করোনাভাইরাসের প্রভাব

আশঙ্কায় বিদেশি ফুটবলাররা

স্থানীয় ফুটবলাররা ছুটি পেলেও নানান জটিলতায় ক্লাবগুলোতে এখনো আটকে আছে অনেক বিদেশি ফুটবলার

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ আছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। লিগে এখন পর্যন্ত পাঁচ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি ধরে রেখেছেন আরামবাগের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলে -ফাইল ফটো
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের পেশাদার ফুটবল লিগ বন্ধ হয়েছে আগেই। পরে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলো বন্ধ করে দিয়েছে অনুশীলন ক্যাম্পও। স্থানীয় ফুটবলাররা ছুটি পেলেও নানান জটিলতায় ক্লাবগুলোতে এখনো আটকে আছে অনেক বিদেশি ফুটবলার। মুক্তিযোদ্ধার পাঁচ ফুটবলার সময় কাটাচ্ছেন হোম কোয়ারেন্টিনে। পরিবার-পরিজন ছেড়ে চার দেয়ালের মাঝেও স্মৃতিচারণ করলেন পরিবারের। করোনার প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে ইচ্ছা পোষণ করলেন দেশে ফেরার। এদিকে, মাঠে খেলা না থাকায় ফুটবলারদের পারিশ্রমিক দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে হোম কোয়ারিন্টেনে আছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের পাঁচ ফুটবলার। ফুটবলের কারণেই পরিবার-পরিজন ছেড়ে বাংলাদেশে পড়ে আছেন। নিজ দেশে করোনা জেঁকে বসেছে। এখানে সেই অনুপাতে কম। তাই সহসাই দেশে ফেরা হচ্ছে না। বন্দি দেয়ালে তাই সতীর্থের সঙ্গে খুনসুঁটি করেই সময় কাটছে মুক্তিযোদ্ধার জাপানি ফুটবলার নোরিতো হাসিগুচির। তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। ওখানকার ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। সেখানে যেতে পারছি না। ক্লাবেই সময় কাটাচ্ছি। ঘরের বাইরে একদম বের হচ্ছি না।' অবসরের এই সময়টায় ফিটনেস ধরে রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ। পাঁচ ফুটবলার নিয়মিত জিম করছেন। তবে ক্লান্ত দেহ যখন শিথিল হয়ে আসে, তখন পরিবারের কথা মনে পড়ে। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার আলবার্ট ফ্রাঙ্ক সান্তোস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া মাত্র দেশে ফিরতে চান। সান্তোস বলেন, 'ব্রাজিলের বর্তমান অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এখান থেকে গেলে ওখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আমি আমার ছেলেকে খুব মিস করছি। ও প্রতিদিন কল দেয়। আমার মাকেও খুব মিস করি।' খেলোয়াড়দের সুরক্ষার বিষয়ে বেশ সতর্ক ক্লাব কর্তৃপক্ষ। স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ দিচ্ছে নিয়মিত। তবে নিরাপত্তার ফাঁক গলিয়ে যেকোনো সময় হামলে পড়তে পারে করোনা। তাই সর্বোচ্চ সতর্কতার আহ্বান নাইজেরিয়ান ফুটবলার চিতাচি অরিয়াকুর। দুর্যোগের এই দিনে বিদেশি ফুটবলার রাখাটা মরার ওপর খাড়ার ঘা ক্লাব কর্তৃপক্ষের। কবে লিগ শুরু হবে, জানে না কেউ। এই অনিশ্চিত সময় বিদেশিদের পারিশ্রমিক দিতে হিমশিম খাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা। অস্থিতিশীল পরিবেশ কাটিয়ে প্রিয়জনের কাছে ফুটবলাররা ফিরুক। মানুষ নয়, বন্দি করা হোক মরণঘাতী ভাইরাসকে। দুর্দিনে প্রত্যাশা এটুকুই।