সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ফরহাদের সেঞ্চুরিতে রানপাহাড়ে দক্ষিণাঞ্চল ক্রীড়া প্রতিবেদক অস্বস্তিতে ছিল দক্ষিণাঞ্চল। স্কোরবোর্ডে বেশকিছু রান উঠলেও সেটা কত বড় হবে ছিল সংশয়। সেঞ্চুরিতে সেসব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন আটে ব্যাট করতে নামা ফরহাদ রেজা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পেস-অলরাউন্ডারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি প্রথম ইনিংসে আব্দুর রাজ্জাকের দলকে এনে দিয়েছে ৪৮৬ রানের বিশাল সংগ্রহ। দ্বিতীয় দিনশেষে ৩৭৬ রানে পিছিয়ে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল। বিসিএলের ফাইনালে প্রথম দিন শেষে ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ফরহাদ, অন্যপ্রান্তে ৩৭ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন শামসুর রহমান শুভ। লাঞ্চের আগে সপ্তম উইকেটে দুজনের ৯৪ রানের জুটি বড় রানের সম্ভাবনা দেখায় দক্ষিণকে। সাকলায়েন সজীবের বলে এলবিডবিস্নউ হয়ে শামসুর রহমান ফিরে যান ৭৯ করে। পরে দ্রম্নত ফেরেন অধিনায়ক রাজ্জাকও। সেখান থেকে দলকে সাড়ে চারশ রান পার করান ফরহাদ, শফিউল ইসলামের সঙ্গে ৮৮ রানের জুটিতে। জুটিতে ৩০ রানের অবদান শফিউলের, বাকি রান এসেছে ফরহাদের ব্যাটে। ৯৭ থেকে লেগসাইডে চার মেরে তিন অঙ্কে পৌঁছান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরি এসেছে ১৭৩ বলে। দল অলআউট হলেও ১৮৬ বল খেলে শেষ পর্যন্ত ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ১০ চারের সঙ্গে ইনিংসে ছক্কার মার ৫টি। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অস্বস্তিতে আছে পূর্বাঞ্চলও। দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও মোহাম্মদ আশরাফুলসহ সাজঘরে ফিরে গেছেন ইমরুল কায়েসও। দিনশেষে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান। পিছিয়ে পড়েও স্বস্তির ড্র সাইফের ক্রীড়া ডেস্ক দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর খেই হারাল সাইফ স্পোর্টিং। হজম করল দুই গোল। এরপর অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে স্বস্তির ড্র করেছে দলটি। রোববার ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে দুই দলের প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-২ সমতায় শেষ হয়। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫৯তম মিনিটে এক খেলোয়াড়কে মারাত্মক ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন সাইফের ফয়সাল আহমেদ। এর দুই মিনিট পর গোল খেয়ে বসে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটিকে আগের দুই ম্যাচে হারানো সাইফ। ডান দিক থেকে চিনেডু ম্যাথিউয়ের আড়াআড়ি ক্রসে নিক্সন গুইয়েরা হেড করার পর পেয়ে যান দূরের পোস্টে থাকা চার্লস দিদিয়ের। তার ফিরতি পাসে পেস্নসিং শটে জাল খুঁজে নেন গুইয়েরা। আর ৬৫তম মিনিটে মোনায়েম খান রাজুর কর্নারে দিদিয়েরের হেড গোললাইন থেকে ফেরান ডিফেন্ডার রিয়াদুল ইসলাম রাফি। ছয় মিনিট পর এমেরি বাইসেঙ্গের ফ্রি-কিক পাঞ্চ করে ফিরিয়ে দেয় চট্টগ্রাম আবাহনীর ত্রাতা মোহাম্মদ নাঈম। ৭৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কাছে আগের ম্যাচে হেরে আসা চট্টগ্রাম আবাহনী। দিদিয়েরের বাড়ানো বল ধরে প্রথম দফায় গোলরক্ষকের গায়ে মারার পর ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যাথিউ। আর শেষ দিকে রাফির ফ্রি-কিকে এক সতীর্থ হেড করার পর গোলমুখ থেকে নিখুঁত টোকায় সাইফকে ম্যাচে ফেরান বাইসেঙ্গে। যোগ করা সময়ে কর্নার থেকে হেডে সমতা ফেরান রুয়ান্ডার এই ফরোয়ার্ড। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি শেষ হয় ২-২ গোলের ড্রতে। এই ড্রয়ের পর তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট সাইফের। আর একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট চট্টগ্রাম আবাহনীর।