দুই হাজার পরিবারের পাশে সাকিব

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় পুরো বিশ্বই পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষও কাটাচ্ছে ঘরবন্দি জীবন। এতে করে বড় বিপদে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মতো তাদের সহায়তায় এবার এগিয়ে এসেছেন নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিব আল হাসান। 'দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন' নামে নতুন সংস্থা গঠন করে এই সহায়তা দিচ্ছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। নিজের গড়ে তোলা এই ফাউন্ডেশন দিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে অনুদান সংগ্রহ করবেন। যে অর্থ তুলে দিচ্ছেন 'মিশন সেইভ বাংলাদেশ' নামক একটি উদ্যোগের মধ্য দিয়ে। এরই মধ্যে তারা ২০০০ সুবিধাবঞ্চিত পরিবারকে সাহায্য করেছে। সহায়তার হাত আরও বাড়িয়ে দিতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন সাকিব নিজে। শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের স্বীকৃত পেজে ৩৩ বছর বয়সি তারকা জানিয়েছেন, নিজের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের কারণে প্রভাবিত সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সাহায্য করতে যাচ্ছেন তিনি। আর 'মিশন সেইভ বাংলাদেশ' পাচ্ছে 'দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন'-এর প্রথম সহায়তা। সাকিব লিখেছেন, 'সারাদেশ আজ লড়ছে একটি মহামারিকে রুখতে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অসংখ্য সুবিধাবঞ্চিত মানুষ দিন গুনছে কবে তাদের রোজগার আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।' তিনি আরও লিখেছেন, 'এই মানুষগুলোর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে 'দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন' পদক্ষেপ নিয়েছে দেশ এবং সারা বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা থেকে ফান্ড উত্তোলনের। এই ফান্ড ব্যবহার করা হবে করোনাভাইরাসের কারণে প্রভাবিত সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সাহায্য করবার জন্য। এর ধারা অনুযায়ী দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের সর্বপ্রথম সহায়তা যাচ্ছে 'মিশন সেইভ বাংলাদেশ' নামক একটি উদ্যোগে।' সব মিলিয়ে দুই হাজার পরিবারকে সহযোগিতা করলেও তা আরও বাড়ানোর ইচ্ছা সংস্থাটির। সাকিব বলেছেন, 'মিশন সেইভ বাংলাদেশ' করোনাভাইরাসের প্রভাবকে মোকাবিলা করতে দ্য ডেইলি স্টার, ঝযবনধ.ীুু এবং সমকালের একটি যৌথ উদ্যোগ। এই প্রোজেক্টটির উদ্দেশ্য হলো করোনাভাইরাসের কারণে প্রভাবিত নিম্নআয়ের এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জীবিকার জোগান দেওয়া। এখন পর্যন্ত ২০০০ সুবিধাবঞ্চিত পরিবারকে সাহায্য করেছে এই প্রকল্পটি এবং এই সংখ্যাকে বৃদ্ধি করতে নিরলস প্রচেষ্টা চলছে। আসুন, সবাই মিলে একসাথে লড়ি, একসাথে বাঁচি। কারণ, মানুষ তো মানুষেরই জন্য।'