ভারতও সিরিজ বাঁচাতে মরিয়া

প্রকাশ | ০৯ মে ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
যেকোনো ক্রিকেট সিরিজে ভারত যুক্ত থাকা মানেই অনেক টাকার হাতছানি। অনেকে এমনটাও বলেন, ক্রিকেটের বাণিজ্যলক্ষ্ণী একজন ভারতীয়। এজন্যই করোনাভাইরাস মহামারির আতঙ্কের মধ্যেও অস্ট্রেলিয়া চাইছে এ বছরের শেষে নির্ধারিত বিরাট কোহলির ভারত দলের অস্ট্রেলিয়া সফরটা যে করেই হোক বাঁচাতে হবে। ভারতীয় দল থাকা মানে একটা সিরিজ থেকেই অনেক রাজস্ব আসার নিশ্চয়তা। সুতরাং আর্থিক সংকটে পড়া অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া) এই সিরিজ আয়োজনে মরিয়া হয়ে ওঠার কারণটা বোঝাই যায়। শুক্রবার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) এক বড়কর্তাও বলেন, ভারতও আন্তরিকভাবে চায় এই সিরিজটা হোক। সেজন্য অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখেই ভারতীয় ক্রিকেট দল কোয়ারেন্টিনে যেতে রাজি। ওই কর্মকর্তার মুখে অবশ্য অস্ট্রেলিয়াতেই অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় টি২০ বিশ্বকাপ নিয়ে সেরকম আশার কথা শোনা যায়নি। এ বছরের শেষে ভারতের চার টেস্টের সিরিজ খেলার কথা অস্ট্রেলিয়ায়। বর্তমানে করোনার স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী ভিনদেশে পা রাখা মাত্রই যে কারোরই ১৪ দিনের সঙ্গনিরোধ অবস্থায় থাকাটা বাধ্যতামূলক। বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধামাল এ প্রসঙ্গে ফেয়ারফ্যাক্স নিউজপেপারকে বলেছেন, 'আর কোনো উপায় নেই-প্রত্যেককেই এটা (কোয়ারেন্টিন) করতে হবে। আপনি ক্রিকেটটা শুরু করতে চাইবেন। লকডাউনের জন্য দুই সপ্তাহ এমন কিছু বেশি সময় নয়।' আইসিসির্ যাংকিংয়ে এ মাসেই ভারতকে হটিয়ে শীর্ষস্থান অধিকার করেছে অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজটা তাই ধুন্ধুমার প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছে। ক্রিকেটীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতাই একমাত্র আকর্ষণ নয়, আগেই বলা হয়েছে যে আয়োজক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া করোনাভাইরাসের সংকটকালে কয়েকশো মিলিয়ন ডলারও এই সিরিজ থেকে আয় করবে। রাজস্ব ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ঠেকছে যে, তারা নভেম্বরে আফগানিস্তানের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় একমাত্র টেস্টটি বাতিল করে ভারত সিরিজে বাড়তি একটি টেস্ট খেলারও প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ধুমাল এখনই প্রস্তাবিত পঞ্চম টেস্ট নিয়ে কথা বলতে চান না। তার মতে সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলো টেস্টের চেয়ে সীমিত ওভারের ম্যাচ বেশি পছন্দ করে, কারণ তা থেকেই বেশি টাকা আসে। ধুমাল বলেছেন, 'তারা চায় বেশি রাজস্ব আসুক, আর টেস্টের চেয়ে বেশি রাজস্ব দেয় ওয়ানডে ও টি২০।' অস্ট্রেলীয় সরকার দ্বিপক্ষীয় সিরিজের জন্য ভারতীয় দলকে সে দেশে সহজেই প্রবেশের অনুমতি হয়তো দেবে। কিন্তু ধুমালের দৃষ্টিতে টি২০ বিশ্বকাপটা তুলনায় পুরো অন্যরকম। ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় টি২০ বিশ্বকাপে খেলার জন্য সেরা খেলোয়াড়রা প্রস্তুত হতে পারবে কি না- সেটি নিয়েই প্রশ্ন আছে। বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষের কথা, 'তারা কতদিন ক্রিকেটের বাইরে আছে। আপনি কি এটা চাইতে পারেন যে এতদিন অনুশীলনের বাইরে থেকে হুট করেই বিশ্বকাপে গিয়ে খেলবে তারা? প্রতিটি বোর্ডকেই এটি নিয়ে ভাবতে হবে। বিষয়টি কঠিনই মনে হয়।'