ফাঁকা সময়টা কাজে লাগাবে কিংসরা

প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
'যদিও আমরা শক্তিশালী রক্ষণভাগ তৈরি করেছিলাম কিন্তু প্রত্যাশিত ফল তারা দেখাতে পারেনি। তবে এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। দ্রম্নত সমাধান হবে। দ্বিতীয় উইন্ডোতে রক্ষণভাগে বেশ কিছু পরিবর্তন আনব আমরা' -ইমরুল হাসান
করোনা পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। দেশের সবগুলো ক্লাব ছুটি দিয়েছে তাদের খেলোয়াড়দের। যাতে তারা বাসায় নিরাপদে থাকতে পারে। এ বিষয়ে কঠোর লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান জানিয়েছেন যেই কারণে ছুটি দেয়া হয়েছে তার ব্যত্যয় ঘটিয়ে অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি করলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। আর ছুটির এই ফাঁকা সময়টাতে রক্ষণদূর্গে বেশ কিছু ভালো ফুটবলার সংযোজন করবে কিংসরা। করোনার প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে দ্রম্নতই খেলায় ফিরে আসার প্রত্যাশায় বসুন্ধরা কিংস। তবে এই সংকটকালীন সময়ে ছুটিতে থাকা ফুটবলাররা নিয়ম না মেনে বাইরে ঘোরাঘুরি করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ইমরুল হাসান, 'খেলোয়াড়দের ছুটি দেয়ার আগে আমরা সতর্ক করে দিয়েছি যে কেউ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হয়। যদি তারা কোনোভাবে আক্রান্ত লোকদের সংস্পর্শে আসে তাহলে অবশ্যই পদক্ষেপ নেব।' গত আসরে এসেই লিগের শিরোপা জিতে দারুণ চমক দেখিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। এবারও দেশের নামিদামি তারকা ফুটবলার আর ভালো মানের বিদেশি নিয়ে দুর্দান্ত একটা দল গড়েছে তারা। কিন্তু কোথায় যেন একটা ঘাটতি। এবারের লিগে তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারছে না দেশের নবাগত শক্তিরা। ভালো দল গড়েও প্রত্যাশিত ফল না পাওয়াতে দ্বিতীয় পর্বে বেশ কিছু পরিবর্তন আসার ইঙ্গিত দিলেন ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান। বিশেষ করে রক্ষণভাগ নিয়ে বেশি ভাবছে ক্লাবটি। এ প্রসঙ্গে ইমরুল হাসান বলেন, 'যদিও আমরা শক্তিশালী রক্ষণভাগ তৈরি করেছিলাম কিন্তু প্রত্যাশিত ফল তারা দেখাতে পারেনি। তবে এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। দ্রম্নত সমাধান হবে। দ্বিতীয় উইন্ডোতে রক্ষণভাগে বেশ কিছু পরিবর্তন আনব আমরা।' তবে এর মাঝেই সুসংবাদ হলো ক্লাবের আনিসুর রহমান জিকোর এশিয়ার সপ্তাহের সেরা গোলরক্ষক হওয়া। এটাকে প্রেরণা বানাতে চায় দল। ক্লাবের সবচেয়ে বড় তারকা আর্জেন্টাইন হার্নান বার্কোসকেও দ্বিতীয় পর্ব থেকেই মাঠে দেখা যাবে। সব মিলে দ্বিতীয় পর্বে ঘুরে দাঁড়িয়ে শিরোপা ধরে রাখার প্রত্যাশা ক্লাবটির। এ প্রসঙ্গে কিংস সভাপতি বলেছেন, 'জিকোর জন্যে এটা অনন্য প্রাপ্তি। এটা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্যে টার্নিং পয়েন্ট। বার্কোস দ্বিতীয় উইন্ডোতে খেলছেন। তার সঙ্গে কলিন্ড্রেস জ্বলে উঠতে পারলে অবশ্যই শিরোপা ধরে রাখা সম্ভব।' এবার প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচটা জয়ে শুরু করলেও প্রতিপক্ষ উত্তর বারিধারার বিপক্ষে মাত্র ১-০ গোলের জয় মন কাড়তে পারেনি সমর্থকদের। দ্বিতীয় ম্যাচে পুলিশ ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে তারা ১-১ গোলের ড্র করে পয়েন্ট হারায়। হোঁচট থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তৃতীয় ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবকে হারিয়ে। কিন্তু কিংসদের তুলনায় তেমন কোনো শক্তিধর দল নয় তারুণ্য নির্ভর ব্রাদার্স। তাদের সঙ্গেই রীতিমতো লড়াই করে ৩-২ গোলে কোনোমতে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ঘরোয়া ফুটবলে কাগজে-কলমে সব থেকে শক্তিধর দলটি। চতুর্থ ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে হারায় ২-১ গোলের ব্যবধানে। কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও পঞ্চম ম্যাচে এসে তারা সব থেকে বড় হোঁচটটি খায় তারুণ্যনির্ভর মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের কাছে তিন পয়েন্ট খুইয়ে। নিজেদের হোম ভেনু্যতে প্রথম ম্যাচেই কিংসদের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় তুলে নেয় সাদা-কালোরা। ষষ্ঠ ম্যাচে ঘরের মাঠে (নীলফামারীতে) চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ৪-৩ গোলে হেরে রীতিমতো হতাশ করে অস্কার ব্রম্নজন শিষ্যরা। এই হারে তারা নেমে যায় পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে।