ফিটনেস ধরে রাখাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ

ক্লাবে আমরা যেভাবে অনুশীলন করি, তা বাসায় সম্ভব নয়। তবে নিজেকে ফিট রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। ট্রেনিংয়ের মধ্যে আছি। সাইক্লিং, জগিং, বালির মধ্যে রানিং করে ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করছি -তপু বর্মণ, বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
মাঠের খেলা বন্ধ করোনাভাইরাসের আঘাতে। অপ্রত্যাশিত ছুটিতে স্থানীয় ফুটবলাররা চলে গেছেন যে যার বাড়িতে। বাইরে গিয়ে অনুশীলন করার সুযোগ নেই। তাই বলে তো আর বসে থাকলে চলবে না। সীমাবদ্ধতার মাঝেও ফিটনেস ধরে রাখার সেই চ্যালেঞ্জ ব্যক্তিগতভাবে নিচ্ছেন ফুটবলাররা। যেই সময়টা মাঠে ব্যস্ত থাকার কথা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ আর ঘরোয়া লিগ নিয়ে। তখনই করোনার ধাক্কায় স্থবির ফুটবল তথা ফুটবলাররাই। ঘরবন্দি সময়ে ফুটবলারদের মূল কাজটাই এখন ফিটনেস ধরে রাখা। ক্লাবে যেমন অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা থাকে, স্বভাবতই বাড়িতে সেগুলো নেই। তাই ফিট থাকতে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাই ভরসা তপু-জীবনদের। নারায়ণগঞ্জে বাড়ি বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার তপু বর্মণের। বাসার মধ্যে ও আশপাশের জায়গায় অনুশীলন করে ফিটনেস ধরে রাখার অভিযানে এই ডিফেন্ডার বলেন, 'ক্লাবে আমরা যেভাবে অনুশীলন করি, তা বাসায় সম্ভব নয়। তবে নিজেকে ফিট রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। ট্রেনিংয়ের মধ্যে আছি। সাইক্লিং, জগিং, বালির মধ্যে রানিং করে ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করছি।' করোনার কারণে ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছাড়া যাওয়া নিষেধ। তপুও যাচ্ছেন না, তবে কিছু সময়ের জন্য সতর্কতার সঙ্গে বাসার পাশে দৌড়ের কাজটা সারছেন, 'করোনার কারণে ঘরের বাইরে সেভাবে যাচ্ছি না। তবে যখন লোকজন থাকে না তখন শুধু রানিং করে আসি। মাস্ক পরা থাকে। সব রকমের সতর্কতা অবলম্বন করেই অনুশীলন করছি।' আবাহনীর স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন ঘরেই ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন, 'করোনার কারণে এখন সবকিছু বন্ধ। কখন কী হয়ে যায়। তবে আমরা সতর্ক হয়ে চলাফেরা করছি। ফিটনেস নিয়ে কাজও হচ্ছে। সীমাবদ্ধতার মধ্যে যতটুকু সম্ভব নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করছি, যেন লিগ শুরু হলে ফিট হয়েই খেলতে পারি।' শেখ রাসেল গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা ফিটনেস নিয়ে সবসময় সচেতন। ঘরে বসে তিনিও ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন। যদিও কাজটা সহজ হচ্ছে না তার জন্য, 'ঘরে বসে থেকে ফিটনেস ধরে রাখা কঠিনই বলব আমি। এরপরও ফিটনেস ধরে রাখতে যতটা পারি চেষ্টা করছি। হালকা অনুশীলন, রানিং এগুলো করছি নিয়মিত। লিগ ফের শুরু হলে ফিট হয়েই পোস্টের নিচে দাঁড়াতে চাই।' মাঠের খেলা নেই করোনায় অনিশ্চিত ভবিষ্যত যেখানে সঙ্গী। টাঙ্গাইলে ব্যক্তিগতভাবে তাইতো ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন জাতীয় দলের আরেক ডিফেন্ডার রায়হান হাসান। মেনে চলছেন পরিমিত খাদ্যাভ্যাসের রুটিনও। ক্যাম্প বন্ধ। তবুও ক্লাব টেন্ট ছাড়েননি জাতীয় দলের মিডফিল্ডার সোহেল রানা। দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি থাকায় বাইরের সব জিম বন্ধ। নিজেকে ফিট রাখতে পরিবার থেকে দূরে নিঃসঙ্গ সময় পার হচ্ছে সোহেল রানার। সুশান্ত ত্রিপুরা ইনজুরির কারণে মিস করেছেন লিগের ম্যাচ। তাইতো এই অপ্রত্যাশিত ছুটিটাকে রিকভারি সেশন করেই কাজে লাগাচ্ছেন কক্সবাজারের এই ফুটবলার। অন্য খেলোয়াড়রাও যে যার বাড়িতে কিংবা বাড়ির আশপাশে গিয়ে নিজেকে ফিট রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আর না করে উপায়ও বা কী। ফিটনেস কমলে যে জরিমানা দিতে হবে! শুধু ক্লাব নয়, জাতীয় দলের কোচ জেমি ডেরও তীক্ষ্ন দৃষ্টি তাদের ওপরে।