এএফসির ম্যাজিক মোমেন্টসে আবাহনী

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
এএফসি কাপের নক আউট পর্বে ভারতের মিনার্ভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড -ফাইল ফটো
বাংলাদেশের প্রথম ক্লাব হিসেবে এএফসি কাপের নক আউট পর্বে খেলেছে আবাহনী লিমিটেড। প্রথমবার খেলেই মারিও লেমোসের দল গড়েছিল ইতিহাস। গ্রম্নপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের মিনার্ভা পাঞ্জাবকে শেষ মুহূর্তের গোলে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছিল আকাশি-হলুদরা। আর তাতে জায়গা করে নেয় আঞ্চলিক পর্বে। সেই ইতিহাস গড়া জয়টি জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সেরা ম্যাজিক মোমেন্টসের তালিকায়। সেরা তিন ম্যাজিক মোমেন্টসের তালিকা প্রকাশ করেছে এএফসি। আর এই তালিকায় ২০১৪ সালের ফাইনালে কুয়েতের কাদসিয়া এফসির জয়, ২০১০ সালের ফাইনালে ইন্দোনেশিয়ার বুং কারনো স্টেডিয়ামে অর্ধ লক্ষাধিক দর্শকের উচ্ছ্বাসও আবাহনীর স্মরণীয় জয়টি জায়গা পেয়েছে। ২০১৯ সালের ২৬ জুন পাওয়া আবাহনীর জয়টির শিরোনাম হয়েছে- আবাহনীর শেষ মুহূর্তের উচ্ছ্বাস। শনিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় আবাহনীর রোমাঞ্চকর জয়টিকে 'যোগ করা সময়ে আবাহনীর উচ্ছ্বাস' শিরোনাম দিয়েছে এএফসি। সেখানে আরও ঠাঁই পেয়েছে ২০১৪ আসরের ফাইনালে টাইব্রেকারে কুয়েতের ক্লাব আল কাদসিয়ার শিরোপা জয় এবং ২০১৮ আসরের গ্রম্নপ পর্বে ইন্দোনেশিয়ার ক্লাব পার্সিয়া জাকার্তা ও মালয়েশিয়ার ক্লাব জোহর দারুল তাজিমের মধ্যকার ম্যাচে রেকর্ড দর্শক উপস্থিতি (৬০ হাজার ১৫৭ জন)। ২০১৯ সালের ২৬ জুন মিনার্ভার মাঠে আতিথ্য নিয়েছিল আবাহনী। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র ছিল। গুয়াহাটিতে সেই ম্যাচটি ছিল আবাহনীর জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটি ড্র হলে নক আউট পর্বের খুব কাছে গিয়েও হতাশা নিয়ে ফিরতে হতো জীবন-সাদদের। ম্যাচের যোগ করা সময়ে আবাহনীর জন্য ভাগ্য খুলে যায়। ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটি পায় তারা। নাবীব নেওয়ার জীবনের কর্নারে হেড করে কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্ট বল বাড়িয়ে দেন গোলমুখে। সেখান থেকে নিখুঁত হেডেই জাল কাঁপিয়েছিলেন সাইঘানি। বর্তমানে এই ডিফেন্ডার ভারতের আইএসএল দল চেন্নাইয়ান এফসিতে খেলছেন। সেবার ৬ ম্যাচে ৪ জয় ও এক ড্রতে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে 'ই' গ্রম্নপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউট পর্বে খেলেছিল আবাহনী। আর অন্য ম্যাচে নেপালের মানাং মার্সিয়াংদিকে ৩-২ গোলে হারিয়েও তাই গ্রম্নপ পর্বে আটকে যেতে হয় ভারতের চেন্নাইন এফসিকে। ছয় ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ছিল ১১। যদিও এবার আবাহনী এএফসি কাপে ভালো করতে পারেনি। পিস্নমিনারি রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে। অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে গেলবার নজর কাড়লেও এবারের এএফসি কাপে আবাহনীর অভিজ্ঞতাটা সুখকর হয়নি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আগের মৌসুমে রানার্সআপ হওয়ায় এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা ক্লাব আসরের বাছাইপর্বের প্রিলিমিনারি রাউন্ডে খেলতে হয় তাদেরকে। কিন্তু সেই বাধা অতিক্রম করে মূল পর্বে উঠতে পারেনি তারা। মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়ার সঙ্গে ঢাকায় ২-২ আর মালেতে গোলশূন্য ব্যবধানে ড্র করে আবাহনী। ঘরের মাঠে গোল হজম করায় বাদ পড়ে যায় তারা।