দুস্থদের পাশে জেমি-ফুটবলাররা

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিদিন দুইশ খেটে খাওয়া মানুষের দুপুরের খাবার দেবার উদ্যোগ নিয়েছে বাফুফে। বুধবার বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি'ডের দেয়া অর্থে দুঃস্থদের হাতে খাবার তুলে দেন বাফুফে কর্মকর্তারা -বাফুফে
করোনাভাইরাসে ঘরবন্দি নিম্নআয়ের মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। শুক্রবার থেকে দুস্থদের হাতে দুপুরের খাবার তুলে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে তারা। নিজেদের অবস্থান থেকে দেশের ফুটবলাররাও যতটা সম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। এবার বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বুধবার দুপুরে বাফুফে ভবনে তার উদ্যোগে ৩০০ মানুষের হাতে খাবার তুলে দেওয়া হয়। ফুটবলাঙ্গনে জেমি ডের জনপ্রিয়তা কম নয়। দেশের যে প্রান্তে গেছেন, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। ডেও ভালোবাসেন এই দেশকে, দিনকয়েক আগে বাংলাদেশকে 'দ্বিতীয় বাড়ি' হিসেবে উলেস্নখ করেছেন। তাই এ দেশের মানুষের প্রতি আলাদা টান থেকে এগিয়ে এসেছেন। খেলা বন্ধ থাকায় বর্তমানে ইংল্যান্ডে পরিবারের সঙ্গে আছেন জেমি। তবে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে সেখান থেকে খেলোয়াড়দের তদারকি করছেন। নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতিরও। ইংল্যান্ড থেকে এই বিষয়ে জেমি বলেছেন, 'একজন ক্রীড়া সাংবাদিক আমাকে এই আইডিয়া দিয়েছেন। আর আমিও চিন্তা করেছি করোনাভাইরাসের সমস্যা তো বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশও ভুগছে। তাই সেই ধারণা থেকে আমি নিজেই উদ্বুদ্ধ হয়ে কিছু মানুষের হাতে একবেলা খাবার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা আমার দ্রম্নত প্রয়াস বলতে পারেন।' শুধু তাই নয় বাংলাদেশের মানুষের জন্য করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন জেমি। বাফুফের মাধ্যমে দেওয়া ভিডিও বার্তায় দেখা যায়, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। ভিডিও বার্তাও ডে করেছেন কিছুটা ফুটবল মাঠে শিষ্যদের অনুশীলন করানোর ছকের মতোই। শুরুতেই দেখা যায় বাংলাদেশের জার্সি পরা জেমির মেয়ে হাত ধোয়ার ভঙ্গি করে বলছে- ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। এরপর ছোট ছেলে সরে গিয়ে বলছে- দূরত্ব বজায় রাখো। এরপর আরেকজনকে বলতে শোনা যায়- ঘরে থাকো। এদিকে, শহীদুল ইসলাম সোহেল, আরিফুর ও বিপলুর পর এবার খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল। সমাজের সামর্থ্যবানদের এই দুঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তিনি। ছুটি পেয়ে হিমেল রয়েছেন কিশোরগঞ্জের বাড়িতে। ৩১ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক জানান, ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার নির্দেশনা মেনে সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করছেন। আর্তের পাশে থাকার পারিবারিক দায়বদ্ধতার কথাও জানালেন হিমেল, 'বাবা (অ্যাডভোকেট জিন্নাতুন ইসলাম) যখন বেঁচে ছিলেন, তখন তাকে সমাজসেবামূলক কাজ করতে দেখেছি। আমাদের তিন ভাইয়ের মধ্যেও সেটি আছে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের জন্য পারিবারিক দায়বদ্ধতাও বলতে পারেন। হিমেল জানান, অন্তত পাঁচশ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য তার।'