বিসিএলেও অনুজ্জ্বল মাহমুদউলস্নাহ

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রথম সেশনটা ছিল সোনায় মোড়ানো। মাঝের সেশনও ছিল হাতেই। শেষ বিকালে খানিকটা ছন্দপতন। সবমিলিয়ে বিসিএলের ফাইনালে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে লড়াইয়ের মতো পুঁজিই জমাচ্ছে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল। জাতীয় দলের টেস্ট স্কোয়াড থেকে বিশ্রামে থাকার কথা বলা হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে ঠিকই খেলছেন মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ। এক দিন আগেই বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছেন দলে ফিরতে হলে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে মাহমুদউলস্নাহকে। চলতি মাসে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ডাক মারেন মাহমুদউলস্নাহ। এরপর কোচের পরামর্শে দল থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শনিবার চট্টগ্রামে বিসিএলের ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন মাহমুদউলস্নাহ। তবে মাহমুদউলস্নাহ ব্যর্থ হলেও তার দল দক্ষিণাঞ্চল আছে সুবিধাজনক অবস্থানেই। প্রথমবারের মতো বিসিএলের ফাইনাল হচ্ছে পাঁচ দিনের। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার শুরুতে ব্যাটে নেমে ৬ উইকেটে ৩০৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল। ৮ রান করা ফরহাদ রেজাকে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুরু করবেন ৩৭ রানে অপরাজিত শামসুর রহমান শুভ। দিনের শুরুতে টস জিতে দক্ষিণের অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকের হাতে ব্যাট ধরিয়ে দেন পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। জহুর আহমেদের উইকেটে খানিকটা সবুজ ঘাস থাকায় পেসারদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইমরুল। প্রথম সেশনে তাকে ভুল প্রমাণ করে দেন প্রতিপক্ষের দুই ওপেনার ফজলে মাহমুদ রাব্বী ও এনামুল হক বিজয়। প্রথম সেশনে পূর্বাঞ্চলের বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি রাব্বী ও এনামুল। ২৭ ওভারে ৮২ রানে অবিচ্ছিন্ন জুটি নিয়ে যান মধ্যাহ্নভোজে। বিরতি থেকে ফিরে রাব্বী-এনামুল দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। টেস্ট মেজাজে খেলে যেভাবে এগোচ্ছিলেন, সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল দুজনেরই। ৪৩তম ওভারে এসে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে ভাঙে তাদের ১৩৬ রানের জুটি। ১৩১ বল খেলে রানআউট হয়ে ৭৬ করে সাজঘরে ফিরে যান বিজয়। দ্বিতীয় সেশনে পূর্বাঞ্চলকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন স্পিনার সাকলায়েন সজীব। তার বলে ইমরুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে থাকা রাব্বী। ১৫৫ বলে ৮৬ রান করা রাব্বী ফিরতেই চা পানের বিরতি। শেষ সেশনে দক্ষিণের ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন। শেষ ৩৪ ওভারে ১১৭ রান তুললেও দলটি হারিয়েছে আল-আমিন, মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ, নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসানের উইকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশ্রাম পাওয়া মাহমুদউলস্নাহ এ ম্যাচে আবু হায়দার রনির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মাত্র ১ করে। আল-আমিন ও নুরুল হাসানকে ফিরিয়ে পূর্বাঞ্চলের সেরা বোলার পেসার রুয়েল মিয়া। ১টি করে শিকার করেছেন আবু হায়দার রনি, সাকলাইন সজীব ও আফিফ হোসেন। সংক্ষিপ্ত স্কোর বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল: ৮৮ ওভারে ৩০৫/৬ (ফজলে ৮৬, বিজয় ৭৬, আল-আমিন ৩৯, শামসুর ৩৭*, মাহমুদউলস্নাহ ১, সোহান ১৮, মেহেদী ৩৬, রেজা ৮*; রুয়েল ২/৫৮, রনি ১/৪১, হাসান ০/৪৬, মাহমুদুল ০/৯৪, সাকলাইন ১/৫১, আফিফ ১/১৩)।