বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নির্বাচন

সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ বাদল রায়ের

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
আসছে এপ্রিলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। তার আগে নাটকীয় সব দৃশ্যপট! যিনি গত দুই বছর ধরে বলে এসেছেন সভাপতি পদে লড়বেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের চেয়ারম্যান সেই তরফদার মো. রুহুল আমিন সরে দাঁড়ালেন। মনে হচ্ছিল ফাঁকা মাঠেই গোল দেবেন ফের কাজী সালাউদ্দিন। যিনি ১২ বছর ধরেই বসে আছেন সভাপতির চেয়ারে। কিন্তু না, সেই সুযোগ এবার পাবেন না সালাউদ্দিন। এই ফুটবল কর্তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত আরেক কিংবদন্তি ফুটবলার বাদল রায়। যিনি বর্তমান সহসভাপতি। বৃহস্পতিবার ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন কাজী সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সভাপতি পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন এ কিংবদন্তি ফুটবলার বাদল রায়। সংবাদ সম্মেলন করে বাদল রায় বলেন, 'সভাপতি পদে কেউ নির্বাচন না করলে আমিই দাঁড়াব।' এক সময়ের মাঠ কাঁপানো এই ফুটবলার আরও জানান, সালাউদ্দিনকে আর সময় দিতে চান না তিনি। জানান, 'ওনাকে আর সময় দেওয়া যাবে না। অনেকের মতো আমিও চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক। আসুন সবাই মিলে একজনকে নিয়ে আসি আমরা। আশা করছি কেউ না কেউ দাঁড়াবে। সভাপতি পদে নতুন কেউ প্রার্থী না হলে আমি নিজেই প্রার্থী হব।' যদিও শারীরিকভাবে খুব একটা সুস্থ নন বাদল রায়। মৃতু্যর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। তিনি কী বাফুফে সভাপতির মতো একটা পদে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারবেন? বাদল রায় বলেন, 'দেখুন, এটা ঠিক নতুন জীবন নিয়ে এসেছি আমি। এখন দেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করছি। তাছাড়া প্রতিবাদ করতেই আমার জন্ম। ফুটবলের খারাপ কিছু আমার সহ্য হয় না। ৩৮০ উপজেলায় হান্টিং করলাম। অনেক পরিকল্পনা করেছিলাম। এনিয়ে বসতে বলেছি সালাউদ্দিন ভাইকে। একাডেমি করার প্রস্তাবও ছিল আমার। কিন্তু দুঃখ লাগছে সেটিও হারালাম। কাজী সালাউদ্দিনের সাংগঠনিক দক্ষতা একেবারেই নেই। শুধু চেয়ারটা উপভোগ করছেন তিনি।' তরফদার মো. রুহুল আমিনের সিদ্ধান্তটাও ভালো লাগেনি বাদল রায়ের। তার বিশ্বাস কেউ তাকে বসিয়ে দিয়েছে। বাফুফে সহ সভাপতি এনিয়ে বৃহস্পতিবার বলছিলেন, 'দেখুন, ফুটবলে তরফদার সাহেব আসলেন। তিনি শেখ কামালকে স্মরণ করে? টুর্নামেন্ট করলেন। সালাউদ্দিন সাহেবকে কখনও শেখ কামালের নাম নিতে শুনিনি। অথচ উনি নাকি কামালের বন্ধু। তরফদারকে সমর্থন করি কারণ তিনি এগিয়ে এসেছেন। অর্থ দিচ্ছেন, তাকেই তো সমর্থন করব আমরা। নাকি যিনি ধ্বংস করেছেন তাকে করব? কিন্তু তরফদারের সিদ্ধান্তে আমি প্রস্তুত ছিলাম না। ফুটবল তো মরে গেছে, কবর দেওয়া বাকি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তরফদার সাহেব সরে গেছেন। আমি মনে করি তরফদার সাহেবকে সরানোর পেছনে দায়ী সালাউদ্দিন ভাই। তরফদার সাহেব সরে গেছেন; আমিও তো মরি নাই। কাজের জন্য আমি এখনও ফিট।'