ছুটিকে শাপে বর দেখছেন ভারতের কোচ

ইংল্যান্ডের পর আমরা গেলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজে, পরে দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ। তা শেষে আবার নিউজিল্যান্ড সফর। তাই এখনকার ছুটিটা খেলোয়াড়দের জন্য ভালোই হলো -রবি শাস্ত্রী

প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রবি শাস্ত্রী -ওয়েবসাইট
করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের সব ক্রীড়াবিদ পেয়েছেন অনাকাঙ্ক্ষিত এক ছুটি। যেহেতু পিছিয়ে দেয়া হয়েছে খেলাধুলার সকল সূচি, তাই বাড়িতে বসেই অলস সময় কাটছে খেলোয়াড়দের। এতে অবশ্য ভালোই হয়েছে বলে মনে করছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। বছর জুড়েই ব্যস্ততা থাকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের। ঘরে এক সিরিজের পর আবার উড়াল দিতে হয় বিদেশে, সেটি শেষ করতেই আবার দেখা যায় হাজির হয়েছে ঘরোয়া কোনো লিগ- এমন করেই বছরের প্রায় পুরোটা সময় কাটে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের। ফলে করোনার বাধ্যতামূলক ছুটিকে শাপে বর হিসেবেই দেখছেন শাস্ত্রী। এতে করে তার দলের খেলোয়াড়রা শারীরিক ও মানসিকভাবে চাঙা হতে পারবে বলে মনে করছেন ভারতের কোচ। তাই এ ছুটিতে পাওয়া বিশ্রামকে স্বাগত জানিয়েছেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, 'এই বিশ্রামটা মোটেও খারাপ হতে পারে না। কারণ নিউজিল্যান্ড সফরের পর আমাদের দলের খেলোয়াড়দের মানসিক অবসাদ চেপে বসেছিল। অনেকের ফিটনেস নিয়েও সমস্যা হচ্ছিল। গত দশ মাসে আমরা যে পরিমাণে ক্রিকেট খেলেছি, তার মানসিক ধাক্কার শুরুটা ছিল নিউজিল্যান্ড সফর।' 'আমি এবং আমার মতো টিমের বাকিরা গত মে মাসের ২৩ তারিখে বিশ্বকাপ খেলার জন্য ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলাম। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ঘরে ১০-১১ দিনও থাকতে পারিনি। এমন কয়েকজন খেলোয়াড় আছে, যারা তিন ফরম্যাটেই খেলে। ওদের ওপর যে চাপটা আসে, তা হয়তো কল্পনাও করা যায় না।' খেলোয়াড়দের ওয়ার্কলোডের বিষয়টি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে শাস্ত্রী আরও বলেন, 'টেস্ট থেকে টি২০, এই দেশ থেকে ঐ দেশ, মাঠে নানান পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন সব পরিকল্পনা- সবকিছুই করতে হয় ক্রিকেটারদের। ইংল্যান্ডের পর আমরা গেলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজে, পরে দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ। তা শেষে আবার নিউজিল্যান্ড সফর। তাই এখনের ছুটিটা খেলোয়াড়দের জন্য ভালোই হলো।' বর্তমানে ২১ দিনের লকডাউনে রয়েছে পুরো ভারত। গত ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এই লকডাউন। তার আগেই অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের ওয়ানডে সিরিজ স্থগিত করে দেয়া হয়েছিল। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর, দ্বিতীয় ম্যাচের আগে হয় এই সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে শাস্ত্রী বলেন, 'সত্যি বললে, পুরো বিষয়টাই একটা ধাক্কার মতো এসেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ তখনও চলছিল, তবে আমরা এটাকে সহজভাবেই নিয়েছি। আমরা জানতাম, করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে যেকোনো জরুরি সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সিরিজ বাতিল হওয়ার পরই বুঝেছিলাম আরও বড় কিছু আসছে আর এখন তো লকডাউনই করে দেয়া হলো।'