করোনাভাইরাসের কারণ

অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর অনিশ্চিত

দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু করোনার কারণে সেই সিরিজ নিয়ে কোনো প্রস্তুতি নিচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
অজি টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন
করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত বা বাতিল হচ্ছে একের পর এক ক্রিকেট সিরিজ। সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারে আগামী জুন মাসে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরও। অজি টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন দেশটির একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন তেমন কথাই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেই সিরিজ নিয়ে কোনো প্রস্তুতি নিচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) কাছ থেকে আগামী জুনে বাংলাদেশ সফর নিয়ে কোনো গাইডলাইন পাননি পেইনরা। মঙ্গলবার দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে পেইন জানিয়েছেন, জুনে সিরিজ হচ্ছে না এমন বার্তা এর মধ্যেই পেয়ে গেছেন তিনি, 'অবশ্যই, আমার সঙ্গে কিছু কথাবার্তা হয়েছে (বোর্ডের)। এটা যে জুনে করা সম্ভব না তা বুঝতে আপনার আইনস্টাইন হওয়ার দরকার নেই। হয়তো এটা বাতিল হবে বা পিছিয়ে যাবে, এই মুহূর্তে নিশ্চিত করতে পারছি না।' গত ১১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের সূচি প্রকাশ করে বিসিবি। আগামী ১১ থেকে ১৫ জুন চট্টগ্রামে ও ১৯ থেকে ২৩ জুন মিরপুরে হওয়ার কথা ছিল সিরিজের টেস্ট দুটি। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। কদিন আগে টেলিকনফারেন্সে আইসিসির সভায় ক্রিকেট সূচির বদল নিয়ে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হওয়ার কথা আগামী বছর। একের পর এক সিরিজ স্থগিত হওয়া ও পিছিয়ে যাওয়ায় ফাইনাল সময়মতো হওয়া নিয়েও এখন আছে শঙ্কা। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর স্থগিত হয়ে গেছে আসন্ন এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের তৃতীয় দফার পাকিস্তান সফর। এরপর মে মাসে হতে যাওয়া আয়ারল্যান্ড সফর নিয়েও এসেছে একই খবর। দেশে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলাও বন্ধ আছে। শুধু ক্রিকেট নয়, প্রায় গোটা বিশ্বেই সবধরনের খেলাধুলা বন্ধ আছে। নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর প্রকোপে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৮ লাখের কাছাকাছি মানুষ। অস্ট্রেলিয়ায় এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে চার হাজারের মতো মানুষ, মারা গেছেন ১৯ জন। বাংলাদেশ ৪৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন। এই ভাইরাস দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় বিশ্বের অনেক দেশেই চলছে লকডাউন বা স্থবিরতা। বাংলাদেশেও ঘোষণা করা হয়েছে লম্বা সাধারণ ছুটি।