লিভারপুলের জয়, পিএসজির হোঁচট

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার নরউইচ সিটির বিপক্ষে গোল করার পর উচ্ছ্বসিত সাদিও মানে। শেষ পর্যন্ত কষ্টের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল -ওয়েবসাইট
পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল নরউইচ সিটি। অন্যদিকে শীর্ষে লিভারপুল। স্বাভাবিকভাবেই একপেশে লড়াই আশা করেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু না। তেমনটি হয়নি। উল্টো নরউইচ সিটি চোখে চোখ রেখে দুর্দান্ত লড়াই করে। যে কারণে একটা সময় অলরেডরা পড়েছিল শঙ্কায়। শেষ পর্যন্ত বদলি সাদিও মানের একমাত্র গোলে জিতে মাঠে ছাড়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার রাতে নরউইচ সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। এই জয়ে ২৬ ম্যাচ থেকে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অলরেডরা। এদিকে ফরাসি লিগ ওয়ানে আবারও হোঁচট খেয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। লিগ ওয়ানে অবনমন অঞ্চলে রয়েছে আমিয়েঁ। কিন্তু সেই দলের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের। পরে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেই দলটিই জাগিয়ে তোলে জয়ের সম্ভাবনা। কিন্তু আমিয়েঁ শেষ মুহূর্তে গোল করলে শনিবার রাতে ৪-৪ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে থমাস টুখেলের দল। ২৫ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে পিএসজি। সমান ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তলানির দিকে আমিয়েঁ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের তলানির দল নরউইচ সিটি। যাদের চেয়ে ৫৫ পয়েন্ট ব্যবধান রেখে ম্যাচটি শুরু করেছিল লিভারপুল। প্রিমিয়ার লিগে এমন বিশাল ব্যবধানের নজির এবারই প্রথম। অথচ সেই দলটির বিপক্ষে যান্ত্রিক পরিসমাপ্তি খুঁজে পাচ্ছিল না ক্লপের দল! বল দখলে এগিয়ে ছিল ঠিকই, এমনকি ১৭টি শটও নিয়েছিল। তবে লক্ষ্য বরাবর থেকেছে মাত্র একটি শট! নরউইচ গোলকিপার টিম ক্রুলেরও অবদান অনেক। দুটি দুর্দান্ত সেভে রুখে দিয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ ও নাবি কেইতার শট। ৭৮ মিনিটে গোলের খোঁজে থাকা লিভারপুলের জন্য ত্রাতা হয়ে আসেন মানে। নরউইচের রক্ষণ ভেঙে কাঙ্ক্ষিত গোলটি করেন বদলি হয়ে মাঠে নামা এই ফরোয়ার্ড। গোলটি সেনেগালিজ তারকার যেকোনো প্রতিযোগিতায় শততম গোল। অধিনায়ক হেন্ডারসনের বাতাসে ভাসানো পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলটি করেছেন মানে। এই জয়ে দুইয়ে থাকা ম্যানসিটির চেয়ে ২৫ পয়েন্ট লিড নিয়ে শীর্ষেই থাকল ক্লপের শিষ্যরা। একই সঙ্গে আর মাত্র ৫ জয় পেলেই নিশ্চিত হবে লিগ শিরোপা। যার জন্য অপেক্ষা ৩০ বছরের। অপরদিকে ফরাসি লিগ ওয়ানের ম্যাচে নেইমার-এমবাপ্পে না থাকলেও শক্তিশালী দল নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন টুখেল। এরপরও প্রথমার্ধে খুব ভুগেছে পিএসজি। পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় আমিয়েঁ। গিরাসির গোলের পর ২৯ মিনিটে কাকুতার গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় আমিয়েঁ। ১১ মিনিট পর দিয়াবাতের গোলে ৩ গোলের অগ্রগামিতায় পিএসজিকে একেবারে কোণঠাসা করে ফেলে তারা। বিরতির আগে হেরেরা স্কোর করলে একটি গোল শোধ দেয় পিএসজি।