সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কলকাতায় স্টেডিয়াম হবে মেডিকেল সেন্টার ক্রীড়া ডেস্ক মহামারি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্কতাস্বরূপ আগামী ২১ দিনের জন্য লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে গোটা ভারত। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ক্রিকেটার- সবাই মিলে সাধারণ জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছেন এ ২১ দিন ঘরের মধ্যেই থাকার জন্য। এর বাইরে সরকার-প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে সবধরনের প্রস্তুতি। যাতে করে করোনা সারাদেশে বৃহৎ আকারে ছড়িয়ে পড়লেও এর বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় ঠিকভাবে। আর সে লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দারুণ এক প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। বিসিসিআই সভাপতি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাইলে করোনার বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য কলকাতার বিখ্যাত ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামকে মেডিকেল সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। ভারতের অন্যতম বৃহৎ স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেনস। এর ইনডোর এবং খেলোয়াড়দের ডর্মিটরির সুবিধা অসাধারণ। এখন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগুলোকে মেডিকেল সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে, স্বাগ্রহে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এটি দেবেন বলে জানিয়েছেন গাঙ্গুলি। সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেছেন, 'যদি সরকার আমাদের কাছে চায় (ইডেন গার্ডেনসকে মেডিকেল সেন্টার হিসেবে ব্যবহার), তাহলে আমরা অবশ্যই এটি দিয়ে দেবো। এই মুহূর্তে যা যা দরকার, আমরা সব করতে রাজি আছি। এটা কোনো সমস্যাই নয়।' ভয়াবহতা বুঝতে পারছেন না পাকিস্তানিরা ক্রীড়া ডেস্ক পাকিস্তানে করোনাভাইরাস থাবা বসিয়েছে। সংক্রমণ রুখতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও দেশের মানুষ এনিয়ে নির্বিকার। তাদের এমন আচরণে একই সঙ্গে হতভম্ব আর হতাশ পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। করোনাভাইরাসকে হেলাফেলা করার পরিণতি অনেক ভয়ঙ্কর হবে সতর্ক করলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগে পাকিস্তানে আক্রান্ত প্রায় ৯০০ জন, মারা গেছেন ছয়জন। সংক্রমণ রুখতে কয়েকটি প্রদেশ লকডাউন করা হতে পারে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান রেলওয়ে। কিন্তু জনগণের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কয়েক ঘণ্টার জন্য শহরে বের হয়ে এক আশঙ্কাজনক অভিজ্ঞতা হলো শোয়েবের, 'আজ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলাম আমি। কারও সঙ্গে হাত মেলায়নি কিংবা আলিঙ্গনও করিনি। পুরোটা সময় আমার গাড়ির জানালা বন্ধ ছিল এবং দ্রম্নত বাসায় ফিরেছি। কিন্তু বাইরে আমি খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখলাম। এক বাইকে চারজনকে দেখলাম, তারা পিকনিকে যাচ্ছিল। একসঙ্গে অনেকে বাইরে খাবার খাচ্ছে, অন্য জায়গায় বেড়াতে যাচ্ছে। এখনও কেন রেস্টুরেন্ট খোলা, বন্ধ হচ্ছে না কেন?' করোনা মোকাবিলায় ভারতের প্রচেষ্টাকে উদাহরণ দিলেন শোয়েব, 'ভারতে লোকজন কারফিউর মধ্যে ছিল। আর পাকিস্তানে আমাদের ঘোরাঘুরি থামছে না। ৯০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে মানুষের সংস্পর্শে, তারপরও আমরা ঘরে থাকছি না। কী করছি আমরা? এটা বিপজ্জনক, মনে হচ্ছে আমরা জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছি।'