বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ

শেখ জামালের প্রথম জয়

নিজেদের প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয়ের মুখ দেখল ধানমন্ডির ক্লাবটি

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ স্টেডিয়ামে শেখ জামালের আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রের -বাফুফে
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে নিজেদের ঘরের মাঠেই জয় দিয়ে শুরু করতে পারল না মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে তাদের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে অতিথি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয়ের মুখ দেখল ধানমন্ডির ক্লাবটি। ফেডারেশন কাপে খেললেও দু'দলের মৌসুমের প্রথম দেখাটা এসে হয়েছে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে। যদিও মৌসুম সূচক টুর্নামেন্টে মুক্তিযোদ্ধা খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। যেখানে শেখ জামাল বিদায় নিয়েছিল গ্রম্নপ পর্ব থেকেই। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে সেই মুক্তিযোদ্ধাকেই হারিয়ে দিয়েছে ধানমন্ডির জায়ান্টরা। তাও কি না মুক্তির হোম ভেনু্যতেই। ক্যাসিনোকান্ডে মুখ থুবড়ে পড়া মুক্তিযোদ্ধা কোনোমতে ধকল কাটিয়ে এবার দল গড়েছে। তাদের বাজির ঘোড়া গত আসরে ভালো করা দুই বিদেশি পল এমিল আর ইসমাইল বাঙ্গুরা। সঙ্গে আছে আরও তিন বিদেশি। মূলত এই ৫ ফরেন রিক্রুটেই ভরসা মুক্তিযোদ্ধার। কিন্তু পেশাদার লিগের শুরুটাই যে ভালো হলো না। বুধবার অবশ্য ম্যাচের শুরু থেকে জামালের বিপক্ষে বেশ কঠিন প্রতিরোধই গড়ে তুলেছিল আবদুল কাইয়ুম সেন্টুর শিষ্যরা। ৪ মিনিটেই প্রথম গোলের দেখা পেতে পারত শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তাদের একটি আক্রমণ রুখে দিতে পোস্ট ফাঁকা রেখে বক্সের বাইরে চলে এসেছিলেন মুক্তির গোলরক্ষক। কিন্তু সেই সুযোগটি হেলায় হারিয়েছে শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যরা। তবে ৪২ মিনিটে আক্ষেপ ঘুচিয়েছে তারা। গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড পি.এ ওমর বক্সে ঢুকে আচমকা শটে বল পাঠিয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধার জালে। ম্যাচে লিড নেয় শেখ জামাল (১-০)। প্রথমার্ধে আর সেই গোলটি শোধ দিতে পারেনি স্বাগতিক দলটি। ফলে পিছিয়ে থেকেই বিশ্রামে যেতে হয়েছে তাদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই ম্যাচে সমতা এনেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র। ৪৮ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে ছুটে যেতে থাকেন মুক্তির ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল। তাকে রুখে দিতে চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি মানিকের শিষ্যরা। বক্সে ঢুকে ডান প্রান্ত থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে উলস্নাসে মেতে ওঠেন এমিলি (১-১)। ৭৩ মিনিটে ব্যবধানটা বাড়িয়ে নেয় প্রথমে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়া শেখ জামালই। ডিফেন্ডার মোজাম্মেল হোসেন নিরার ক্রস থেকে উড়ে আসা বলে পোস্টের বেশ কাছ থেকেই মাথা ছুঁইয়ে গোল আদায় করে নেন জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং কানফর্ম (২-১)। সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি মুক্তিযোদ্ধা। তাই দুই বিদেশির দুই গোলেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে ধানমন্ডির ক্লাবটি। পেশাদার লিগে কখনই শিরোপা জিততে পারেনি মুক্তিযোদ্ধা। তাদের সর্বোচ্চ অর্জন ২০১০-১১ মৌসুম ও ২০১২ সালে রানার্সআপ হওয়া। গত মৌসুমে লিগে ২৪ ম্যাচ খেলে মাত্র ৬টিতে জিতেছিল তারা। ১০ ম্যাচে হার, বাকি ৮ ম্যাচে ড্র করেছে। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৭ম স্থানে থেকেই লিগ শেষ করেছিল মুক্তিযোদ্ধা। এবার গত আসরের থেকে কিছুটা ভালো করতে পারলেই সন্তুষ্ট ক্লাবটি। আজ প্রিমিয়ার লিগে কোনো ম্যাচ নেই। আগামীকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে দুটি ম্যাচ। দুপুর ৩.৩০ মিনিটে প্রথম ম্যাচে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস খেলবে পুলিশ ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে। এরপর সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের মুখোমুখি হবে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি।