সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাফুফের নির্বাচন করবেন না রুহুল আমিন বছর দুয়েক ধরেই সরগরম ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ফুটবল অঙ্গনের নানা অনিয়ম নিয়ে ছিলেন সোচ্চার। প্রকাশ্যেই কাজী সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি পদে নির্বাচন করার কথাও জানান তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ তরফদার মো. রুহুল আমিন। রোববার সন্ধ্যায় গুঞ্জন ছিল। সোমবার দুপুরেই নিশ্চিত খবর মিলল-বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচক করছেন না রুহুল আমিন। বর্তমান সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সোমবার রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে দুপুরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে সেই কথাটাই শোনালেন জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল সংগঠক পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ফুটবল ক্লাব সমিতির চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিন। বনানীতে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'বাফুফের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। কাজী সালাউদ্দিনের পক্ষের লোকজন আর আমার পক্ষের লোকজনও নানা ধরনের কথাবার্তা বলছেন। এ অবস্থায় মনে হচ্ছে সভাপতি পদে আমার নির্বাচন করাটা ফুটবলের জন্য শুভ হবে না। আমি সভাপতি পদে নির্বাচন করব না, এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।' নেতৃত্ব ছাড়লেন ডু পেস্নসিস ক্রীড়া ডেস্ক অনেক দিন ধরে ফাফ ডু পেস্নসিসের অধিনায়কত্ব নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সব ফরম্যাট থেকেই দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। ডু পেস্নসিস যে নেতৃত্বে থাকবেন না। তার একটা ইঙ্গিত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেই মিলেছিল। তাকে বিশ্রামে রেখে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ঘোষণা করা হয় কুইন্টন ডি কককে। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক গ্রায়েম স্মিথও বলেছিলেন, ডি ককের মধ্যেই তারা স্থায়ী অধিনায়ককে খুঁজছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ ছিল না ডু পেস্নসিসের জন্য। তিনি বলেছেন, 'এটি ছিল জীবনের কঠিন সিদ্ধান্তের একটি। তবে আমি কুইন্টন, মার্ক বাউচার ও সতীর্থদের পূর্ণ সহযোগিতার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।' নেতৃত্ব ছাড়লেও তিন ফরম্যাটেই খেলে যাবেন ডু পেস্নসিস। টি২০ সিরিজ ইংল্যান্ডের ক্রীড়া ডেস্ক ২০ ওভারে ২২২ রান। প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর আগেই কাবু করতে রানের সংখ্যাটা যথেষ্ট। কিন্তু দলটা ইংল্যান্ড বলেই হয়ত এমন রান তুলেও কাবু করতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের রানপাহাড়কে মামুলি বানিয়ে ৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ ও টি২০ সিরিজ ২-১ জিতে বাড়ি ফিরছে ইয়ন মরগানের দল। সেঞ্চুরিয়নে রোববার রাতে হলো রান বন্যা। আগে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৬ উইকেটে ২২২ রান। জবাবে ইংল্যান্ড ১৯.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় ২২৬ রান। এর চেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়ায় কেবল একটি ম্যাচ জিতেছে ইংল্যান্ড। ২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছিল ২২৯ রান তাড়া করে। এদিন ২১ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রম্নততম ফিফটির রেকর্ড স্পর্শ করলেন মরগান। গত নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান নিজেই। ২২৩ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই ফিরে গিয়েছিলেন জেসন রয়। কিন্তু বেয়ারস্টো আর বাটলার মিলে বুঝতে দেননি তা। চার-ছয়ে দুজনেই বইয়ে দেন তান্ডব। ৪৯ বলে ৯১ রানের বিস্ফোরক জুটিতেই কাজটা সহজ করেন দেন তারা। ২৯ বলে ৫৭ করে থামেন বাটলার, বেয়ারস্টো থামেন ৩৪ বলে ৬৪ রানে। বাকি পথে আগ্রাসী ছিল মরগানের ব্যাট। কোনো চার ছাড়া ৭ ছক্কায় পেরিয়ে যান ফিফটি। অপরাজিত থেকেই দলকে জয়ের তীরে তরি ভেড়ান তিনি।