সৌম্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা!

প্রকাশ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের বিয়ের আশীর্বাদে হরিণের চামড়া ব্যবহারের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়লেই ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে বন্যপ্রাণী ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের ইন্সপেক্টর অসীম মলিস্নক সাতক্ষীরাতে এসে এ নিয়ে তদন্ত শেষ করেছেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা পড়েনি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়লেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের পরিচালক এসএম জহির উদ্দিন আকন। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ইন্সপেক্টর অসীম মলিস্নককে সাতক্ষীরায় সৌম্য সরকারের বাড়িতে হরিণের চামড়া রাখা ও ব্যবহারের ঘটনার তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সরেজমিন তদন্ত শেষ হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অফিসে জমা দিলেই প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত ২১ ফেব্রম্নয়ারি সাতক্ষীরার মধ্যকাটিয়ার বাড়িতে সৌম্য সরকার তার বিয়ের আশীর্বাদে হরিণের চামড়াকে আসন হিসেবে ব্যবহার করেন। গোপনীয়তার মধ্যেও সৌম্য সরকারের নিকটজনদের মাধ্যমে আশীর্বাদের কয়েকটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ছবিতে দেখা যায়- সৌম্য সরকার একটি হরিণের চামড়াকে আসন হিসেবে ব্যবহার করেছেন। অবৈধভাবে হরিণের চামড়া বাড়িতে রাখা ও ব্যবহার ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক ও সমালোচনা। এরই মধ্যে গত বুধবার খুলনা ক্লাব মিলনায়তনে প্রিয়ন্তী দেবনাথ পূজার সঙ্গে সৌম্যের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা শহরের মোজাফফর গার্ডেনে বৌভাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। হরিণের চামড়াটির বিষয়ে সৌম্য সরকারের বাবা সাতক্ষীরার সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মোহন সরকার জানান, হরিণের চামড়াটি সৌম্য সরকারের দাদার থেকে পাওয়া। সেই সময় থেকেই চামড়াটি বাড়িতে রাখা হয়েছে। সৌম্য সরকারের আশীর্বাদে হরিণের সেই চামড়াটি আসন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে হরিণের চামড়া রাখার জন্য কোনো লাইসেন্স রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি দেননি। এদিকে হরিণের চামড়া ব্যবহারের ঘটনা নিয়ে নানা বিতর্ক ও সমালোচনার মধ্যে সরেজমিন ঘটনার তদন্ত করেছেন বন্যপ্রাণী ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের ইন্সপেক্টর অসীম মলিস্নক। তিনি বলেন, সরেজমিন ঘটনার তদন্ত শেষ করেছি। তবে অফিসে এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। হরিণের চামড়াটি উদ্ধার করা প্রসঙ্গে কিছুই বলতে চাননি অসীম মলিস্নক।