ঘোষণাটা আসা ছিল সময়ের ব্যাপার। এলোও। করোনাভাইরাসের কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পিছিয়ে গেল বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্স্নাম উইম্বলডন। ২৯ জুন থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল গ্রাস কোর্টের ঐতিহ্যবাহী গ্র্যান্ড স্স্নামটি। কিন্তু ১৩ জুলাই পর্যন্ত বিশ্বের সবরকম টুর্নামেন্ট স্থগিত করেছে ওয়ার্ল্ড টেনিস অ্যাসোসিয়েশন।
কেবল উইম্বলডনই নয়, শঙ্কা জেগেছে বছরের বাকি গ্র্যান্ড স্স্নাম- ফ্রেঞ্চ ওপেন ও ইউএস ওপেন আয়োজন নিয়েও। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ফ্রেঞ্চ ওপেন। পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে সেটি। স্থগিত করা উইম্বলডন ২০২০ সালে আয়োজনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এরইমধ্যে একবছরের জন্য পিছিয়ে গেছে ২০২০ ইউরো, কোপা আমেরিকা ও টোকিও অলিম্পিক।
চলতি এই বছরের জুনের শেষ দিকে শুরু হওয়ার কথা ছিল উইম্বলডন। আর এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য উন্মুখ ছিলেন রজার ফেদেরার। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে টেনিসের বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্ট। যে কারণে হতাশ হয়েছেন রজার ফেদেরার।
৩৮ ছুঁয়ে ফেলা ফেদেরার এবারই ক্যারিয়ারে শেষবারের মতো উইম্বলডন খেলার আশায় ছিলেন। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৮ বার শিরোপা জিতেছেন ফেদেরারই। এবারও শিরোপা জয়ের লক্ষ্যেই খেলতে নামতেন ২০ বারের গ্র্যান্ড স্স্নাম জয়ী এই সুইস টেনিস তারকা। কিন্তু টুর্নামেন্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় এখন পুরোপুরি বিধবস্ত অবস্থায় রয়েছেন তিনি, 'বিধ্বস্ত! এখন আমি কেমন বোধ করছি তা বোঝানোর কোনো ভাষাই জানা নেই।'
এদিকে একই অবস্থা নারী টেনিস তারকা খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামসনেরও। তিনি লিখেছেন, 'আমি কাঁপছি (বাতিলের খবরে)।' ফেদেরারের মতো তিনিও ২০২১ সালের টুর্নামেন্ট শুরুর আগে পৌঁছে যাবেন ক্যারিয়ারের শেষভাগে।
তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিমোনা হালেপ বাস্তবতা মেনে নিয়ে অপেক্ষা করছেন উইম্বলডনের পরবর্তী আসরের জন্য, 'খুবই খারাপ লাগছে, এ বছর উইম্বলডন হবে না শুনে। গতবছরের ফাইনালের দিনটা আমার জীবনের অন্যতম সুখের দিন। কিন্তু এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে যেনো উইম্বলডন আবার হয়।'
এদিকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগও। পরবর্তী ঘোষণার আগপর্যন্ত এ দুই আসরের কোনো ম্যাচ হবে না বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা উয়েফা। একইসঙ্গে কেবল বেলারুশ বাদে ইউরোপের সব ফুটবল জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছে উয়েফা। বুধবার ৫৫ সদস্য দেশের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে কেবল বেলারুশই চালু রেখেছে তাদের ফুটবল লিগ। সেটিও বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
