে পা রাখা ফুটবল দুনিয়ার এ সুপারস্টার। গোল করলেন টানা ১১ ম্যাচে। বৃহস্পতিবার রাতে শুরু থেকেই রক্ষণভাগে দুর্ভেদ্য দুর্গ গড়ে খেলতে থাকে দুদল। কেউ কাউকেই ছাড় দিচ্ছিল না কিছুতেই। যে কারণে ফুটবলপ্রেমীদের গোল উদ্‌যাপনে মেতে ওঠার জন্য থাকতে হয় অনেকটা অপেক্ষায়। সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় ম্যাচের এক ঘণ্টা পেরোনোর পর। ৬১তম মিনিটে মিলান শিবিরকে উচ্ছ্বাসের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যান আন্তে রেবিক। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বেশ দাপটের সঙ্গে এগিয়ে যেতে থাকে মিলান। দেখতে থাকে জয়ের স্বপ্ন। দশ মিনিট বাদেই তাদের জয়ের স্বপ্নটা খানিকটা হোঁচট খেয়ে বসে। লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন থিও হার্নান্দেজ। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষেও যখন গোলের দেখা নেই, অতিথি জুভ শিবির তখন হারের হতাশায় মুষড়ে পড়ার অপেক্ষায়। কিন্তু ইনজুরি টাইমের খেলা (৯০+১ মিনিটে) গড়াতেই ভক্তদের উজ্জীবিত করার সঞ্জীবনী এনে দেন সিআর সেভেন। পেনাল্টি থেকে মিলানের জালে বলের ঠিকানা গড়ে দেন পাঁচবারের এ ব্যালন ডি'অর জয়ী। নিশ্চিত হারের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল জুভেন্টাস। শেষে রোনালদোর এ গোলেই সমতায় ফেরে তার দল। হারের লজ্জা থেকে কোনোমতে বেঁচে মাঠ ছাড়ে বায়ানকোনেরি শিবির।