ভালো করার অস্ত্র খুঁজে পেয়েছেন জাহানারারা

আমি অস্ট্রেলিয়ায় খেলার ব্যাপারে কিছুটা রোমঞ্চিত, কারণ শুনেছি এখানকার পিচ বাউন্সি এবং উইকেট থেকে সহায়তা পাব। এখানে আমি দুইদিকেই বল সুইং করাতে পারছি। কিছুটা ভিন্নতা পাচ্ছি। তাই আমি বেশি রান দিতে চাই না। আর দলের হয়ে সেটিই হবে আমার মুল ভূমিকা

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
জাহানারা আলম
অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন নারী টি২০ বিশ্বকাপে সহায়ক কন্ডিশনে পেস বোলার হিসেবে তাকেই বড় দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি যে প্রস্তুত তাও জানিয়েছেন জাহানারা আলম। অস্ট্রেলিয়া থেকে দল ভালো কিছু স্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারবে বলে মনে করেন চতুর্থবারের মতো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া এই নারী পেসার। ম্যাচ খেলার ঘাটতি থাকলেও সহায়ক কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন নারী টি২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জাহানারা আলম। সালমা খাতুনের নেতৃত্বে ছয়জন স্পিনার নিয়ে বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের শক্তিশালী একটি স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। দলে রয়েছেন ইতিপুর্বে টি২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে তারকাদু্যতি ছড়ানো বাঁহাতি নাহিদা আখতার। জাহানারা আউট সুইং বল করতে বেশ পারদর্শী। অস্ট্রেলিয়ায় ১০ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার পর সেখানে আরও ভালো করার অস্ত্র খুঁজে পেয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি। জাহানারার উদ্ধৃতি দিয়ে আইসিসি জানায়, 'আমি অস্ট্রেলিয়ায় খেলার ব্যাপারে কিছুটা রোমাঞ্চিত, কারণ শুনেছি এখানকার পিচ বাউন্সি এবং উইকেট থেকে সহায়তা পাব। এখানে আমি দুদিকেই বল সুইং করাতে পারছি। কিছুটা ভিন্নতা পাচ্ছি। তাই আমি বেশি রান দিতে চাই না। আর দলের হয়ে সেটিই হবে আমার মূল ভূমিকা। আমাদের মূল শক্তি হচ্ছে দলীয় একতা। দীর্ঘ সময় প্রস্তুতি নিয়েছি এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী। এটি আমাদের চতুর্থ বিশ্বকাপ। এখন আমরা কিছুটা অভিজ্ঞ। যদিও প্রথমবারের মতো আমরা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি।' জাহানারার টি২০ রেকর্ডও চমৎকার। এই ফর্মেটে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫ উইকেট শিকারি তিনি। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির আসনে রয়েছেন অধিনায়ক সালমা খাতুন। বাংলাদেশ দলের হয়ে এখনো পর্যন্ত অর্জিত সেরা সফলতারও অংশ ছিলেন জাহানারা। ২০১৮ সালে ঐতিহাসিক ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের সময় উইনিং রানটি এসেছিল তার কাছ থেকে। টি২০ বিশ্বকাপে এর আগে ১৩ ম্যাচে অংশ নিয়ে দুটি মাত্র জয় পেয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। তবে গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বছাইপর্বে ৫ ম্যাচের সবকটিতে জয়ের মাধ্যমে নিজেদের উন্নতির প্রমাণ দিয়েছে দলটি। এবার বাংলাদেশ বেশি নির্ভর করছে অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদের ওপর। যিনি ২০১৭ সালে আইসিসির উঠতি তারকার মর্যাদা পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া মহিলা বিগ ব্যাশ লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। যা তিনি সতীর্থদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন। রুমানা বলেন, 'সেটি ছিল আমার জন্য দারুণ সুযোগ। প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে আমি দারুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমি শিখেছি কীভাবে বড় দল ও খেলোয়াড়রা খেলার প্রস্তুতি নেয়। প্রতিটি অনুশীলন সেশনে আমি অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি। বিশেষ করে জিম ও ফিটনেস সেশনে। সেটি ছিল দারুণ অভিজ্ঞতা।' এছাড়া ব্যাটে আছেন দারুণ ধারাবাহিক নিগার সুলতানা। গত দুই বছর ধরেই দুর্দান্ত ধারাবাহিক তিনি। যেখানে একটি শতকসহ ৪৪.১৪ গড়ে ৩০৯ রান করেছেন নিগার। এখন যদি তারা অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক খেলা উপহার দিতে পারে এবং কমপক্ষে শ্রীলংকাকে হারিয়ে ফেলতে পারে তবেই টাইগ্রেসদের এবারের বিশ্বকাপ মিশন সফল হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বড় দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার অভাবের পরিপ্রেক্ষিতে এটাই সর্বাধিক বাস্তব লক্ষ্য হিসেবে প্রতীয়মান।