শান্তর ২৫৩'র পর বিপদে বিজয়-রাজ্জাকরা

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
কক্সবাজারে ডাবল সেঞ্চুরি করার পর নাজমুল হোসেন শান্ত -ওয়েবসাইট
ফাইনালে যেতে হলে জেতার কোনো বিকল্প নেই ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের। অন্যদিকে কোনোমতে হার এড়াতে পারলেই ফাইনাল নিশ্চিত দক্ষিণাঞ্চলের। কিন্তু তারপরও প্রথম ইনিংসে উদ্ভট এক সিদ্ধান্ত নিয়ে মাত্র ১১৪ রানেই ইনিংস ঘোষণা করেছিল তারা। আর তার খেসারত হয়তো দিতে হচ্ছে দলটির। নাজমুল হোসেন শান্তর ডাবল সেঞ্চুরিতে বড় লক্ষ্যই ছুড়ে দেয় মধ্যাঞ্চল। তৃতীয় দিন শেষে ৩৪৭ রানে পিছিয়ে আছে দক্ষিণাঞ্চল। এর মধ্যেই হারিয়েছে টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যান। ম্যাচ বাঁচাতে হলে শেষ ৬ উইকেট নিয়ে শেষদিনে লড়তে হবে দলটিকে। আরেক ম্যাচে কক্সবাজারেই উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে জমে উঠেছে পূর্বাঞ্চলের লড়াই। প্রথম ইনিংসে ২৭২ করেছিল উত্তর, দ্বিতীয় ইনিংসে রোববার ৫ উইকেটে ১৪৫ তুলে দিনশেষ করেছে। লিড ৮৬ রানের। সেটাকে কতদূর বাড়াতে পারে দলটি তাতে নির্ভর করছে অনেক কিছু। প্রথম ইনিংসে ৩৩১ করা পূর্বাঞ্চল চাইবে দ্রম্নত তাদের গুটিয়ে জয়ের পেছনে ছুটতে। রনি তালুকদার ৫, জুনায়েদ সিদ্দিকী ৩৬, তানবির হায়দার ১৪, নাঈম ইসলাম ৩৫ ও আরিফুল হক ৯ রানে ফিরে গেছেন। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুশফিকুর রহিম ২৩ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ২২ রান নিয়ে শেষদিনে উত্তরের লিড বাড়াতে নামবেন। আগের দিন প্রতিপক্ষের বোনাস পয়েন্ট ঠেকাতে আগেভাগে ইনিংস ঘোষণা করেছিল দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু সেটা ঠেকাতে গিয়ে বড় হারই মানতে হতে পারে দলটিকে। কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে মধ্যাঞ্চলের ছুড়ে দেওয়া ৫০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রোববার ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৫৯ রান তুলেছে দক্ষিণাঞ্চল। এত বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে তাদের প্রয়োজন ছিল দারুণ কিছুর। কিন্তু দলকে হতাশ করে দলীয় ৫ রানেই ফিরে যান অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীস। এরপর অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ফজলে রাব্বি। এরপর রাব্বি আউট হয়ে গেলে শামসুর রহমানের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি গড়েন বিজয়। তবে এ জুটি ভাঙলে দ্রম্নত আরও একটি উইকেট হারালে ফের চাপে পড়ে যায় দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৩ রানের ইনিংস খেলেছেন বিজয়। ১১৯ বলে ৫টি চার ও ৭টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ওপেনার। শামসুর রহমান অপরাজিত আছেন ৪৪ রানে। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তার সঙ্গী নাসুম আহমেদ উইকেটে আছেন ১ রান নিয়ে। এছাড়া ফজলের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। মধ্যাঞ্চলের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১টি করে শিকার মুস্তাফিজুর রহমান ও শুভাগত হোমের। এর আগে মধ্যাঞ্চলকে বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়া পুঁজিটা এদিন তরুণ নাজমুল হোসেন শান্তই গড়ে দিয়েছিলেন। আগের দিনই সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া এ ব্যাটসম্যান এদিন তুলে নিয়েছিলেন নিজের ডাবল সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম ডাবল শান্তর। হয়তো ইনিংস বড় করতে পারতেন আরও। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৫৩ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। তবে শান্ত নিজের ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে। আগের দিন ১৮৯ বল ১২২ রানে অপরাজিত থাকা এ ব্যাটসম্যান এদিন আরও ১৩১ রান করেছেন মাত্র ১২১ বলে। ২৯১ বলে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পরের ১৯ বলে করেছেন ৫২ রান। মূলত তার ইনিংসে ভর করেই বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিতে সক্ষম হয় দলটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন জাবিদ হোসেন। ৮ উইকেটে ৩৮৫ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে মধ্যাঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে ৮৫ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ। এছাড়া শফিউল ইসলামের শিকার ২টি।