ইয়াসিরের সেঞ্চুরিতে লিডের আশায় পূর্বাঞ্চল

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের ম্যাচে সমানতালে লড়ছেন ব্যাটসম্যান-বোলাররা। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেও প্রায় একই চিত্র। আগেরদিন নাঈম হাসানের স্পিন ঘূর্ণির মাঝে সেঞ্চুরি করে উত্তরাঞ্চলকে বাঁচিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এদিন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের তোপ সামলে দারুণ সেঞ্চুরি করে মুশফিকদের জবাব দিয়ে চলেছেন ইয়াসির আলি রাব্বি। রান পেয়েছেন টেস্ট দলে ফেরার লড়াইয়ে থাকা ইমরুল কায়েসও। কক্সবাজারে অপর খেলায় প্রতিপক্ষের বোনাস পয়েন্ট ঠেকাতে ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকেও দক্ষিণাঞ্চলের অদ্ভুতুড়ের ইনিংস ঘোষণার পর আলো ছড়িয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে বড় লিড নিয়ে দ্বিতীয়দিন শেষ করেছে মধ্যাঞ্চল। শুক্রবার প্রথমদিন উত্তরাঞ্চলের ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম খেলেছিলেন ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। বল হাতে ৮ উইকেট তুলে মুশফিকের সাফল্যকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন পূর্বাঞ্চলের অফস্পিনার নাঈম হাসান। শনিবার কক্সবাজারে বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে উত্তর-পূর্বের ম্যাচ চলছে সমান তালে। উত্তরের ২৭২ রানের জবাবে ৭ উইকেটে ২৬১ রান তুলে দিন শেষ করেছে পূর্বাঞ্চল। ইয়াসির আলি রাব্বি অপরাজিত আছেন ১৩৪ রান করে, ইমরুল করেছেন ৭৬ রান। মুশফিকদের জবাব দিতে নেমে আগের দিনই ৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসেছিল পূর্বাঞ্চল। সকালে নেমে তড়িঘড়ি নাইটওয়াচম্যান সাকলাইন সজীবকেও হারায় তারা। এরপরই ইমরুলকে নিয়ে পরিস্থিতি সামলান ইয়াসির। দু'জনে মিলে বাড়াতে থাকেন রান। জুটি পেরিয়ে যায় শতরান। ১৩৭ রানের জুটির পর ৭৬ করা ইমরুলকে ফেরান সানজামুল। দ্রম্নতই আউট করেন নাসির হোসেনকেও। ইয়াসিরের সঙ্গে ৬৬ রানের আরেক জুটির পর ২৬ করা আফিফ হোসেনও সানজামুলের শিকার। শেষ বিকালে জাকির হাসানকে তুলে নেন সঞ্জিত সাহা। টানা উইকেট পতনের মাঝেও সেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত আছেন ইয়াসির। তার ব্যাটেই লিডের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পূর্বাঞ্চল। শনিবার কক্সবাজারে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিসিএলের ম্যাচে ঘটেছে অদ্ভুতুড়ে ঘটনা। মধ্যাঞ্চলের ২৩৫ রানের জবাবে ৪ উইকেটে ১১৪ রান তুলেই আকস্মিক ইনিংস ঘোষণা করে বসে দক্ষিণাঞ্চল। উদ্দেশ্য বোনাস পয়েন্ট ঠেকানো। কারণ বাইলজে আছে ১০০ ওভারের ভেতর কোন দল প্রতিপক্ষের ৫ উইকেটের বেশি ফেললে পাবে ০.৫ বোনাস পয়েন্ট, ৭ উইকেট ফেললে ১ পয়েন্ট আর ৯ বা অলআউট করলে ১.৫ পয়েন্ট। দক্ষিণাঞ্চলের ২৯তম ওভারেই তখন ৪ উইকেট ফেলে দিয়েছিল মধ্যাঞ্চল। বোনাস পয়েন্ট ঠেকিয়ে নিজেরা পরে পরে নিশ্চিত করেছে ০.৫ বোনাস পয়েন্ট। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৯ ওভার খেলে ৬ উইকেটে ২০৯ রান তুলেছে মধ্যাঞ্চল। বোনাস পয়েন্ট না পেলেও হাতে ৪ উইকেট রেখে তারা এগিয়ে আছে ৩৩০ রানে। বাকি দুইদিনে তাদের সামনে এখন ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনাও। দলকে ভালো লিড পাইয়ে দিতে দাপট দেখিয়েছেন শান্ত। ১৮৯ বলে ১২২ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি। ২১ রানের ভেতর দুই ওপেনার সাইফ হাসান আর আব্দুল মজিদ ফিরে ফেলে অভিজ্ঞ রকিবুল হাসানকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন শান্ত। দু'জনে মিলে গড়েন ১১১ রানের জুটি। ৩৯ করা রকিবুলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। পরে মার্শাল আইয়ুব, মেহেদি হাসান মিরাজকেও তুলে নেন তিনি। আব্দুর রাজ্জাক ছেঁটে ফেলেন শুভাগত হোমকে। শেষ বিকেলে দ্রম্নত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে হতচকিত মধ্যাঞ্চলের আশা বাঁচিয়ে জাবিদ হোসেনকে নিয়ে ক্রিজে আছেন শান্ত।