করোনার প্রভাব

স্থানীয়দের মধ্যে ব্যতিক্রম সোহেল রানা

প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ বন্ধ থাকলেও ফিটনেস ধরে রাখতে আবাহনী ক্লাবে থেকে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন সোহেল রানা -ওয়েবসাইট
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার পরই ক্লাবগুলো তাদের ক্যাম্প বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয় ফুটবলাররা ফিরে গেছেন যে যার ঘরে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বিদেশি ফুটবলার ও কোচরা আছেন শুধু ক্লাবগুলোর অধীনে। স্থানীয়দের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম ঢাকা আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেলরানা। তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন নিজ ক্লাব আবাহনীতে। করোনা পরিস্থিতিতে লিগ স্থগিত হওয়ার পর বাধ্য হয়েই ক্যাম্প বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশের ফুটবল ক্লাবগুলো। স্থানীয় ফুটবলাররা যে যার বাড়িতে চলে গেলেও ছুটি পেয়েও চাঁদপুরে নিজ বাড়িতে যাননি জাতীয় দল ও ঢাকা আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা। এমনকি ঢাকার আরামবাগে তার ভাইয়ের বাসা থাকলেও সেখানে ওঠেননি। ধানমন্ডিতে ক্লাবে সোহেল রানার সঙ্গী হিসেবে ক্লাবে আছেন দুই বিদেশি নাইজেরিয়ার সানডে ও হাইতির বেলফোর্ট। এই তিন ফুটবলারকেই এখন পাওয়া যাবে আবাহনী ক্লাবে। মূলত ফিটনেস ধরে রাখতেই পরিবার ছেড়ে এই দুঃসময়ে ক্লাবে থেকে গেছেন সোহেল রানা। এ প্রসঙ্গে এই মিডফিল্ডার বলেছেন, 'ক্যাম্প যখন ছুটি হয় তখন আমি চাঁদপুর বাবার কাছে যেতে পারতাম। আমার ভাই ও ভাবী থাকেন ঢাকার আরামবাগে, সেখানেও যেতে পারতাম। কিন্তু যাইনি। কারণ, ক্লাবে থাকলে আমি জিম করার সুযোগ পাবো, বেশি শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে পারবো। তাতে ফিটনেস ধরে রাখতে পারবো। এখানে যেভাবে শৃঙ্খলার মধ্যে থাকি অন্য জায়গায় সেটা হয়তো হতো না। একটু বাইরে যেতে মন চাইতো, ঘুরে আসতে মন চাইতো। হোম কোয়ারেন্টাইন বলতে যা বুঝায় সেটা হতো না। আর নিয়মিত জিমও করার সুযোগ পেতাম না। ক্লাবে থাকায় কোচ জেমি ডে আমাদের যে নির্দেশনা দিচ্ছেন তা পালন করতে পারছি।' কেউ নেই ক্লাবে। খাওয়া-দাওয়া এবং অন্য কোনো সমস্যা হয় না? সোহেল রানার জবাব, 'না। কারণ, সানডে ও বেলফোর্ট আছেন। দুইজন স্টাফ আছেন। আমাদের রান্না করেন যে নানীরা তারা ক্লাবের কাছাকাছিই থাকেন। এসে রান্না করে দিয়ে যান। কোনো সমস্যা হয় না। সানডে ও বেলফোর্ট স্টাফদের দিয়ে বাজার করিয়ে এনে নিজেরাই রান্না করে খান। পুরো শৃঙ্খলার মধ্যেই আছি এখানে।' সোহেল রানারা দুই ভাই। বড় ভাই সুমন রাজধানীর আরামবাগে থাকেন। ক্রীড়া সামগ্রীর ব্যবসা করেন। চাঁদপুরের গ্রামের বাড়িতে থাকেন তার বাবা। সোহেল রানার মা মারা গেছেন ২০০৮ সালে। জাতীয় দলের কৃতী এ ফুটবলার ঘরোয়া লিগে খেলছেন আবাহনীতে।