সাতপাকে বাঁধা পড়লেন সৌম্য

২২ গজের ক্রিকেটার সৌম্য সরকার পা দিলেন নতুন জীবনে। শুরু হলো তার নতুন ইনিংসের। বুধবার রাতে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন জাতীয় দলের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তাইতো এদিন রাতে উৎসবের রঙে রঙিন হয়েছে খুলনা ক্লাব। আলোর রোশনাই বিচ্ছুরিত হচ্ছে গোটা এলাকায়। সানাইয়ের সুর আর বাদ্য বাজনায় উৎসবের আমেজকে বাড়িয়ে দিয়েছে শতগুণে। খুলনার মেয়ে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে খুলনা ক্লাবেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন সৌম্য সরকার। পাঁচশ বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে আসেন তিনি। বুধবার রাতে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন সৌম্য। জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেললেন তিনি। সৌম্য সরকারের মামা স্বদেশ কুমার সরকার বলেন, সনাতন ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে রাত ১১টায় সৌম্য সরকারের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। প্রিয়ন্তি দেবনাথের বাবা গোপাল দেবনাথ ব্যবসায়ী ও মা মাধবী দেবনাথ গৃহিণী। তাদের বাড়ি খুলনা শহরের টুটপাড়া এলাকায়। পূজা বর্তমানে ও লেভেল পড়ছেন ঢাকার একটি কলেজে। তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। তারকা ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের বিয়েকে ঘিরে মিডিয়াকর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল খুলনা ক্লাবে। জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারকে সামনে পেয়ে আগত অনেকের মধ্যে সেলফি তোলার ধুম পড়ে যায়। এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরা থেকে চারটি প্রাইভেট কার, আটটি মাইক্রোবাস ও ছয়টি বাসের বহরে পাঁচশ বরযাত্রী নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন সৌম্য। রাত ৮টায় তিনি খুলনায় এসে পৌঁছান। এর আগে বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়ার লাল-সবুজ বাড়িতে ঢাকঢোল, কাঁসর বাদ্য আর হুলুধ্বনিতে পরিবার-পরিজনের উপস্থিতিতে গায়ে হলুদ হয়ে যায় সৌম্য সরকারের। এ সময় হলুদ মাখিয়ে বাঁহাতি এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানের জন্য আশীর্বাদ করেন বাবা-মা, ভাই-ভাবিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং প্রতিবেশীরা।