টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেবে না কানাডা

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
২০২০ টোকিও অলিম্পিকের ভাগ্য নির্ধারণ করতে এখনো চার সপ্তাহ সময় আছে জাপানের হাতে। অংশ নিতে যাওয়া দেশগুলো থেকে অবশ্য আসর স্থগিতের চাপ বাড়ছেই। এর মাঝেই টোকিও-যজ্ঞে অ্যাথলেটদের না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল কানাডা। এক বছরের জন্য গেমস পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দেশটি। সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, সরকার, বিভিন্ন ক্রীড়া দল ও অ্যাথলেটদের পরামর্শ নিয়ে এই 'কঠিন সিদ্ধান্ত' নিয়েছে কানাডার অলিম্পিক ও প্যারাঅলিম্পিক কমিটি। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ মহামারি আকার নেওয়ায় টোকিও অলিম্পিক থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে কানাডিয়ান অলিম্পিক কমিটি। আগামী ২৪ জুলাই শুরুর সূচি নির্ধারিত আছে এবারের গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের। জাপানও ভাবছে এক বছর আসর পিছিয়ে দিতে। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য অলিম্পিক স্থগিত করা হয়েছিল, সেবারও আয়োজক ছিল টোকিও। ভেনু্য পাল্টিয়েও সেবার আর অলিম্পিক আয়োজন করা যায়নি। বেশ কিছুদিন আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছিলেন, অলিম্পিক মাঠে গড়ানো নিয়ে তারা আশাবাদী। কিন্তু সোমবার উল্টো সুরে কথা বলেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, অলিম্পিক স্থগিতের সম্ভাবনা অনিবার্য হয় দাঁড়িয়েছে। তবে আসর বাতিলের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি, 'যদি (অলিম্পিক) পুরোপুরিভাবে আয়োজন করা কঠিন হয়, তবে স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া অপরিহার্য হবে। কারণ আমরা মনে করি, অ্যাথলেটদের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।' আবের বক্তব্যের পরপরই টোকিও অলিম্পিক থেকে নিজ দেশের অ্যাথলেটদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। এদিকে, অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে 'পরিষ্কার' যে, নির্ধারিত সূচিতে আসর মাঠে গড়াবে না। এমনকি অ্যাথলেটদের আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নিতেও বলেছে তারা। উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আসর স্থগিতের চাপ ক্রমশ জোরালো হতে থাকায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিও (আইওসি) নড়েচড়ে বসেছে। রোববার সংস্থাটির সভাপতি টমাস বাখ বলেছেন, টোকিও অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী চার সপ্তাহ অপেক্ষা করবেন তারা। অলিম্পিক নির্ধারিত সময়ে শুরু হবে নাকি পিছিয়ে যাবে- তা জানা যাবে এরপরই। শান্তিকালীন কখনো অলিম্পিক স্থগিত বা বাতিল করা হয়নি। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য যে আসরটি স্থগিত হয়েছিল, তা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল টোকিওতে। কিন্তু পরে আর আসরটি টোকিওতে বসেনি। এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই ব্যাপকহারে বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে, মারা গেছে ৪১ জন।