বড় ইনিংসে চোখ মুমিনুলের

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট। এই ম্যাচ সামনে রেখে শুক্রবার ফিল্ডিং অনুশীলন করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এদিন ক্যাচিং অনুশীলনে বেশি ব্যস্ত ছিলেন তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমরা -বিসিবি
পেছনের ৬ টেস্টে হার। যার মধ্যে পাঁচটিতে আবার ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়। সর্বশেষ পাঁচ টেস্টের দশ ইনিংসের কোনোটিতেই বাংলাদেশ দলীয়ভাবে ৩০০ রানও করতে পারেনি। সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ২৩৩, রাওয়ালপিন্ডিতে। শুধু দল হিসেবেই নয়, বড় ইনিংস গড়ার ক্ষেত্রে এককভাবেও ব্যর্থ হয়েছেন ক্রিকেটাররা। ভারত সফরে দুই টেস্টে মুশফিকুর রহিম করেছিলেন দুই ফিফটি। যথারীতি দুটিতেই ইনিংস হার। পাকিস্তানে গিয়ে এক ইনিংসে ফিফটি করেন মোহাম্মদ মিঠুন। ওই টেস্টেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইনিংস ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। কেন ব্যাটসম্যানরা ইনিংস বড় করতে পারছেন না। সেঞ্চুরি আসছে না কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে সেই উত্তর মিলবে বলে আশাবাদী তিনি। শুধু আশাবাদীই নন, মুমিনুল প্রায় গ্যারান্টিই দিয়ে দিলেন- 'আসছে, বড় ইনিংস আসছে!' মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে ঢাকা টেস্টে নামার আগে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল কথা দিলেন, 'মানুষের একটু খারাপ সময় যায়। সম্ভবত দল হিসেবেও আমরা সেই খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমরা সেই বাজে অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কাজ করছি। আশা করছি শিগগিরই সেই সমস্যার সমাধান পাব। ইনশালস্নাহ আমি কথা দিলাম আমাদের পুরো দল বড় ইনিংস খেলতে পারবে।' সেঞ্চুরি দূরে থাক, অধিনায়ক মুমিনুল নিজের সর্বশেষ ১৪ টেস্ট ইনিংসের মধ্যে কেবল একবারই পেরিয়েছেন ফিফটি (আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫২)। এবার তিনি নিজে তো বটেই, পুরো দলের হয়েই বড় ইনিংসের প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন মুমিনুল, 'পুরো দলের কথাই বলছি, আমার কথা বলছি না। সংবাদ সম্মেলনে দলের কথাই বলি। ওই কথাই, আমাদের দলের কেউ এবার ১০০, ২২০ বা ৩০০ করবে কথা দিলাম। যে কেউই হোক বা বড় ইনিংস খেলবে ইনশালস্নাহ।' তবে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলেই যে সবকিছু এই টেস্টে বাংলাদেশ সহজেই পেয়ে যাবে- এমন উচ্চাশার বিরুদ্ধে সতর্কতাও ঠিকই জারি করছেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক-'টেস্ট ক্রিকেটে কোনো দলকেই খাটো করে দেখার কিছু নেই। সবদলই ভালো। আমি জিম্বাবুয়েকেও সবসময় ভালো দল হিসেবেই গণ্য করে আসছি। এবারও সেই ধারণা নিয়েই তাদের বিপক্ষে মাঠে নামব।' টানা হার জেতার মানসিকতাও নষ্ট করে দেয়। টেস্ট ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নতজানু মার্কা পারফরম্যান্স পুরো দলকে কঠিন সমালোচনার মুখে ফেলছে। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কোনো পারফরম্যান্স মানেই বাংলাদেশের আরেকটু পিছিয়ে পড়া। এমন পরিস্থিতিতে বাড়তি একটা চাপ নিয়েই ঢাকা টেস্টে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। মুমিনুল সেই প্রসঙ্গে বললেন, 'আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ তো থাকবেই। সেই চাপ নিয়েই আপনাকে ক্রিকেট খেলতে হবে। এটাই স্বাভাবিক। এই চাপ সইতে না পারলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেকা কঠিন। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, জিততে পারি তাহলে অনেক কিছুই বদলে যাবে। আমরা যে আগে হেরেছি সেই ফল হয়তো বদলে দিতে পারব না। তবে যে বাজে অবস্থার মধ্যে ছিলাম সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।' এই টেস্টের অন্য নাম তাহলে- অবস্থা বদলের ম্যাচ! ভারতের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের দায় দিয়েছিলেন মুমিনুল। অধিনায়কত্বের তিন ম্যাচেই গো-হারা হারের পর আস্তে আস্তে নেতৃত্বের পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনেও ছন্দে ফিরছেন বলে জানালেন, 'প্রথম প্রথম আমি এসব জায়গায় (প্রেস) একটু অস্বস্তিতে ছিলাম, পাকিস্তানে খানিকটা সহজ ছিল। এখন অনেক ভালো। পরিবেশ বলেন বা অন্যকিছু, আগের তুলনায় অনেক স্বস্তিদায়ক। আর জিনিসটা অনেক বেশি উপভোগ করছি।'