সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আইসিসির সদর দপ্তর বন্ধ ক্রীড়া ডেস্ক প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে উৎকণ্ঠা-আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া এড়াতে বেশ কয়েকটি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের প্রধান কার্যালয় বন্ধ রয়েছে। সে পথে হাঁটল এবার আইসিসিও। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা দুবাইয়ে অবস্থিত তাদের সদর দপ্তর বন্ধ করে দিয়েছে। সোমবার ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কারণে চলতি সপ্তাহ থেকে ঘরে বসে কাজ করার নীতি গ্রহণ করেছে আইসিসি। এর আগে বাংলাদেশ, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ একই পন্থা অবলম্বন করে বোর্ডের কার্যালয় বন্ধ রেখেছে। কোভিড-১৯ রোগের বিস্তৃতি ঠেকাতে বিশ্বের অনেক ক্রীড়া ইভেন্টের মতো ক্রিকেটও আপাতত বন্ধ রয়েছে। যা প্রভাব ফেলেছে পূর্বনির্ধারিত সূচিতে। আগামী শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সে আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর ও চিফ এক্সিকিউটিভ মানু সাহনি এইসব বোর্ডের জরুরি বিষয়ে আলোচনা করবেন। যদিও আগামী অক্টোবর ও নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা টি২০ বিশ্বকাপ। কিন্তু দেশটির সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে, টুর্নামেন্টটি কমপক্ষে ছয় মাস পেছানোর। আক্রান্তদের পাশে রোনালদো ক্রীড়া ডেস্ক মরণব্যাধি করোনাভাইরাস দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এরই মধ্যে অনেকেই মৃতু্যবরণ করেছেন। যে কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। ঠিক সে সময়ে করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ালেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, তবে সরাসরি নয়। তার এজেন্ট জর্জ মেন্দেসের মাধ্যমে। পর্তুগালে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২৮০। ১২ জনের মৃতু্যর খবর মিলেছে। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। সেখানে জর্জ মেন্দেস নিজে উদ্যোগ নিয়ে তিনটি ভেন্টিলেটর মেশিন, দুই লাখ গস্নাভস, মাস্কও দান করেছেন দেশের তিনটি হাসপাতালে। সঙ্গে স্যানিটাইজার। যদিও দেশের প্রধানমন্ত্রী এখনো পর্যন্ত দেশের স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেননি। মায়ের অসুস্থতা নিয়ে দারুণ ব্যস্ত রয়েছেন রোনালদো। তাই এজেন্টের মাধ্যমেই কাজ করছেন। মেন্দেস নিজেও বিরাট উদ্যোগপতি। দেশের মধ্যে প্রচুর সম্পত্তির মালিক। লন্ডনে ফ্ল্যাট রয়েছে। বিশ্ব ফুটবলে তিনি অন্যতম সেরা ফুটবল এজেন্ট। এক বার্তায় তিনি বলেছেন, 'করোনা আক্রান্তদের জন্য এই সামান্য দান আমার ও রোনালদোর পক্ষ থেকে।' ব্রাজিলে করোনা আক্রান্তদের জন্য স্টেডিয়াম ক্রীড়া ডেস্ক করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সহায়তা দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশগুলো। নির্ধারিত হাসপাতালের বাইরে প্রয়োজন পড়ছে অস্থায়ী হাসপাতালের। এমন পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম নজির স্থাপন করেছে ব্রাজিলের শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাবগুলো। অস্থায়ী হাসপাতাল বানাতে নিজেদের স্টেডিয়ামগুলো ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে তারা। করোনার কারণে ব্রাজিলে খেলা বন্ধ রয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত। তাই দেশটির অর্ধেকেরও বেশি ক্লাব এই মহত উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন ফ্লেমেঙ্গো তাদের বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এখন এই স্টেডিয়ামের নিয়ন্ত্রণ নেবে রিও ডি জেনিরোর স্বাস্থ্য অফিস। ফ্লেমেঙ্গোর মতো স্টেডিয়াম ছেড়ে দিচ্ছে করিন্থিয়ান্সও। তাদের ইতাকুয়েরো স্টেডিয়ামটিও এই কাজের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের অনুশীলনের মূল সদর দপ্তরটিও এই কাজে ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সাও পাওলো ও রিও ডি জেনিরো অনেক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এরই মধ্যে ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১২৮ জন। মারা গেছেন ১৮জন। করোনায় আক্রান্ত ফেলাইনি ক্রীড়া ডেস্ক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ও বর্তমানে চায়নিজ সুপার লিগে খেলা ডিফেন্ডার মারোয়ান ফেলাইনি। বেলজিয়ান তারকার কোভিড-১৯ ভাইরাসে পজেটিভ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার বর্তমান ক্লাব শেনডং লিউনেং। গত জানুয়ারিতে শেনডংয়ে যোগ দিয়েছেন ফেলাইনি। গত শুক্রবার দেশ থেকে ফেরার পর তার দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। জরুরি ভিত্তিতে তাকে জিনান শহরে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার পজেটিভ হওয়ার আগে ফেলাইনির দেহে কোনো জ্বর বা কোনো উপসর্গ ছিল না বলেও জানিয়েছে তার ক্লাব। চীনে খেলা তারকা বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে ফেলাইনি প্রথম ফুটবলার যিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন।