আইসিসির পরিকল্পনায় চ্যাম্পিয়ন্স কাপ

২০২৩ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স কাপ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে আইসিসি। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের জন্যও আয়োজিত হবে ওয়ানডে ও টি২০ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এবার নতুন টুর্নামেন্ট আনার চিন্তা-ভাবনা করছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। চ্যাম্পিয়নস কাপ নামের নতুন এ সংযোজন আসবে ওয়ানডে ও টি২০ দুই সংস্করণেই। ২০২৩ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে চ্যাম্পিয়নস কাপ আয়োজনের পরিকল্পনার করেছে আইসিসি। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের জন্যও আয়োজিত হবে ওয়ানডে ও টি২০ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ। আইসিসির প্রস্তাবিত টি২০ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে লড়বের্ যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০ দল। টুর্নামেন্টে মোট ম্যাচ হবে ৪৮টি, যা গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচের চেয়ে কম নয়। এর পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আদলেই আয়োজিত হবে ওয়ানডে চ্যাম্পিয়ন্স কাপ। যেখানে মোট ছয় দল ১৬টি ম্যাচ খেলবে। টি২০ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে টি২০ বিশ্বকাপের চেয়ে মাত্র সাতটি ম্যাচ কম খেলা হবে। আইসিসির এমন প্রস্তাব এরইমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিশেষ করে ক্রিকেটের তিন মোড়ল খ্যাত ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড কোনোভাবেই এই নতুন টুর্নামেন্ট মানতে নারাজ। তাদের সঙ্গে নতুন বর্ষপঞ্জিতে নতুন টুর্নামেন্ট নিয়ে আসা নিয়ে আইসিসির যে বিরোধ চলছিল সেটি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠল এই চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কারণে। আইসিসির প্রস্তাবনা অনুযায়ী, আগামী ২০২৪ ও ২০২৮ সালে টি২০ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ অনুষ্ঠিত হবে। আর ২০২৫ ও ২০২৯ সালে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে চ্যাম্পিয়ন্স কাপ। এর পাশাপাশি ২০২৬ ও ২০৩০ সালে হবে টি২০ বিশ্বকাপ। আবার ২০২৭ ও ২০৩১ সালে আয়োজিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু স্বাহনির দাবি, ছোট দেশগুলোর জন্য আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিবছর অন্তত একটি আইসিসি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা উচিত। আর এসব ইভেন্টের আয়োজক দেশগুলো টিকিট, আপ্যায়ন ও ক্যাটারিং থেকে রাজস্ব আয় করতে পারবে। আর বাণিজ্যিক ও সম্প্রচার স্বত্ব্ব থেকে সমগ্র অর্থ পাবে আইসিসি। আইসিসির এমন পরিকল্পনার বিপক্ষে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। কেননা ধনী এ তিন দেশ নিজেদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে ফাঁকা সূচি রাখার জন্য আইসিসির কাছে দাবি করে আসছিল। আইসিসির প্রস্তাবিত এ সূচি বাস্তবায়িত হলে এ তিনটি দেশের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার সুযোগ খুবই কম থাকবে।