ফিটনেসের যন্ত্রপাতি নেই জাহানারার

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ফিটনেস ধরে রাখতে বাংলাদেশ নারী দলের পেসার জাহানারা আলম বিসিবির নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করছেন -ওয়েবসাইট
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থবির পুরো বিশ্বক্রীড়াঙ্গন। মাঠে খেলা না থাকায় ক্রীড়াবিদদের ফিটনেসজনিত সমস্যা প্রকট হচ্ছে। যদিও নির্দেশনার মাধ্যমে তাদের ফিটনেস ধরে রাখার নানা কৌশলও বাতলে দেওয়া হচ্ছে। যেন বাসায় বসেই ফিটনেস ধরে রাখা যায়। নারী দলের পেসার জাহানারা আলম বিসিবির দেওয়া নির্দেশনা মেনে কাজ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঘরে আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির অভাবে তা পুরোপুরি মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না তার। তবুও থেমে নেই তিনি। ঘরে যা আছে, তাই নিয়েই নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন। নিজের ফেসবুক পেজে বেশ কিছু ভিডিও আপলোড করেছেন। বাসার অনেক আসবাবপত্রকে ব্যায়ামের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন। ট্রেডমিল না থাকায় বাসার সিঁড়ি ব্যবহার করছেন। এই ফিটনেস ধরে রাখার বিকল্প কৌশল নিয়ে জাহানারা বলেছেন, 'বদ্ধ জায়গাতে সঠিকভাবে ফিটনেস ধরে রাখা প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের জন্য কঠিন। ফিটনেস ছাড়া আসলে একজন ক্রীড়াবিদের কোনো স্কিলেরই মূল্য নেই। ফিটনেস ঠিক থাকলে গ্যাপ দিয়ে হলেও স্কিল অনুশীলন করা যায়। কিন্তু এই অবস্থায় আমাদের জন্য ফিটনেস ধরে রাখাটা খুব কঠিন।' তারপরেও কষ্ট করে যতটুকু পারা যায় সেই চেষ্টাটা করছেন জাহানারা। প্রতিকূলতা থাকলেও বিকল্পতেই কাজগুলো সেরে নিচ্ছেন, 'তারপরও আমরা চেষ্টা করছি। যাদের বাসায় জিমের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা আছে, তাদের হয়তো খুব একটা সমস্যা হবে না। কিন্তু আমার বাসায় সেই সুবিধা নেই। কেবল ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজগুলো করছি। এগুলো আসলে ফিটনেস উন্নতিতে খুব একটা ভূমিকা রাখে না। শুধু ধরে রাখতে সহায়তা করে। যা আসলেই কঠিন। তবে খেলাধুলা নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করা উচিতও না। বর্তমান যে পরিস্থিতি সেখানে জীবনটাই আগে। যদি জীবন ঠিক থাকে, ইনশালস্নাহ একটু বেশি পরিশ্রম করে সেটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।' ক্রিকেটারদের ফিট রাখতে বিসিবি ১০টি নির্দেশনা দিয়েছিল। জাহানারা সেগুলো পুরোপুরি অনুসরণ করতে পারছেন না রানিং মেশিন না থাকায়, 'বিসিবি ফিটনেসের জন্য আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু ট্রেডমিলের রানিং ছাড়া বাকি সব চেষ্টা করছি। এর বদলে আমি সিঁড়ি ব্যবহার করছি।' টানা ঘরে বন্দি হয়ে থাকতে থাকতে অস্বস্তিই লাগছে জাহানারার। তারপরেও দেশের ভালোর জন্য ঘরেই আছেন। নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেছেন, 'এই সময়টা মানসিক ও শারীরিকভাবে কঠিন যাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় মাঠে পরিশ্রম করলেই বরং ক্লান্তি কম লাগে। বাসায় থেকে কাজ করলে সেটা বেশি লাগছে। খেতে-ঘুমাতে কোনো কিছুই ইচ্ছে করে না। এখন ১২-১টা পর্যন্ত জেগে থাকছি, কিন্তু ঘুম আসে না। যেখানে আমি রান্না করতে পছন্দ করি, সেটাও করছি না। সবকিছু মিলিয়ে বর্তমান সময়টা খারাপ যাচ্ছে। তবে আমাদের এসব কিছু উত্তরণ করতে হবে। সবাইকে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। নাহলে পারিপার্শ্বিক অবস্থা আমাদের আরও চেপে ধরবে।'