বেতনে ছাড় দিলেন মেসিরা

খেলোয়াড়দের সঙ্গে বার্সার চুক্তি চূড়ান্ত

শুধু বার্সেলোনার ফুটবল দলই নয়, বাস্কেটবলসহ ক্লাবের সবরকমের খেলোয়াড়রাই এ ছাড় দিতে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্সেলোনা

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
বার্সেলোনা দলের খেলোয়াড়রা -ওয়েবসাইট
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সবরকমের আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খেলোয়াড়দের সঙ্গে বার্সেলোনার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেতন-ভাতা কমানোর জন্য এর আগে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। বোর্ড কর্মকর্তাদের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না খেলোয়াড়রা। তব শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা বেতনে ছাড় দিতে রাজি হয়েছেন। খেলোয়াড়দের বাৎসরিক বেতনের অঙ্কের দিক দিয়ে বিশ্বের শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরো শুধু খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা দিতেই খরচ করে ক্লাবটি। তবে শুধু বার্সেলোনার ফুটবল দলই নয়, বাস্কেটবলসহ ক্লাবের সবরকমের খেলোয়াড়রাই এ ছাড় দিতে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্সেলোনা। ক্লাবের অন্য কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সঠিক সময়ে নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খেলোয়াড়রা। সোমবার সন্ধ্যায় নিজস্ব ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্লাব বার্সেলোনা, 'এ ক্রান্তিকালে বার্সেলোনার সব ধরনের পেশাদার স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বোর্ডের একটি চুক্তি হয়েছে। তাতে তারা বেতন-ভাতা কম নেওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছেন।' তবে ঠিক কি পরিমাণ অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলেনি ক্লাবটি। তবে স্প্যানিশ গণমাধ্যমের সংবাদ পরিমাণটা ৭০ শতাংশ। কদিন আগে এ পরিমাণ ছাড় দিতেই বলেছিল ক্লাব কর্মকর্তারা। তখন রাজি না হলেও শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছেন তারা। ২০০৮ সালে অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে করা স্প্যানিশ শ্রম আইন অনুযায়ী, আর্থিক ক্ষতি সামলাতে না পারলে ক্রান্তিকালে কোনো প্রতিষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কর্মীদের বেতন কাটছাঁট করতে পারবে। সেক্ষেত্রে প্রথম ১৮০ দিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ হারে বেতন পাবেন কর্মীরা। অর্থাৎ ৩০ শতাংশ বেতন কেটে নিতে পারবে ক্লাব। করোনাভাইরাসের কারণে বার্সেলোনার আয় সম্পূর্ণ বন্ধ বললেই চলে। খেলা না থাকায় টেলিভিশন স্বত্ব, ম্যাচ জয়ের প্রাইজমানি, ম্যাচের টিকিট বিক্রি- কোনোকিছু থেকেই আয় হচ্ছে না তাদের। করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ বার্সা জাদুঘরও। প্রতিদিনই দেশ-বিদেশের বহু ভক্ত তা পরিদর্শন করলে বড় অঙ্কের আয় হতো ক্লাবটির। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট আর্থিক ঘাটতি পোষাতে প্রিমিয়ার লিগসহ ইউরোপের অন্যান্য লিগের ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের বেতন কাটছাঁটের কথা ভাবছে। জুভেন্টাসের খেলোয়াড়রা চার মাসের বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুই জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ফুটবলাররা এর মধ্যেই ক্লাব কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। তাদের বেতনের ২০ শতাংশ কাটা পড়বে।